২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
চুল পড়া স্বাভাবিক ব্যাপার। প্রতিদিন একজন মানুষের প্রায় ১০০টি চুল পড়ে। তবে এ প্রক্রিয়া যদি অস্বাভাবিক হয় এবং অধিক আকারে চুল পড়তে থাকে তাহলে দুশ্চিন্তার ব্যাপার। এর চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন। প্রথমেই বলে রাখি, বংশগত বা জেনেটিক কারণে চুল পড়ার ক্ষেত্রে হরমোন এবং বয়স একত্রিতভাবে চুলের ফলিকলগুলোকে সঙ্কুচিত করে ফেলে, যা চুলের বৃদ্ধিচক্রকে সংক্ষিপ্ত করে ফেলে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চুলের সক্রিয় বৃদ্ধি পর্যায় সংক্ষিপ্ত হয়ে আসে এবং রেস্টিং ফেইস দীর্ঘ হয়, সেহেতু চুলের বৃদ্ধি থেমে যায়। দেখা যায়, মিনোডিক্সিল ট্রপিক্যাল সলিউশন পার্শ্বীয়ভাবে চুলের ফলিকলগুলোকে বৃদ্ধি করার মাধ্যমে চুলের বৃদ্ধি পর্যায়কে সংক্ষিপ্ত করে, যা চুলকে লম্বা ও ঘন করতে সহায়তা করে। এছাড়া এটি রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয় বা চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। মিনক্সিডিল টাকের জন্য ব্যবহৃত হয়; কিন্তু এটা ব্যবহারের আগে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো আপনাকে সহায়তা করতে পারে।
* আপনার পরিবারের অথবা বংশের কোনো পুরুষ অথবা মহিলার চুল পড়া বা টাকের সমস্যা থাকলে।
* গোসলের সময়, বালিশে অথবা চিরুনিতে আগের চেয়ে বেশি চুল পড়তে দেখলে।
* চুল পড়ার কারণে ফাঁকা হয়ে যাওয়া অংশ ঢাকতে চুলের স্টাইল পরিবর্তন হলে।
যদি উপরে উল্লেখিত দুইবার বা তার বেশি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় তাহলে আপনি বংশগত টাক সমস্যায় ভুগছেন। মিনোডিক্সিল ট্রপিক্যাল সলিউশন ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে কেউ কেউ মাথার তালুতে আলতোভাবে চুলকানিজনিত অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। সাধারণত সলিউশনটি ১৮ বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিদের ব্যবহার করা উচিত নয়। মিনোডিক্সিল আসলে একটি ড্রপার বা মিক্স। এ মিক্সিট ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ব্যবহার করতে হয়। যারা চুলের সমস্যায় আক্রান্ত, তাদের মাথায় আক্রান্ত স্থানে ড্রপার দিয়ে ১ মিলি করে অথবা ৮ থেকে ১০টি স্প্রে দিয়ে দিনে দুইবার প্রয়োগ করতে হবে। প্রতিদিন সকালে ও রাতে দুইবার মাথায় ত্বকের উপরিভাগে চুলের হারানো অংশে প্রয়োগ করুন। রাতে ঘুমানোর দুই থেকে চার ঘণ্টা আগে ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই এটা ব্যবহারের আগে মাথা ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। এ প্রক্রিয়ার ফল পেতে চার মাস সময় লাগে। মিনোডিক্সিল ব্যবহারের একটি লক্ষণীয় দিক হলো রোগী নিজেই অনুধাবন করতে পারে এটা কাজ করছে কিনা, এটা ব্যবহারের দুই সপ্তাহের মধ্যে স্থায়ীভাবে চুল পড়া কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। এর অর্থ এই যে, চুলের নতুন বৃদ্ধি পর্যায় শুরু হয়েছে, পুরনো চুলগুলো নতুন চুলকে জায়গা করে দিচ্ছে। এর কিছুদিনের মধ্যে অর্থাৎ চার মাস ব্যবহারের পরই নতুন চুল গজাতে থাকবে। যাদের বংশগত টাক রয়েছে তাদের নতুন চুল গজানোর প্রক্রিয়া হিসেবে নিয়মিত ও রুটিনমাফিক ব্যবহার চালিয়ে যেতে হবে। মিনোক্সিল ট্রপিক্যাল সলিউশন ব্যবহার করার পর চুল শুকালে আপনি ¯েপ্র জেল ও চুল রঙ করাতে পারেন। এছাড়া কোমল ও সাধারণ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। তবে সর্বোত্তম চিকিৎসা হচ্ছে মিনোডিক্সিল ট্রপিক্যাল সলিউশনের সঙ্গে চজচ থেরাপি নেয়া।
সহকারী অধ্যাপক, চর্ম ও যৌন ও্ অ্যালার্জি বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
কামাল হেয়ার এন্ড স্কিন সেন্টার,
গ্রীণ রোড, ঢাকা। ০১৭১১৪৪০৫৫৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।