বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নতুন সড়ক পরিবহন আইনের বেশ কিছু ধারা সংশোধনের দাবিতে বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা। রাজধানীসহ সারাদেশে চলমান এই বাস ধর্মঘটের ফলে চরম ভোগান্তিতে পরেছে যাত্রীরা। কোথাও কোথাও ২/১টা বাস চললেও সেখানে তারা বাধা প্রদান করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাস মালিক শ্রমিকদের এই বেপরোয়া নৈরাজ্যে বিরুদ্ধে সোচ্চার নেটিজেনরা। যেভাবেই হোক, এই নৈরাজ্য বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে জোর দাবি জানিয়েছে তারা।
সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘বিরোধী দল গণতান্ত্রিক দাবীতে রাস্তায় দাঁড়ালেও জনদুর্ভোগের অজুহাতে সরকার তাদের কিভাবে হঁটিয়ে দেয়- তা দেশবাসী দেখেছে। অথচ পরিবহন শ্রমিকরা দুইদিন ধরে রাস্তায় নৈরাজ্য করছে, কিন্তু কোনো পুলিশী একশন দেখা যাচ্ছে না। বরং সর্বত্র নীরব দর্শক। সরকার কী ভেবেছিল, এরকম একটা আইন নিজেদের প্রায় আইনের উর্ধ্বে ভাবা পরিবহন শ্রমিকরা সুবোধ বালকের মতো মেনে নেবে? আইন চালু করার আগেই বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে ভাবা এবং সেমতে প্রস্তুতি নেয়া উচিত ছিলো। তারা দুইদিন যাবত রাস্তা অবরোধ করে বসে আছে, কিন্তু রাস্তা চালু রাখার সরকারী মেসিনারি নীরব দর্শক। এখন দুইদিনে সরকারে ক্ষতি কতো- সেই হিসেব হাজির করতেও কাউকে দেখছি না। তাই, সরকারের কাছে অনুরোধ, যদি পরিবহন শ্রমিকদের দাবী মেনে নিতে হয় তাহলে মেনে নিন, এই দেশে ‘বল যার- আইন তার’ ভেবে জনগণ শান্তনা নেবে, তবু দুর্ভোগ কমবে। না হলে সড়কে নৈরাজ্যকারীদের রাস্তা থেকে হটিয়ে দিন। জনগণ বিশ্বাস করে, প্রবল প্রতাপশালী বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে চাইলে এই নৈরাজ্যকারীদের সড়ক থেকে হটিয়ে দেয়া কঠিন কিছু নয়। এই শ্রমিকদের মালিক-মোক্তার সরকারী লোকই। তাই রাস্তা খালি করুন, জনগণকে চলতে দিন। ‘আমি খাড়াইয়া যামু, আপনি বসিয়ে দেবেন’- খেলা খেলে জনগণকে কষ্ট দেয়ার কোনো মানে হয় না।’
‘সবগুলার লাইসেন্স বাতিল করে যারা আইন মানবে, তাদের অঙ্গীকারনামা নিয়ে লাইসেন্স দেওয়া হোক। পুরানো চালকেরা না মানলে নতুন চালকদের সুযোগ দেওয়া হোক। রাস্তায় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে পুলিশের গুলি রেডি রাখা হোক।’ - মোস্তাফিজুর রহমান টিটুর মন্তব্য।
জাহাঙ্গির আলম লিখেন, ‘হয় মালিক শ্রমিকরা রাষ্ট্রীয় আইন শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে, না হলে তাদের গাড়ি সরকারি জায়গায় থেকে তাঁদের ব্যক্তি মালিকাধীন জায়গায় সরিয়ে নেবে। জনস্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাঁদের মনগড়া কথায় রাষ্ট্র চলতে পারে না। তাদেরকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতেই হবে। জনগণের উচিত সময় সাময়িক ভোগান্তি মেনে নেওয়া।’
‘সবকয়টাকে জেলে জরিমানা এবং যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স আর মালিকদের বাসের রোডপার্মিট বাতিল করা। আর বেশি বেশি বিআরটিসি বাস সব জেলায় চালু করা। তাতেই শিক্ষা পাবে।’ - লিখেছেন ডেবিড পিটারসন দাস।
ক্ষোভ প্রকাশ করে নাঈমুর সিফাত লিখেন, ‘‘সরকারের এখন উচিত, সকল মালিকানা গাড়ি বন্ধ করে দিয়ে ‘সরকারি গাড়ি ছাড়া আর কোনও গাড়ি চলবে না’- এটা বলে দেওয়া। তখন ঠিকই গাড়ি চালাবে। সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুল বাঁকা করতে হবে।’’
‘জনগণকে জিম্মি করে রাস্তায় গাড়ি গুলা লাইন করে রাখছে, সবগুলোকে ডাম্পিং ব্যবস্থা করা হোক। সব ঠিক হয়ে যাবে। মালিকগুলাকে জেলে দেয়া হোক।’ - আমরীন জামানের দাবি।
রাশেদুল ইসলাম মুবিন মনে করেন, ‘আগে শাজাহান আর রাঙ্গাকে সংসদ থেকে বিতারিত করতে হবে। পরে সড়ক আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।