Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে বিস্ফোরণ স্বজনদের আহাজারি

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ৩:৫৭ পিএম

হঠাৎ প্রচন্ড বিস্ফোরণ। বিকট শব্দে বাড়ির দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে। তাতে চাপা পড়েন পথচারীরা। দেয়ালের ইটের আঘাতে পাশের ভবনও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আশপাশের ভবনের জানালার কাচ ভেঙ্গে যায়। ঘরের জিনিস-পত্র মাটিতে পড়ে যায়।
রোববার চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটার দুর্ঘটনার এমন বর্ণনা দেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। দুর্ঘটনায় নারী, শিশুসহ সাত জনের মৃত্যু হয়েছে-যাদের বেশিরভাগ পথচারী। সকালে ঘর থেকে রবের হয়েই তারা দেয়াল চাপা পড়েন। এই ঘটনায় আহত দশ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চমেক হাসপাতালে নিহতের স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। সকালে কাজের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়ে লাশ হয়ে ফেরা সাতজনের স্বজনেরা বিলাপ করছেন।
ব্রিকফিল্ড রোডের বড়–য়া ভবনের নীচ তলায় বিস্ফোরণ ঘটে। চার তলা বাড়ির নীচ তলার দেয়াল ভেঙ্গে পাশের সড়কে এবং রাস্তার ওপারে বাদশা মিয়া ভবনের নীচতলায় আঘাত করে। দুই ভবনের সামনের রাস্তায় দেয়াল চাপা আর ইটের আঘাতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বাদশ মিয়া ভবনের নীচ তলায় জনতা ফার্মেসির মালিক টিটু কুমার নাথ বলেন, ফার্মেসির স্টাফ অনুপম ঘোষ সকালে ঝাড়ু দিচ্ছিলো। তখনই দুর্ঘটনা, পাশের বাড়ি দেয়ালের ইট খুলে উড়ে আসে দোকানে। ভাগ্য ভালো অনুপম দোকানের ডানপাশের গ্রিলের পেছনে ছিল। বামপাশে থাকলে বাঁচতো না।
তিনি জানান, তার দোকানের সামনে কয়েকজন মরতে দেখেন তিনি। অনুপম বলেন, এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হবো কখনো ভাবনাতেই আসেনি। একটি শব্দ, তারপর ধুলোবালির ঝড়। চোখে কিছুই দেখতে পেলাম না।
বড়ুয়া ভবনের তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া রিপন নাগ বলেন, প্রচন্ড শব্দে ভবনটি কেঁপে উঠলো। আমরা কী করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। সবাই শকের মধ্যে ছিলাম। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে বের করে আনলেন।
ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দী বলেন, বড়ুয়া বিল্ডিংয়ের নিচতলায় সীমানা প্রাচীরের পাশেই ওই বাড়ির গ্যাস রাইজার। বিস্ফোরণটি নিচতলাতেই হয়েছে। মনে হয় রাইজারে কোনো সমস্যা ছিল, হয়ত লিকেজ থেকে গ্যাস বের হয়ে জমে গিয়েছিল। সকালে বাসায় কেউ আগুন ধরালে তাতে বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণে হতাহতের খবর পেয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, নিহতদের সৎকার আর আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার সিটি করপোরেশন থেকে বহন করা হবে।
জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ জে এম শরিফুল হাসানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিলিন্ডার বিস্ফোরণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ