মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কাশ্মীরেও হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল লন্ডন ব্রিজের হামলাকারী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত উসমান খানের। ২০১২ সালে একটি সন্ত্রাস মামলায় লন্ডনের একটি আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। সেইসময় বিচারপতি যে রায় দিয়েছিলেন, তাতেই এমনটা জানিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার লন্ডন ব্রিজে হামলার পর নতুন করে বিষয়টি সামনে এল।
২০১০ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে কয়েক জন সঙ্গীর সঙ্গে মিলে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনাকারী ছিল উসমান। লন্ডনের তৎকালীন মেয়র বরিস জনসনও তাদের হিটলিস্টে ছিল। সেই মামলায় ২০১২ সালে উসমানকে দোষী সাব্যস্ত করে একটি আদালত। বিচারপতি জানান, ‘উসমান এবং তার সঙ্গী নাজার হুসেন মাদ্রাসায় পড়েছে। কাশ্মীরে বড় ধরনের নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ব্রিটেন থেকে অল্পবয়সী মুসলিম ছেলেদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশে-বিদেশে হামলা চালাতে চায়। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক এরা।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, উসমানের পরিবার আদতে আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দা। সেখানে জমি এবং সম্পত্তিও রয়েছে তাদের। উসমান ব্রিটেনে জন্মালেও, শৈশবের একটা বড় অংশ পাকিস্তানে কেটেছে। সেইসময়ই জঙ্গি সংগঠন আলকায়দার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয় সে। সেখান থেকে ফিরে ব্রিটেনে জিহাদি কাজকর্মে লিপ্ত হয় উসমান। ইন্টারনেটে অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের মগজধোলাই শুরু করে। সেইসময় স্টোক শহরে কয়েকজন অল্পবয়সী জিহাদির সংস্পর্শে আসে সে। তারা মিলেই লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে হামলার পরিকল্পনা করে। সেখানকার মার্কিন দূতাবাস এবং লন্ডনের তৎকালীন মেয়র বরিস জনসনের বাড়ির ঠিকানাও তাদের লিস্টে ছিল।
তবে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে তারা। সন্ত্রাস মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় সকলে। উসমানকে আট বছরের সাজা শোনায় আদালত। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত বছর শর্তসাপেক্ষে প্যারোলে জেল থেকে বেরিয়ে আসে সে। জেল থেকে ছাড়া পেলেও, উসমানের উপর নজর রাখতে তার শরীরে একটি চিপ বসিয়ে দেওয়া হয়।
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে স্ট্যাফোর্ডশায়ারেই ছিল সে। শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পথেই লন্ডন ব্রিজে সাধারণ মানুষের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। তাতে দু’জনের মৃত্যু হয়। পুলিশের গুলিতে মারা যায় উসমানও। তার পর থেকেই তাকে নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে সে দেশে। বিচারপতি স্বয়ং যাকে বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেছিলেন, সেই জঙ্গি মেয়াদ শেষের আগেই জেল থেকে ছাড়া পেল কী ভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সূত্র: টেলিগ্রাফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।