মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হংকংয়ের রাস্তায় হঠাৎ নেমেছে সেনাবাহিনী।
দীর্ঘ পাঁচ মাসেরও বেশি প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল হংকংয়ে এবার সেনাবাহিনী নামাল চীন। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের অনেকে রাস্তা ছাড়ছেন। তবে চীনের স্বায়ত্ত¡শাসিত এই অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করায় বিতর্ক আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের
১৯৯৭ সালে চীনের কাছে হংকং হস্তাস্তর করার সময় সেখানকার বাসিন্দাদের স্বাধীনতা দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হংকংবাসীর দাবি, তারা স্বাধীনতা পাচ্ছেন না। তাই আন্দোলনে যেতে তাদের বাধ্য করা হয়েছে। তবে চীন হংকংয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ নাকচ করেছে। বরং দেশটি সেখানে বিদেশি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে। পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন বিক্ষোভকারী মারাও গেছেন।
গতকাল চীনা সেনাবাহিনীকে রাস্তায় দেখা যায়। তারা রাস্তা পরিষ্কার করছেন। কেউ রাস্তা থেকে ইট-পাটকেল সরাচ্ছেন, কেউ বা ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করছেন। তারা শর্ট প্যান্ট এবং টি-শার্ট পরেই এসব কাজ করছেন। তাদের সঙ্গে রাস্তা পরিষ্কারে স্থানীয়রাও যোগ দেন।
এদিকে চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ে মঙ্গলবার অভিযান চালায় পুলিশ। গতকাল সেনাবাহিনীও ক্যাম্পাসে যায়। এরপর শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়তে দেখা যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যারিকেড তুলে দেওয়া হয়েছে।
হংকয়ে বিক্ষোভকারীদের আটকাতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। দফায় দফায় সংঘর্ষ বেঁধেছে বিক্ষোভকারী ও জনতার মধ্যে। পুলিশের গুলিতে বিক্ষোভকারীরা আহত হওয়ার পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ১৯৯৭ সালে ব্রিটেন থেকে চীনের কাছে হংকংয়ের ক্ষমতা হস্তাস্তরের পরে এত বড় ও জোরালো প্রতিবাদ দেখা যায়নি। ফলে অসন্তুষ্ট বেইজিং হংকংয়ের কার্যনির্বাহী প্রধান ক্যারি ল্যামের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
এই আবহে হংকং ও ম্যাকাওয়ের আইন কমিশনের অধিকর্তা শেন চুনইয়াও স্পষ্ট জানান, অশাস্তি থামাতে নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। অন্য দিকে, হংকয়ের নিরাপত্তা সচিব জন লি কা শিও সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বলেন, পিএলএ স্বাধীনভাবেই সেনা পাঠানোর সিদ্ধাস্ত নিলে তাদের কিছু বলার নেই। মুখ খুলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংও। তিনি বলেন, হংকংয়ে শাস্তি-শৃঙ্খলা ফেরানো চীনা সেনার প্রথম কাজ।
সম্প্রতি চীনা সমর্থক বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নামেন। তারা চীন এবং হংকংয়ের পতাকা উত্তোলন করেন। তারা পুলিশের পাশে আছেন বলে ¯েøাগান দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।