রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আগামী ৯ ডিসেম্বর কুমিল্লা উত্তর জেলা আ.লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলন চান্দিনা মহিলা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে জেলার নেতারা প্রচার-প্রচারনা, মঞ্চ তৈরি ও মাঠ পরিদর্শন, তৃণমূলের সাথে ঘন ঘন বৈঠকে করছেন। এছাড়াও পদ-পদবি পেতে কেন্দ্রে দৌড়ঝাপও করছেন।
মুরাদনগরের জাহাপুরে গতকাল বিকেলের নেতাকর্মীদের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনকে ঘিরে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস-উল্লাস লক্ষ্য করা গেছে। বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে দক্ষ, ত্যাগি, তৃণমূলের সাথে সম্পৃক্ত স্বচ্ছ ভাবমূর্তির পরিচ্ছন্ন নেতাদের নেতৃত্বে আনতে সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা কয়েকগুন বেড়ে গেছে। তারা ঐক্যবদ্ধ তাদের কাঙ্খিত নেতা নির্বাচনে। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা দলের দুর্দিনে যেসব নেতা দলের হাল ধরেছে, কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে এমন নেতৃত্ব চায়। তবে সাত উপজেলার তৃণমূল মাঠে জেলার সম্ভাব্য সভাপতির পদ নিয়েই এখন আলোচনা-পর্যালোচনা ও জল্পনা-কল্পনা চলেেছ। সম্মেলনকে ঘিরে জেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক রুহুল আমিনের নাম সভাপতির প্রার্থী হিসেবে শোনা গেলেও নেতাকর্মীদের আলোচনায় জাহাঙ্গীর আলমের নাম উঠে আসছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বললে দলের দুর্দিনে তাদের পাশে থাকা কাঙ্খিত নেতা জাহাঙ্গীর আলম সরকারের নাম উল্লেখ করেন। তৃণমুল নেতাকর্মীরা বলছেন, দলের দুর্দিনের কান্ডারি ও আমাদের অভিভাবক জাহাঙ্গীর আলম সরকার। দলের দুর্দিনে একমাত্র তাকেই কাছে পেয়েছেন তারা। তারা বলেন, জাহাঙ্গীর আলম ২৭ বছর দলের সেক্রেটারি থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী সৃষ্টি করেছেন। তিনি তৃণমূলের নেতা, মাঠের নেতা, তিনি আমাদের অভিভাবক। এই অঞ্চলে আ.লীগ বলতে আমরা জাহাঙ্গীর আলম সরকাকে বুঝি। তিনি দলের ও কর্মীদের প্রকৃত নিবেদিত প্রান। তাকে আমরা সবসময় পাশে পেয়েছি। তাকে ছাড়া এখানে সভাপতি হওয়ার মতো নেতা এখনো তৈরি হয়নি। মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সাথে আলাপকালে এমন চিত্রই ফুটে উঠে। তৃণমূলের আ.রাজনৈতিক অভিভাবক উল্লেখ করে নেতারা দাবি করে বলেন জাহাঙ্গীর আলমকে আমরা জেলার সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই, পেতে চাই।
দাউদকান্দি উপজেলা আ.লীগ সভাপতি এড. আহসান হাবীব চৌধুরী লিল মিয়া ইনকিলাবকে বলেন, বিগত দিনে দলের দুর্দিনে যাদের কাছে নেতাকর্মীরা আশ্রয় পেয়েছে, নিরাপত্তা পেয়েছে, আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছে, দলের হাল ধরে রেখেছে এমন নেতা নেতৃত্বে আসলে দল আরো বেশি চাঙ্গা হবে, তৃণমূল খুশি হবে। মেঘনা উপজেলা আ.লীগ সেক্রেটারি এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রতন সিকদার বলেন, সত্যিকারভাবে বিগত দিনে যারা আ.লীগ করেছে, তৃণমূলকে ধরে রেখেছে ও নেতাকর্মীদের মূল্যায়িত করেছে এমন নেতৃত্ব চাই। চান্দিনা উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. মহিউদ্দিন আহমেদ আলম বলেন, কর্মীবান্ধব ও তৃণমূলের সাথে বিগত দিনে সম্পৃক্ত ছিলো এমন নেতা নেতৃত্বে দেখতে চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।