২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
টেস্টিং সল্ট নামের রাসায়নিক পদার্থটির সাথে আমরা সবাই তত বেশি পরিচিত নয়। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই তা মনের অজান্তে গ্রহন করে যাচ্ছে। এর ফলে শরীরে কী হচ্ছে তা সর্ম্পকে অব্যগত নই। খাবারের স্বাদ বাড়াতে বাড়িতে, বিভিন্ন হোটেলে বা রেস্টুরেন্টে এটি বহুল ব্যবহার করা হয়। টেস্টিং সল্ট বা স্বাদ লবণ খাদ্যের স্বাদ ও গন্ধকে আকর্ষণীয় করে তুলে। তখন খাওয়ার স্বাদও অনেক গুণ বেড়ে যায়। আর এজন্যই হোটেলের খাবারগুলো আমাদের নিকট মজাদার মনে হয়। টেস্টিং সল্টের রাসায়নিক নাম সোডিয়াম গ্লুকোমেট। যা মানুষের ¯œায়ুর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তা হয়ত আমরা অনেকেই জানি না। তাই আসুন এ সর্ম্পকে পুষ্টি বিজ্ঞানীদের কিছু মত জেনে নেই। টেস্টিং সল্ট আসলে খাবারকে মুখরোচক করার জন্য ব্যবহার করা হয়। কৃত্রিমভাবে স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত এ উপাদানটির কোন পুষ্টিগুণ নেই। এটি বেশি ব্যবহার করলে মানব শরীরের নিউরন বা ¯œায়ুতন্ত্রের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। তাই বিজ্ঞানীরা ‘¯œায়ু বিষ’ বলে আখ্যায়িত করেছে। তবে জানা যায় টেস্টিং সল্ট যেসব খাবারে বেশি ব্যবহার করা হয় তা হল স্যুপ, মাংসের তরকারি, নুডলস, চানাচুর, বিস্কুট, ¯œ্যাকস, চায়নিজ জাতীয় খাবার, হোটেলের খাবার, ফাস্ট ফুড, বেকারির খাদ্যপণ্য, প্যাকেট জাত শিশু খাবার, পটেটো চিপস, বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানের খাবার, বাড়ি ঘরের নানা খাবারে ব্যবহার করা হয়।
বাজারে ৫০ গ্রাম ওজনের সাদা এ লবণটি প্যাকেটে পাওয়া যায়। আর রান্নায় বাবুর্চিরা এ লবণটি বেশি ব্যবহার করে থাকে। পুষ্টি বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা বলছেন শরীরের জন্য বিষ। টেস্টিং সল্ট বেশি ব্যবহার করলে বা নিয়মিতভাবে খেয়ে গেলে মানব দেহের কিডনি, লিভার সহ বিভিন্ন অঙ্গে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। দেহের ¯œায়ু তন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্থ করে তুলতে পারে। দেহের এই নিউরন বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের কাজের সমন্বয় সাধনে বিরাট ভূমিকা পালন করে। আমাদের দেহের ¯œায়ু তন্ত্রের গঠন ও কার্যকরী একককেই বলা হয় নিউরন। ¯œায়ু তন্ত্রের মাধ্যমে উদ্দীপনা আমাদের শরীরে প্রবাহিত হয়। ফলে আমারা বুঝতে পারি। এই ¯œায়ু তন্ত্র যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে দেহের উদ্দীপন পরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে মানব দেহের ভিতরে ও বাহিরে পরিবেশের সাথে সংযোগ রক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে দেহের অঙ্গগুলো মধ্যকার ভারসাম্য বজায় থাকবে না। এতে সচল মানুষ ধীরে ধীরে অচল মানুষে পরিণত হবে। টেস্টিং সল্ট সেবনের ফলে সমস্যাগুলো আমাদের শরীরে বাসা বাধতে পারে। তাছাড়া মাথা ব্যথ্যা, বমি বমি ভাব, ঘুম ঘুম ভাব, অনিদ্রা, খাবারে অরুচি, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, বুকে ব্যথ্যা, দুর্বল লাগা, চামড়া র্যাশ দেখা দেওয়া, গলা জ্বালা পোড়া করা, অলসতা, কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ করা, হার্টের সমস্যা, কিডনি ও ক্যানসারসহ নানা রোগ হতে পারে। এসব সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে টেস্টিং সল্ট ব্যবহারে সর্তক থাকা প্রয়োজন। যতটুকু জানা যায় টেস্টিং সল্ট এর ভাল মন্দ দেখার সরকারি কোন অথরিটিও নেই। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডর্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউুট (বি এস টি আই) যেসব খাদ্য দেখাশুনা করে থাকেন তা সংখ্যা ১৫৪টি। সেই তালিকাতে টেস্টিং সল্ট-এর নাম নেই। সুতরাং এর ভাল মন্দ কতটুকু তা বিস্তারিত জানা যায় নি। আসুন এর ব্যবহাওে সচেতন হই নিরাপদ খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।