পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সবার দৃষ্টি ছিল আদালতের দিকে। পূর্ব নির্ধারিত ছিল বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানির তারিখ। মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট না আসায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানির নতুন তারিখ ধার্যকে কেন্দ্র করে কোর্টের আপিল বিভাগে নজিরবিহীন বিক্ষোভ-হট্টগোল করেছেন আইনজীবীরা। এ সময় আদালতে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে বাকবিত-া ও হট্টগোল বেঁধে যায়। পরে এজলাস কক্ষ ত্যাগ করে আপিল বেঞ্চ।
ওই কক্ষেই অবস্থান করেন খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবীরা। আপিল বেঞ্চ দ্বিতীয় দফা এজলাসে প্রবেশ করলেও জামিন শুনানি না নেয়ায় নানা শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন। অতঃপর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষের আইনজীবীরা পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন জীবনে এমন ঘটনা দেখেননি বলে উল্লেখ করে বলেছেন, বাড়াবাড়ির একটা সীমা থাকে। কার্যত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে একরকম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আপিল বিভাগের ‘বিচার কার্যক্রম’। আগামি ১২ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা নিয়ে তুমুল হট্টগোল ও হৈ চৈ এর সূত্রপাত। সকাল সোয়া ৯টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত বিরাজ করে এই অচলাবস্থা। কার্যতালিকায় থাকা ৫ নম্বর মামলা ব্যতীত আর কোনো শুনানি হয়নি। খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি ছিল ৭ নম্বরে। কিন্তু এটি নিষ্পত্তি না করে ৮ কিংবা ৯ নম্বর মামলার শুনানি করতে চাইলে চিৎকার চেঁচামেচি করে বিঘœ ঘটান। খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবীরা বলতে থাকেন শুধুমাত্র খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করতে হবে। অন্য কোনো মামলা নয়।
দুর্নীতি মামলায় দ-প্রাপ্ত আসামি খালেদা জিয়া ‘গুরুতর অসুস্থ’ দাবি করে মানবিক বিবেচনায় জামিন চাওয়া হয়। শুনানির দ্বিতীয় দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন দেয়ার জন্য তার আইনজীবীরা অনুণয় করেন। তারা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের বিষয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের মানবিক আচরণের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। তবে আদালত বলেন, ৭ নম্বর মামলার (খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানি) আদেশ হয়ে গেছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার। যেটির আদেশ হয়ে গেছে সেটির ওপর আর কোনো শুনানি হবে না।
সকাল সাড়ে ৯টায় দেয়া এ আদেশের ওপর আদালত অবিচল থাকে পুরো কর্ম সময়। মাঝে বিরতিসহ দীর্ঘ সময় ধরে এজলাসে অবস্থান করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। এ সময় এজলাসে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপি নেতারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে সমস্বরে চিৎকার করতে থাকেন। জনাকীর্ণ আদালতে আওয়ামী লীগপন্থী সমান সংখ্যক আইনজীবী অবস্থান নেন। তবে উভয়পক্ষের আচরণ ছিল অহিংস এবং কথা কাটাকাটির মধ্যে সীমাবদ্ধ।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। অন্যদিকে সরকারের পক্ষে বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন। এই শুনানিকে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগের জনাকীর্ণ আদালতে এত দীর্ঘ সময় ধরে হৈ চৈ, হট্টগোল, স্বাভাবিক বিচার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি, আপিল বিভাগ এবং ফরিয়াদীপক্ষের আইনজীবীদের তৎপরতা ছিল নজিরবিহীন।
আসামিপক্ষের শত শত আইনজীবীর এ যেন ছিল বেগম জিয়ার জামিন নিয়ে ঘরে ফেরার লড়াই। অচলাবস্থার এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলতে থাকেন, বাড়াবাড়ির একটা সীমা আছে। আমরা আপিল বিভাগে এমন অবস্থা আগে কখনো দেখিনি। অর্ডার দেয়া হয়ে গেছে। এজলাসে বসে আদালতের পরিবেশ নষ্ট করবেন না। অন্য মামলার কোনো শুনানি না নিয়েই সময় শেষে এজলাস ত্যাগ করেন আপিল বিভাগীয় বেঞ্চের বিচারপতিগণ।
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার সবশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানিয়ে মেডিক্যাল বোর্ডের প্রতিবেদন গতকাল বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে দাখিল হয়নি। এটিসহ দুটি প্রতিবেদন কোনো ধরনের ব্যর্থতা ছাড়াই আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ১২ ডিসেম্বর বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকায় আসবে। এ আদেশ দানকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা পরস্পরবিরোধী বিতন্ডায় লিপ্ত ছিলেন। ফলে উপস্থিত কারোর পক্ষেই আদালতের আদেশ শোনা সম্ভব হয়নি। ওই আদালতের বেঞ্চ অফিসারগণ জানান, খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন আগামী ১২ ডিসেম্বর।
ঘটনাক্রম : পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রধান বিচারপতির বিচার কক্ষে আইনজীবীরা প্রবেশ করতে থাকেন। আদালতে বহিরাগত এবং মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতাবিহীন আইনজীবীদের আদালত চত্বরে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। সবগুলো প্রবেশদ্বারে বসানো হয় তল্লাশি চৌকি। হাইকোর্ট মাজার সংলগ্ন প্রবেশদ্বারে ছিল কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্যান্য দিনের চেয়ে গতকাল ছিলো অধিক সংখ্যক পুলিশ। একজন একজন করে সবাইকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। এ থেকে গণমাধ্যমকর্মীও বাদ যাননি।
কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীভেদ করেই খালেদা জিয়ার জামিন প্রত্যাশী বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালতে ঢুকে পড়েন। এদের অধিকাংশই ছিলো ঢাকাসহ বিভিন্ন বিচারিক আদালতের বারের আইনজীবী। সকাল ৯টা ৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চ বসেন। বিশাল এজলাস কক্ষের বাঁ দিকে বসেন আওয়ামী লীগ তথা সরকারপক্ষীয় আইনজীবীরা। ডানে বসেন খালেদা জিয়া তথা বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা। সরকারপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, মমতাজউদ্দিন ফকির। এছাড়া অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি এ.এম. আমিনউদ্দিন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুসহ দুই শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দীন খোকন। তাদের সঙ্গে এজলাসে অবস্থান করেন কয়েকশ’ তরুণ আইনজীবী।
কয়েকটি মামলার শুনানি গ্রহণের পর আদালত সকাল সাড়ে ৯টায় ৭ নম্বর মামলা শুনানির জন্য হাতে নেন। অ্যাডভোকেট মো. জয়নুল আবেদীন শুনানির জন্য ওঠেন। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, এখনো মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে আসেনি। রিপোর্ট আসার পর শুনানির জন্য সময় প্রার্থনা করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী মো. জয়নুল আবেদীন তারিখ পেছানোর প্রতিবাদ করেন।
তিনি বলেন, সরকার প্রধান গতকাল বলেছেন, খালেদা জিয়া নাকি কারাগারে রাজার হালে আছেন। তিনি কতটা রাজার হালে আছেন সেটা বাস্তবিক দেখার জন্য তাকে এই আদালতে হাজির করা হোক। পাকিস্তানে দ-প্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দৃষ্টান্ত টেনে বলেন, পাকিস্তান আদালত নওয়াজ শরীফকে মানবিক কারণে বিদেশে চিকিৎসার অনুমোদন দিয়েছেন। বাংলাদেশের বিচারবিভাগ পাকিস্তানের চেয়ে শক্তিশালী। তাই মানবিক কারণে খালেদা জিয়াও জামিন পেতে পারেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি কাগজপত্র দেখে বিচার করা হবে জানালে জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা চাই কাগজপত্র দেখে ন্যায় বিচার করা হোক।
যেভাবে শুরু হট্টেগোল : বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা টেবিল চাপড়ে জয়নুল আবেদীনের এ বক্তব্যকে সমর্থন করেন। আর তখনই তুমুল হট্টগোলে জড়িয়ে পড়েন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এবং বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা। এ সময় উভয়পক্ষের সিনিয়র আইনজীবীরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এ অবস্থায় বিব্রত বিচারপতিগণ সকাল ১০টার দিকে এজলাস ত্যাগ করে খাস কামরায় চলে যান। প্রায় এক ঘণ্টা এজলাসে অনড় অবস্থান করেন খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবীরা। তবে আধঘণ্টা অবস্থান করে এক এক করে বাইরে চলে যান অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সরকার সমর্থক আইনজীবীরা। বাইরে গিয়ে তারা প্রেস ব্রিফিং করেন।
এ সময় পুরো এজলাসজুড়ে অবস্থান নেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। হৈ চৈ এর মাঝেই ক্ষণে ক্ষণে ‘সরকারের প্রভাবমুক্ত থেকে ন্যায় বিচারের দাবি’ জানিয়ে বক্তব্য দিতে থাকেন তরুণ আইনজীবীরা। ‘হয় মৃত্যু না হয় খালেদার জামিন’, উই ওয়ান্টা জাস্টিস’ ইত্যাদি শ্লোগান দেন। এ সময় খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ, এজ.জে. মোহাম্মদ আলীসহ বিএনপিপন্থী সিনিয়র আইনজীবীরা একাধিকবার এসলাসের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই তরুণ আইনজীবীরা তাদের পথ রুদ্ধ করেন। সিনিয়রদের ‘দালাল দালাল’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। পরে বাধ্য হয়ে তারা ফের নিজ নিজ আসনে বসেন।
বিচারপতিবিহীন খালি এসলাসে এভাবে চলতে থাকলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আদালত আবার বসেন। এ সময় ৬ নম্বর মামলার আইনজীবী হিসেবে আজমালুল হোসেন কিউসি তার মামলার শুনানি শুরু করেন। তখনই সমস্বরে চিৎকার করে শুনানিকে বাধাগ্রস্ত করেন খালেদা জিয়ার জামিন প্রত্যাশী আইনজীবীরা। তার ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’! ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে শ্লোগান দিতে থাকেন। খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি ছাড়া আর কোনো মামলার শুনানি আজ আদালত গ্রহণ করতে পারবেন না। এ পর্যায়ে খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ডায়াসে দাঁড়ান।
এ সময় আদালত বলেন, আমরা আপিল বিভাগে এমন অবস্থা আগে কখনো দেখিনি। খালেদা জিয়ার অপর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমি শেষবারের মতো কথা বলতে চাই।’ আদালত বলেন, ‘আমরা আদেশ দিয়েছি। আর কোনো কথা শুনব না।’ খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার আরজি জানান। আদালত বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বৃহস্পতিবার শুনব। এই বেঞ্চের কোনো বিচারপতিই আজ এটি শুনতে চাইছেন না।’ এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তুমুল হইচই করতে থাকেন। বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের মাঝে ধাক্কাধাক্কিও হয়।
এরই মধ্যে আদালতের ক্রম অনুসারে মামলা ডাকা হয়। ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে শুনানির জন্য দাঁড়ান আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি। এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা টেবিল চাপড়ান। শুনানি করার চেষ্টা করেন আজমালুল হোসেন কিউসি। পরে তিনিও দেড় ঘণ্টা ধরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকেন।
বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি ছাড়া আর কোনো শুনানি হবে না। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবী নেচে নেচে ‘খালেদা জিয়া’, ‘খালেদা জিয়া’ বলেন শ্লোগান দিতে থাকেন। সামনের সাড়িতে থাকা বিএনপি সমর্থক আইনজীবী আয়েশা আক্তার অনেকটা বিলাপের স্বরে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি কেঁদে কেঁদে ক্রম: মৃত্যুর দিকে ধাবিত হওয়া কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে ফরিয়াদ করতে থাকেন। কিন্তু কারো কথায় কর্ণপাত না করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ চুপচাপ বসে থাকেন। এগিয়ে চলে ঘড়ির কাঁটা, সময় গড়িয়ে যায়।
সোয়া ১টা বেজে গেলে আজমালুল হোসেন কিউসি যে মামলা শুনানির জন্য দাঁড়িয়েছিলেন, সেটি শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার তারিখ ধার্য করেন। এ সময় আবারো খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দীন খোকন আদালতের উদ্দেশে বলেন, মাননীয় আদালত, আপনার প্রতি মিনতি জানাই। নানান রোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়া ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। তিনি ৭৫ বছর বয়স্কা একজন মহিলা। তার প্রতি সদয় হোন। তবে তার আবেদনে সাড়া না দিয়ে বিচারপতিগণ আদালত কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণা করে খাস কামরায় চলে যান। এ সময় বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের কেউ কেউ বিচার বিভাগকে গালাগালও দেন।
আদালতের আইনজীবীদের এই নজীরবিহীন হট্টগোল গতকাল ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি। এই খবর দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।