মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিম তীরে অধিকৃত এলাকায় ইহুদি বসতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে ওয়াশিংটন কার্যত সেগুলির বৈধতা মেনে নিলো৷ ইসরায়েল এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও ফিলিস্তিনিরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে৷
মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া বহুকাল ‘মুমূর্ষু’ অবস্থায় রয়েছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বোঝাপড়ার সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে আসছে৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চেও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র আর অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে না৷ তা সত্ত্বেও অধিকৃত এলাকায় বসতি নিয়ে ইসরায়েল এতকাল একঘরে হয়ে ছিল৷ এবার ট্রাম্প প্রশাসন সেই এলাকার উপর ইসরায়েলের অধিকার কার্যত স্বীকার করে নিলো৷ দীর্ঘ প্রায় চার দশক ধরে ওয়াশিংটন ইহুদি বসতি স্থাপনের অধিকারকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি’ হিসেবে গণ্য করে আসার পর সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেই নীতি বর্জন করা হলো৷ উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখল করার পর থেকে সেখানে ইহুদি বসতি নির্মাণ করে চলেছে৷
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সোমবার এই ঘোষণা করায় গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷ চলতি বছর দু-দুটি নির্বাচনে অস্পষ্ট ফলাফলের পর তিনি কোনোরকমে ক্ষমতা আঁকড়ে রয়েছেন৷ এই অবস্থায় ওয়াশিংটনের ঘোষণাকে নিজের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরছেন তিনি৷ নেতানিয়াহু বলেন, অবশেষে এক ‘ঐতিহাসিক ভুল’ সংশোধন করা হলো৷
পম্পেও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও রোনাল্ড রিগানকে উদ্ধৃত করে ইহুদি বসতির আইনি বৈধতা নিয়ে সংশয় দূর করার চেষ্টা করেছেন৷ তিনি অবশ্য খোলসা করে বলেন, এই অবস্থানের মাধ্যমে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিরোধের চূড়ান্ত মীমাংসা সম্পর্কে কোনো আগাম সমাধানসূত্র বাতলে দেওয়া হচ্ছে না৷ দুই পক্ষকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷
এমন সিদ্ধান্তের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি আনতে ট্রাম্প প্রশাসনের নিজস্ব উদ্যোগের উপর কী প্রভাব পড়তে পারে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি। এর আগে পূর্ব জেরুসালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল৷ বলা বাহুল্য, ফিলিস্তিনিরা ওয়াশিংটনের এই নীতি পরিবর্তনের তীব্র বিরোধিতা করেছে৷ ফিলিস্তিনি মধ্যস্থতাকারী সায়েব এরেকাত বলেন, ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক আইনের বদলে ‘জঙ্গলের আইন’ কায়েম করার হুমকি দিচ্ছে৷ ফিলিস্তিনিরা আরও মনে করিয়ে দিয়েছে, যে আন্তর্জাতিক স্তরে আইনি সিদ্ধান্ত বাতিল করার কোনো এক্তিয়ার ওয়াশিংটনের নেই৷
এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের ফলে হিংসার আশঙ্কা সম্পর্কেও সচেতন ট্রাম্প প্রশাসন৷ ফলে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নাগরিক ও স্থাপনাগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে৷ মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে নীতি পরিবর্তনের সময় বাছাই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷ ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু যে যার দেশে এই মুহূর্তে প্রবল চাপের মুখে রয়েছেন৷ সেই সংকট থেকে মনোযোগ কিছুটা অন্তত দূরে সরিয়ে নিতে তারা এমনটা করছেন বলে অভিযোগ উঠছে৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।