বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের ওসমানীনগরে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজনীতিতে মেতেছেন কতিপয় শিক্ষক। চলতি পিইসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে তাদের রাজনীতি নোংরা আকার ধারণ করেছে। এতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থীদের খারাপ ফলাফলের আশঙ্কা করা হচ্ছে। চলতি পিইসি পরীক্ষায় গোয়ালাবাজার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠে। এ ব্যাপারে পরস্পর বিরোধী ৩টি অভিযোগ দেওয়া হয় উপজেলা প্রশাসন বরাবরে। উক্ত ৩টি অভিযোগের পেছনেই শিক্ষকদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন কি শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের উসকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ভীত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। অভিযোগ রয়েছে, কেন্দ্র পার্শ্ববর্তী এক শিক্ষক নেতা শিক্ষার্থীদের কাদা ছুঁড়াছুঁড়িতে উস্কে দিচ্ছেন।
জানা যায়, ১৯ নভেম্বর পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে গোয়ালাবাজার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে গোয়ালাবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী সহকারী হল সুপার সন্তোষ কুমার দেব ও কক্ষ পরিদর্শক মনোজ কুমার দাসের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণের অভিযোগ তুলে। একই দিন আরেকটি অভিযোগ দেয়া হয়। এ ব্যাপারে ২০ নভেম্বর ১৭ জন শিক্ষার্থী উপজেলা প্রশাসন বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেয়। অনুরূপ আরেকটি অভিযোগ দেয়া হয় ২১ নভেম্বর। অভিযোগে হল সুপার নেছার আহমদ ও ইনভিজিলেটর জুনেদ আহমদকে অভিযুক্ত করা হয়। উক্ত অভিযোগপত্রেও একাধিক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকের স্বাক্ষর রয়েছে।
এদিকে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নাম ব্যবহার করে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ প্রদান করা হয়েছে দাবী করে ২১ নভেম্বর অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আরেকটি পাল্টা অভিযোগ দেয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে। একাধিক ছাত্র ও অভিভাবকের স্বাক্ষর রয়েছে। তাদের দাবী, ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রলুব্দ করে উক্ত দুই শিক্ষকের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যা মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, শিক্ষকরা তাদের কাছ থেকে অভিযোগের স্বাক্ষর আদায় করছেন। তারা অনেকে অভিযোগ বিষয়েও জানে না।
পরীক্ষার্থী অভিভাবক মো: হাবিবুর রহমান বলেন, আমার সন্তানকে আমি পরীক্ষায় পাঠিয়েছি। কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে নয়। তার পরীক্ষায় কোন সমস্যা হলে সেটা শিক্ষক দেখবেন। না হলে আমায় জানাবেন। তাকে ভুল বুঝিয়ে আমায় না জানিয়ে স্বাক্ষর আদায় করা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ অন্যায়।
উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মোছা: তাহমিনা আক্তার বলেন, কেন্দ্রে কোন শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় সমস্যা হলে তা লিখিত বা মৌখিকভাবে দায়িত্বরত কর্মকর্তা বা সচিবকে জানানো যেতো। এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। বরং পরদিন সন্ধ্যায় এ ধরণের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী রবিবার তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।