পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানুষকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে কেউ চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না, পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, কেউ টিকে থাকতে পারেনি। গণতন্ত্রের জন্য সাধারণ মানুষ জীবন দিয়েছিল। সেই কারণে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু আজকের শোষক-শাসক সমাজ বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, সেখানে কারো জীবন নিরাপদ নয়, কারো জীবনে কোনো স্বাধীনতা নেই, কথা বলার স্বাধীনতা নেই। কেউ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে হুমকি দেয়, মামলা-হামলার কথা নাই বা বললাম। বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আগামীতে তার নেতৃত্বে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো। এজন্য আন্দোলন করতে হবে ঠা-া মাথায়। তার আগে আন্দোলনের বাস্তবতাকে মাথায় রেখে পরিকল্পনা করতে হবে। তিনি বলেন, আজকে যে আলোচনা হয়েছে পাশাপাশি আত্মসমালোচনা হয়েছে এতে আমি বিশেষভাবে সন্তুষ্ট। আত্মসমালোচনা অবশ্যই আমাদের প্রয়োজন। আমরা ভুল করলে, অবশ্যই তা স্বীকার করতে হবে। যেসব ভুল নিজেদের ভেতরে বললে সমাধান হয়, সেটা প্রকাশ্যে বলা যাবে না। আর যেটা প্রকাশ্যে বললে সমাধান হয়, সেটা ভেতরে বলা যাবে না।
বিএনপি নেতা বলেন, রাস্তায় গিয়ে ৫-৭ মানুষ কথা বলতে পারি- সেই অবস্থা আজকের বাংলাদেশে নেই। এই যে বাস্তবতা, সেটা আমাদের প্রত্যেককেই বুঝতে হবে। আমরা আইয়ুবের শাসন দেখেছি, ইয়াহিয়ার শাসন দেখেছি, এরশাদের শাসন দেখেছি। ’৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে চারজন শহীদকে আমরা মনে রেখেছি। এই চারজন জীবন দিয়ে সারা পাকিস্তান তোলপাড় করে দিয়েছিল। ভাষা আন্দোলনে আমাদের স্বাধীনতার বীজ বপন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই আন্দোলনে জীবন দিয়েছিলেন মাত্র চারজন। আইয়ুব খানের সময় রাজশাহীতে ড. জোহা, এরশাদের সময় জিপিও মোড়ে একটি মাত্র জীবন গিয়েছিল।
তিনি বলেন, যে বাস্তবতার কথা আমি বলছি সেটা হলো- বিগত ১০ বছরে বর্তমান স্বৈরশাসকের আমলে কত হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে? কাজেই আজকের সরকারের সঙ্গে পূর্ববর্তী শাসকদের যে একটি কোয়ালিটি ডিফারেন্স, গুণগত ব্যবধান আছে, সেটি আপনারা ভুলে যাবেন না। কাজেই বায়ান্নর আন্দোলন ও ঊনসত্তরের আন্দোলনের সঙ্গে আজকের আন্দোলনের গুণগত ফারাক থাকতে হবে। যদি সেই ফারাক না থাকে, তাহলে এই আন্দোলন সফল হবে না। হুট করে রাস্তায় নেমে দু’টো স্লোগান দিলাম, আর গুলি খেয়ে প্রাণ হারালাম। কারণ, এই সরকার আমাদেরকে (গুলি করতে) ছাড়বে না। এই সরকারকে কাবু করতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের একটি মাত্র উপায়, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে, এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। আর এই সরকারকে বিদায় দিতে হলে যে আন্দোলনের কথা আপনারা বলেছেন, সেই আন্দোলন করতে হবে ঠান্ডা মাথায়। বাস্তবধর্মী পরিকল্পনার ভিত্তিতে।
মঈন খান বলেন, এখন বাংলাদেশের ভ্যালুজ সিস্টেম হয়েছে বিত্ত, বৈভব, সম্পদ। এখানে মানবাধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই। এখানে দৈনন্দিন কার্যক্রম হচ্ছে খুন, রাহাজানি। এখানে দৈনন্দিন কর্মকান্ড- হচ্ছে নারী- এমনকি অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের সম্ভ্রমহানি। এই বাংলাদেশের জন্য কি তারা (মুক্তিযোদ্ধারা) জীবন দিয়েছিল? এ প্রশ্নের উত্তর আজ আওয়ামী লীগকে দিতে হবে।
নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহম্মদ রহমাতুল্লাহ, নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।