Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ছাড়পত্র পেল ইউরোপের ‘মন্ত্রিসভা’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম


ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নতুন ইউরোপীয় কমিশনকে ছাড়পত্র দিয়েছে। ১ ডিসেম্বর থেকে কমিশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করছেন উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন। তিনি কমিশনের নীতিমালা তুলে ধরেছেন।

একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে বেশিদিন নেতৃত্বহীন হয়ে থাকা যে বাঞ্ছনীয় নয়, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না। বুধবার শেষ বাধা অতিক্রম করে নতুন ইইউ কমিশন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের কাছ থেকে যাত্রা শুরু করার ছাড়পত্র পেলো। ফলে আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনের নেতৃত্বে ২৬ জন কমিশনরের ‘মন্ত্রিসভা’ কার্যভার গ্রহণ করবে। উল্লেখ্য, ইউরোপীয় কমিশনই এই রাষ্ট্রজোটের নির্বাহী শাখা। সদ্য গঠিত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও সদস্য রাষ্ট্রগুলির পরিষদের পাশাপাশি এই ‘মন্ত্রিসভা’ গুরুত্বপূর্ণ নীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করে থাকে।

ইইউ কমিশনের নতুন প্রেসিডেন্ট জার্মানির উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন ইইউ পার্লামেন্টে তার কার্যকালের রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি সমাজ ও অর্থনীতির সব অংশে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেন। বিশ্বমঞ্চে ইইউ-র আরো সক্রিয় ভূমিকার অঙ্গীকার করেন তিনি। সেইসঙ্গে আবহাওয়া পরিবর্তনের মোকাবিলা করতে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন পুরোপুরি বন্ধ করতে আইনসিদ্ধ অঙ্গীকার করতে চান জার্মানির প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ইউরোপে ডিজিটাল অবকাঠামো আরো মজবুত করার লক্ষ্য স্থির করেছেন ফন ডেয়ার লাইয়েন। সময় নষ্ট না করে সবাই মিলে কাজে নামা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জটিল অথচ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে এবারের কমিশন গঠনের কাজ একাধিক বাধার মুখে পড়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রধান দলগুলির মধ্যে দরকষাকষির ফলে মূল প্রার্থীদের মধ্যে কেউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য যথেষ্ট সমর্থন পাননি। অবশেষে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে ফন ডেয়ার লাইয়েনের নাম উঠে আসে। নিয়ম অনুযায়ী তিনি প্রত্যেক সদস্য দেশ থেকে একজন করে কমিশনর বা ‘মন্ত্রী’দের যে তালিকা স্থির করেন, সেটির মধ্যে তিন জন পার্লামেন্টের অনুমোদন পাননি। নিয়ম অনুযায়ী ব্রিটেন শেষ পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করেনি। এমন সব জটিলতার কারণে ১ নভেম্বরের বদলে ১ ডিসেম্বর কমিশন কার্যভার গ্রহণ করতে পারছে। গত নির্বাচনের পর ইউরোপীয় পার্লামেন্টে রাজনৈতিক সমীকরণ অনেকটা বদলে গেছে। প্রধান দুই শিবিরের ক্ষমতা অনেক কমে গেছে। ফলে একাধিক শিবিরের মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া কমিশনের পক্ষে অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। রক্ষণশীল, সমাজতন্ত্রী ও উদারপন্থি শিবির এ ক্ষেত্রে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। কিছু ক্ষেত্রে শক্তিশালী সবুজ দলের সহযোগিতারও প্রয়োজন হবে।

আবহাওয়া পরিবর্তনের পাশাপাশি অভিবাসনের বিষয়টিও নতুন কমিশনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে চলেছে। সাম্প্রতিক কালের শরণার্থী সংকটের পর ইইউ-র অভিবাসন প্রণালীর আমূল সংস্কারের জন্য চাপ বাড়ছে। উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাড়পত্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ