Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনে একনায়কত্বমূলক শাসন আর কতদিন চলবে?

মোহাম্মদ আবদুল গফুর | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

বাংলাদেশের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ ভারত আমাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছিল। সেজন্য বাংলাদেশের জনগণের অনেকে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ করেন। তবে মুক্তিযুদ্ধের সফল সমাপ্তির পরও ভারতীয় বাহিনীর একাংশ বাংলাদেশে থেকে যায় অনির্দিষ্টকালের জন্য। যে খবর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানের রাজধানীতে স্বেচ্ছাবন্দী হয়ে থাকেন বাংলাদেশের অবিসম্বাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধ শেষে তিনি লন্ডন যেয়ে প্রথম জানতে পারেন এই দুঃসংবাদ। সাথে সাথে তিনি এ সম্পর্কে তাঁর ইতিকর্তব্য ঠিক করে ফেলেন।

তিনি লন্ডন থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথে নয়াদিল্লী বিমানবন্দরে স্বল্পবিরতিকালে প্রথম সুযোগেই তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে প্রশ্ন করে বসেন, ম্যাডাম, আপনার বাহিনীকে কখন বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনবেন? জবাবে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, আপনি যখন বলবেন, তখনই। ফলে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় বাহিনী নিজের অনিচ্ছা সত্তে¡ও ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হন ইন্দিরা গান্ধী। নইলে ভারতকে শক্তিশালী বিশ্বজনমতের কাছে অপরাধী বিবেচিত হতে হতো।

এরফলে ভারত যে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যে দানের মাধ্যমে বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র হিসাবে দাবি করতে চেষ্টা করে থাকে সে দাবির বাস্তবতা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয় বাংলাদেশীদের মনে। তাদের ধারণা একটি শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্র ভেঙ্গে দুই খন্ডকে করে দুর্বল করে দেয়াই ছিল ভারতীয় নেতৃবৃন্দের প্রকৃত লক্ষ্য। গঙ্গা নদীর সামান্য উজানে ভারতে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ এবং তিস্তা নদীর সামান্য উজানে ভারতে গজলডোবা বাঁধ নির্মাণ করে এই দুই নদীর প্রাকৃতিক পানি প্রবাহ থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করাই যে ছিল আধিপত্যবাদী ভারতের প্রধান লক্ষ্য একথা এখন বিশ্বাস করেন বাংলাদেশের সচেতন জনগণ।

তথাকথিত বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের এ অনাকাংখিত ভূমিকার প্রেক্ষাপটে মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র বাংলাদেশের অনেকেই ভারতের তুলনায় চীনকে বাংলাদেশের প্রকৃত মিত্র দেশ হিসাবে বিশ্বাস করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু এ ব্যাপারে সর্বশেষ যেসব তথ্য বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তাতে অনেকের মনেই মুসলিম-প্রধান অন্যতম দেশ বাংলাদেশের অনেকের মনেও নানান প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম যে প্রশ্নটি আমাদের সব চাইতে বেশি দাগ কেটেছে তা হলো চীনের অন্যতম প্রদেশ সিনকিয়াং (জিনজিয়াং) এর বাস্তবতা যেখানে মেজরিটি জনগণ মুসলিম। সিনকিয়াংয়ের মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে বিনষ্ট করার লক্ষ্যে চীনের রাষ্ট্রীয় কর্তৃৃপক্ষের নানারকম অপতৎপরতার কথা। সংবাদপত্রের নিয়মিত পাঠকদের জেনে থাকার কথা যে চীনের দক্ষিণ পশ্চিমে যে সিনকিয়াং প্রদেশের অবস্থান যেখানে উইঘুর সম্প্রদায়ের বাস, যারা দীর্ঘ কাল ধরে সেখানে বাস করে আসছেন। তাদের বিপুল মেজরিটি অংশ মুসলমান।

ব্যক্তিগত আমি উইঘুর মুসলমানদের কথা প্রথম জানতে পারি, যখন তমদ্দুন মজলিসের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে সাতদিনব্যাপী ইসলামী সাংস্কৃতিক সম্মেলনের আয়োজন করি। উল্লেখযোগ্য যে ঐ সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলাম আমি এবং সভাপতি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপাল ইবরাহিম খাঁ। সে সম্মেলন উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভাষাবিদ ও মনীষী ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।

ঐ সম্মেলনে পাকিস্তান ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি মুসলিম দেশ থেকে বহু প্রতিনিধি যোগ দেন। ঐ সম্মেলনে রুহি উইঘুর নামের এক মুসলিম উইঘুর মনীষী উইঘুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে চীনা কর্তৃপক্ষ কীভাবে নির্যাতন চালাচ্ছিল সে কথা বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছিল। তাঁর পাঠানো প্রবন্ধটি ছিল ইংরেজীতে লেখা। ঐ ইংরেজী প্রবন্ধটি সম্মেলনে পাঠ করা হয়েছিল, যদিও লেখক সঙ্গত কারণেই ঐ সম্মেলনে নিজে উপস্থিত থাকতে পারেননি। ঐ সম্মেলনে পঠিত প্রবন্ধের মাধ্যমেই আমরা চীনের সিনকিয়াং নামের মুসলিম প্রধান প্রদেশের মুসলমানদের উপর কীভাবে নির্যাতন চালানো হয়, সে সম্পর্কে আমরা প্রথম জানতে পারি।

এ বিষয়টি নতুন করে মনে পড়লো ঢাকার কয়েকটি দৈনিক সংবাদপত্রে সম্প্রতি এই সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার ফলে। এসব দৈনিক সংবাদপত্রের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক নয়া দিগন্ত, দৈনিক সমকাল প্রভৃতি। এ সম্পর্কে দৈনিক ইত্তেফাকে গত মঙ্গলবারের সংখ্যায় যে খবরটি বেরিয়েছে তার শিরোনাম ছিল: চীনে মুসলিমদের মগজ ধোলাইয়ের দলীল ফাঁস।

প্রকাশিত সংবাদটিতে বলা হয় : চীনে কয়েক লাখ উইঘুর মুসলিমকে যেভাবে গোপন বন্দীশালায় নিয়ে মগজ ধোলাই করা হচ্ছে তার দলিলপত্র সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে। চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং (সিনকিয়াং) প্রদেশে যে ধরনের বন্দীশালার কথা চীন বরাবরই অস্বীকার করে আসছে এবং চীন বলে থাকে যে, মুসলিমরা নিজেরাই এখানে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছে। তাদের দাবি এগুলো আসলে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা শিবির। কিন্তু অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা সিআইজে যেসব ফাঁস হয়ে যাওয়া গোপন দলিলপত্র হাতে পেয়েছে, তাতে দেখা যায় কীভাবে ঐ উইঘুর মুসলিমদের বন্দী করে মগজ ধোলাই করা হচ্ছে, শাস্তি দেয়া হচ্ছে। তাতে দেখা যায় কীভাবে ঐ উইঘুর মুসলিমদের কীভাবে বন্দী করে মগজ ধোলাই করা হচ্ছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের এই দলে রয়েছেন বিবিসিসহ ১৭টি সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক। যুক্তরাজ্যে চীনের রাষ্ট্রদূত অবশ্য বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব অস্বীকার করেছেন। কিন্তু বাস্তব সত্য এসব ভূয়া এসব শিবিরে ১০ লাখেরও বেশি মুসলিমকে বিনা বিচার আটকে রাখা হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের।

বিবিসির কাছে যেসব দলিল এসেছে সেগুলো মূলত কীভাবে এই বন্দী শিবির চালাতে হবে তার নির্দেশনা। জিনজিয়াং (সিনকিয়াং) কমিউনিস্ট পার্টির ডেপুটি সেক্রেটারী কু আইলন ২০১৭ সালে ৯ পৃষ্ঠার এই সরকারি দলিল পাঠিয়েছিলেন যারা এই সব বন্দী শিবির পরিচালনা করেন তাদের কাছে।

শুধু দৈনিক ইত্তেফাক নয়, দৈনিক প্রথম আলোতেও গত মঙ্গলবারের সংখ্যায় ৯ম পৃষ্ঠায় এ সম্পর্কিত যে খবর বেরিয়েছে, যার শিরোনাম ছিল: ‘চীনের বন্দী শিবিরগুলোর চলে মগজ ধোলাই ও শাস্তি। উপশিরোনাম ছিল: উইঘুর নির্যাতন নিয়ে নতুন নথি’। আরও ছিল: গত রবিবার ফাঁস হওয়া নথিতে উইঘুর নির্যাতনের বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে। প্রায় ১০ লাখ মুসলমানকে আটকে রাখা হয়েছে। বিবিসি ও রয়টার্স পরিবেশিত এসব খবরে বলা হয়েছে : চীনে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টিত বন্দী শিবিরে লাখ লাখ মুসলমানকে কৌশলে করা হচ্ছে মগজধোলাই। সঙ্গে চলছে নিপীড়ন নির্যাতন। গত রবিবার ফাঁস হওয়া নতুন নথিতে উইঘুর নির্যাতনের যেসব তথ্য বিস্তারিত উঠে এসেছে। এসব খবরে এমনকি ঘরের দরজা কখন বন্ধ করতে হবে সেসবও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এই সব বন্দী শিবিরে।

দৈনিক সমকাল এর গত মঙ্গলবারের সংখ্যায় এ বিষয়ে যে খবর বের হয় তার শিরোনাম ছিল: চীনে উইঘুর (মুসলিম) নির্যাতনের নতুন নথি ফাঁস। এ সম্পর্কিত খবরে এ বিষয়ে যে সংবাদ তথ্য প্রকাশিত হয় তাতে বলা হয়: চীনের জিনজিয়াং (সিনকিয়াং) প্রদেশে উইঘুরসহ অন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের বৃত্তিমূলক শিক্ষাদানের নামে যেসব যুবকদের প্রতিষ্ঠান চালানো হয়ে থাকে, সেগুলো আসলে বন্দী শিবির। নতুন করে ফাঁস হওয়া চীনের সরকারি নথিপত্র থেকে সেখানে নির্যাতনের আরও তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গত রবিবার বিশ্বের ১৭টি গণমাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টদের (আইসিসিআইকে) এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, জিনজিয়াং (সিনকিয়াং) এর প্রশিক্ষণ শিবিরগুলোতে খুব কড়া প্রটোকল রক্ষা করা হয় সিনসিয়াংয়ের এই বন্দী শিবিরগুলোতে। খবর এএফপির। এসব শিবিরে কমপক্ষে ১০ লক্ষ উইঘুর মুসলমানকে আটক করে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যান্য অঞ্চলের মুসলমান যুবকও রয়েছে। একটি নথিতে এমনও দেখা গেছে, স্থানীয় কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, টয়লেটের সময় ছাড়া যেন অন্য সব সময় বন্দীদের উপর যেন নজর রাখা হয়। এমন কি নথিতে এমনও বলা হয়েছে, বন্দীরা যাতে কারো সাথে আড্ডা দিতে না পারে।

এক সপ্তাহ আগে চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিংপিং চীনের উইঘুর মুসলমানদের বিচ্ছিন্নবাদী আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি জানিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস-এও উইঘুদের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। তার মাত্র একসপ্তাহ পরেই চীনে সংখ্যালঘু নির্যাতনের নতুন দালিলিক খবর পাওয়া গেল।

চীন সম্পর্কে এসব খবর আমাদের কাছে মোটেই নতুন নয়। আমরা আগেও একাধিকবার এসব সম্পর্কে লিখেছি। উইঘুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে চীনের রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের নির্যাতনের প্রধান কারণ চীনে একমাত্র একটি রাজনৈতিক দল কমিউনিস্ট পার্টি ছাড়া অন্য কোন দলকে বৈধতা দেয়া হয়নি। এককালে অধুনালুপ্ত সোভিয়েট ইউনিয়নকে বিশ্বের রাজনৈতিক সচেতন জনগণ যে চোখে দেখতো এখন চীনে চলছে সেই ধরনের একনায়কত্বমূলক নির্যাতন তথা শাসনব্যবস্থা।

এককালের সোভিয়েত ইউনিয়নে যেভাবে এক দলীয় একনায়কত্বমূলক শাসন চলতো সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এখন সেখানে গণতন্ত্র অনেকটাই পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেকালের একদলীয় একনায়কত্বমূলত শাসনব্যবস্থার অবসান হওয়াতে এককালের সোভিয়েত শাসিত মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলোতে এখন গড়ে উঠেছে অনেকগুলি স্বাধীন মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র। এর একটিতে এই সেদিনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফর করে এসেছেন।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, কম্যুনিস্ট চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাওসে তুং একবার বলেছিলেন, চীনের রাষ্ট্রব্যবস্থা কিছুতেই সোভিয়েত ইউনিয়নের মত একদলীয় একনায়কত্বমূলক ব্যবস্থা হবে না। চীনের রাষ্ট্রব্যবস্থা অবশ্যই চৈনিক বাস্তবতার সাথে হবে সঙ্গতিশীল। কিন্তু এখন দুর্ভাগ্যের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে এক কালের একদলীয় একনায়কত্বমূলক শাসনব্যবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে রাশিয়াতে গণতন্ত্র অনেকটা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলেও চীনে এখনও চলছে এককালের সোভিয়েত ইউনিয়নের মত এক দলীয় একনায়কত্বমূলক শাসনব্যবস্থা, যার বিশেষভাবে শিকার হচ্ছে চীনের দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় অবস্থিত মুসলিম প্রধান সিনকিয়াংয়ের মুসলমানরা।

এই নির্যাতনের অন্যতমপন্থা যা অবলম্বিত হচ্ছে তা হলো: শৈশবকালেই মুসলিম পরিবার থেকে শিশু-কিশোর তরুণদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে প্রশিক্ষণ দেয়ার নামে তাদের পারিবারিক ইসলামী ঐতিহ্য থেকে বঞ্চিত হিসাবে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা। তবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, চীনের এ অন্যায় ব্যবস্থা বেশি দিন টিকিয়ে রাখা কিছুতেই সম্ভব হবে না।

ইতোমধ্যেই চীনের নিয়ন্ত্রণাধীন হংকংয়ে এর নমুনা কিছুটা দেখা গেছে। সেখানে অবাধ নির্বাচন হওয়ায় সেখানকার ভোটাররা বিশাল সংখ্যাধিক্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে রায় দিয়েছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে চীনা কর্তৃপক্ষ হুমকি দিয়েছে, তারা কিছুতেই হংকংয়ের এ নির্বাচনী ফলাফল মেনে নেবে না। কিন্তু বিশ্বের সদাপরিবর্তনশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে হংকংয়ের জনগণের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার এ আকাক্সক্ষা চীন কিছুতেই থামিয়ে রাখতে পারবে না। এ ব্যাপারে আমাদের বিশ্বাস, সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো চীনেও অদূর ভবিষ্যতে কমিউনিস্ট পার্টির একনায়কত্বমূলক শাসনের অবসান এবং গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকামী জনগণের সংগ্রামের বিজয় আসবে।



 

Show all comments
  • jack ali ২৮ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:৫২ এএম says : 0
    May Allah [SWT] rescue our brother/sister from these barbarian Chinese government and punish them accordingly....Ameen
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন