পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ বলেছেন, রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান। আমরা রমজানের দি¦তীয় দশদিন অর্থাৎ মাগফিরাতের মধ্যে আছি। রমজানের রোজার মাধ্যমে মহান আল্লাহর কাছ থেকে নিজের গুনাহগুলোকে মাফ করিয়ে নিতে হবে। মাহে রমজান আত্মশুদ্ধি ও তাক্বওয়া অর্জনের মাস। তাক্বওয়া অর্জন করতে হলে অর্থাৎ নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে হলে দুটি কাজ করতে হবে। একটি হলো সর্বদা হালাল খাদ্য খেতে হবে, অপরটি হলো হক্কানী আওলিয়ায়ে কেরামের সোহবতে জীবন পরিচালিত করতে হবে।
পীর ছাহেব কেবলা আরও বলেনÑ আমরা বিভিন্নজন বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত আছি। আমাদের জীবন ধারণের জন্য খাদ্য খেতে হয়। তাই প্রত্যেক মুসলমানদের উচিত হালাল খাদ্য খাওয়া। কারণ ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত হলো হালাল খাদ্য। হালাল খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে ইবাদতে স্বাদ পাওয়া যায়। অল্প ইবাদতেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। দেখা যায় পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর ভয়ে হালাল খাদ্য গ্রহণের ব্যাপারে আমরা অনেকেই সচেতন থাকি, কিন্তু রমজান মাস চলে গেলে আমরা সেই কথা একেবারেই ভুলে যাই। প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত রমজানের এই প্রশিক্ষণটি কাজে লাগিয়ে হালাল খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে নেক আমলে জীবন অতিবাহিত করা।
গত সোমবার বনানী খানকায়ে নেছারীয়া ছালেহিয়ায় বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহ ইউনাইটেড ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিলের মুনাজাতপূর্ব আলোচনায় হযরত পীর ছাহেব কেবলা একথা বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেনÑ আমার পিতা এই দরবারের একজন মুরীদ ছিলেন। আমিও ব্যক্তিগতভাবে এই দরবারকে ভালোবাসি এবং এই দরবারের একনিষ্ঠ খাদেম হিসেবে আজীবন খেদমত করে যেতে চাই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেনÑ ছারছীনার পীর ছাহেবের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত মাহফিলে এসে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। ইতোপূর্বে আমি ছারছীনা দরবার শরীফে গিয়েছিলাম। আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি ছারছীনা দরবার এদেশের মুসলমানদের সঠিক ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকে। আমি নিজেও এই দরবারের একজন আশেক হিসেবে কাজ করতে চাই। তিনি এই মাহফিলের ওছীলায় বাংলাদেশকে একটি শান্তিময় ও সমৃদ্ধির দেশে পরিণত করতে মহান আল্লাহতায়ালার নিকট অনুগ্রহ কামনা করেন।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার আলহাজ অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া বলেনÑ ছারছীনা দলীয় রাজনীতিমুক্ত একটি হক্কানী দরবার। এ দরবার মানুষকে আল্লাহমুখী জীবন গঠন করতে উদ্বুদ্ধ করে এবং ইসলামের সঠিক পথের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ঈমান ও সততার সাথে যাতে আমরা দেশ ও দশের বিশেষ করে ইসলামের জন্য কাজ করতে পারি সেজন্যে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া কামনা করেন।
ইফতার মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑ মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, জাতীয় সংসদের চিপ হুইপ আ.স.ম ফিরোজ, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর ও হযরত পীর ছাহেব কেবলার বড় ছাহেবজাদা আলহাজ্ব শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ.বি.এম রুহুল আমিন হাওলাদার, পিরোজপুরের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ.কে.এম.এ. আউয়াল, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মর্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ এ.এম.এম. এনামুল হক, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক আলহাজ এ.এম.এম. বাহাউদ্দীন, দৈনিক ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদক আলহাজ কবি রুহুল আমিন খান, বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সালাহউদ্দিন, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছিনের মহাসচিব অধ্যক্ষ শিব্বির আহমদ মোমতাজী, বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর নাজেমে আ’লা ও হযরত পীর ছাহেব কেবলার বড় জামাতা আলহাজ মির্জা নূরুর রহমান বেগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. হাফেজ মাওলানা মোঃ রুহুল আমিন, সোনাকান্দা দরবার শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ মাওলানা মোঃ মাহমুদুর রহমান, বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর অতিরিক্ত নাজেমে আ’লা মাওলানা আলী আকবর, মির্জা কেফায়েতুর রহমান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আলহাজ ইসমাঈল মিঞা, দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ.খ.ম আবু বকর সিদ্দিক, ছারছীনা আলিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা রুহুল আমিন আফসারী, বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর মুবাল্লিগ মাওলানা হেমায়েত বিন তৈয়্যেব প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।