Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লন্ডনে মালিক রিয়াজের সম্পত্তি বিক্রিতে জটিলতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৪:৫৯ পিএম

রিয়েল এস্টেট ম্যাগনেট মালিক রিয়াজের হাইড পার্কের ফ্ল্যাট বিক্রির বিষয়ে বিরোধিতা করে যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থা (এনসিএ) বুধবার একটি বিবৃতি জারি করেছে। একদিন আগেই তার কাছ থেকে ১৯ কোটি পাউন্ডের আপোষ-রফার প্রস্তাবে রাজি হয়েছিল ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এবার মালিক রিয়াজের পরিবারের সম্পত্তির তদন্তে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘এনসিএ’র অবস্থান পরিস্থিতি আবার জটিল করে তুলেছে।

গত মঙ্গলবার মালিক রিয়াজ টুইট করে বলেছিলেন, ‘আমি বাহরিয়া টাউন করাচি মামলায় পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের কাছে ১৯ কোটি পাউন্ড জমা দেয়ার জন্য যুক্তরাজ্যে আমাদের আইনত ও ঘোষিত সম্পত্তি বিক্রি করেছি।’ তবে, তবে মালিক রিয়াজের সম্পদ বিক্রি করার ফলস্বরূপ এই বন্দোবস্ত হয়েছে কিনা তা তার জবাবে এনসিএর একজন সিনিয়র যোগাযোগ কর্মকর্তা পাক বার্তা সংস্থা ডনকে জানান, ‘এনসিএ এই সম্পত্তির মালিকানা নিয়েছে এবং তা নিয়ম অনুযায়ী বিক্রি করা হবে।’

এই বিবৃতির আলোকে স্পষ্টত যে, ৫ কোটি পাউন্ডের সম্পত্তিটির মালিকানা এখন প্রশ্নের মুখে। লন্ডনের ১ নং হাইড পার্ক প্লেসটির দখল এখন ব্রিটিশ অপরাধ সংস্থার কাছে রয়েছে এবং এর বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত যে কোনও তহবিল তাদের হাতেই থাকবে যতদিন না তারা পাকিস্তানে ফিরে যাবেন। বাহিয়া টাউন মামলায় সম্মত অর্থ প্রদানে মালিক রিয়াজ কীভাবে এই তহবিল ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছেন তা স্পষ্ট নয়।

চলতি বছরের মার্চ মাসে বিচারপতি শেখ আজমত সাইদের এর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নের জন্য বাহরিয়া টাউন কর্তৃক ৪৬০ বিলিয়ন রুপি দেয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল। যার মধ্যে সিন্ধু সরকারের মালির উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে জমি অনুদান দেয়ার কথা ছিল।

মঙ্গলবার এনসিএ বলেছিল যে, তারা মালিক রিয়াজের সম্পত্তি ও বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের বিষয়ে এক মাস দীর্ঘ তদন্তের পরে তার পরিবারের কাছ থেকে ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ডে প্রদানের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ক্ষমতায় আসার পরপরই ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে রিয়াজের মালিকানাধীন সম্পত্তি এবং সম্পদের তদন্তে এনসিএর পদক্ষেপের প্রথম রেকর্ডটি প্রকাশ পেয়েছিল। অপরাধ সংস্থাটি চলতি বছরের ১৪ আগস্ট এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘এনসিএ আটটি ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার আদেশ দিয়েছে, যাতে মোট ১০ কোটি পাউন্ডের বেশি জমা আছে। এসব টাকা বিদেশী কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ঘুষ এবং দুর্নীতি থেকে প্রাপ্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।’

পাকিস্তানের অন্যতম ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব মালিক রিয়াজের প্রতিষ্ঠানে দেশটির ব্যক্তিগত মালিকানাখাতের সবচেয়ে বেশি কর্মী কাজ করেন। বিত্তশালী ও অভিজাত আবাসিক এলাকার মালিকানার জন্য তার খ্যাতি রয়েছে। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দাতব্য কর্মকাণ্ডের জন্য তার ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে।

এতে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান আরও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদরা বিপুল সম্পদ দেশের বাইরে পাচার করেছে বলে যে অভিযোগ তার সরকার করে আসছে, তার ফিরিয়ে আনতে তিনি এখন পর্যন্ত সফল হননি। সূত্র: ডন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাজ্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ