পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতে একের পর এক রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবির কারণ হিসেবে এনআরসি আতঙ্কের কথা উঠে এলেও বিজেপি যে তাদের ভাবনা থেকে সরছে না, এবার তা স্পষ্ট করে দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। গত রোববার ঝাড়খন্ডের বোকারোয় ভোটের প্রচারে গিয়ে রাজনাথ জানিয়ে দিলেন, যতই সমালোচনা হোক, পুরো দেশ জুড়ে, সব রাজ্যেই জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ (এনআরসি) করা হবে।
কয়েকদিন আগে রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে ঠিক একই কথা বলেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধীরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। তার পরও সরকার যে অবস্থান বদলাচ্ছে না, তা এ দিন স্পষ্ট করে দিলেন মোদি মন্ত্রিসভার আরও এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। শুধু তাই নয়, অযোধ্যায় বিশালাকার রামমন্দির যে হচ্ছেই, সে ব্যাপারেও আশ্বাস দিয়েছেন রাজনাথ।
রোববার ঝাড়খন্ড রাজ্যের বোকারোয় এক নির্বাচনী জনসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘আমরা ভারতের প্রতিটি রাজ্যে এনআরসি কার্যকর করব। কে দেশের বৈধ নাগরিক, আর কে অনুপ্রবেশকারী, তা জানার অধিকার দেশবাসীর রয়েছে। কিছু রাজনৈতিক দল এতে আমাদের সাম্প্রদায়িক বললেও আমাদের কিছু আসে-যায় না।’ তিনি এ কথাও বলেন, ‘নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা যখন রামমন্দির নির্মাণের কথা বলেছিলাম, তখন অনেকে হেসেছিলেন। কিন্তু এবার রামমন্দির নির্মাণ ঠেকানোর ক্ষমতা কারও নেই। বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি মোতাবেক অযোধ্যায় আমরা এক সুবিশাল রামমন্দির তৈরি করব।’
এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতীয় পার্লামেন্টে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘মোদি ও অমিত শাহও তো অনুপ্রবেশকারী। কারণ তারা নিজেরাই প্রবাসী। ভারত সবার। দেশটা কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ ভিন্ন রাজ্যের। দিল্লিতে তো তারাও অনুপ্রবেশকারী। তারা গুজরাট থেকে দিল্লিতে এসেছেন। তাই তারা নিজেরাই প্রবাসী।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের তিনটি বিধানসভার শূন্য আসনে উপনির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে তিনটি আসনেই হারে বিজেপি। এই তিনটি আসনের একটি করে ছিল তৃণমূল, কংগ্রেস ও বিজেপির। বিজেপি দাবি করেছিল, তিনটি আসনেই তারা জয়ী হবে। কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো। তিনটি আসনই যায় তৃণমূলের ঝুলিতে। এই জয়ের পর পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এই কথা চালু হয়েছে যে, এনআরসির কারণেই তৃণম‚ল জিতেছে। আর হেরেছে বিজেপি। কারণ, এনআরসির বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনে রয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে এনআরসি কার্যকর করার পক্ষে রয়েছে বিজেপি। সূত্র : পিটিআই, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।