পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদ-জামাতে জঙ্গি হামলার লক্ষ্য সামনে রেখে যারা চেকপোস্টে হামলা করেছে তারা ইসলামের ভয়ানক শত্রু। এ হামলা ইসলাম ধ্বংস, মুসলমান হত্যা এবং দেশকে অকার্যকর করার লক্ষ্যে হামলা। এরূপ জঙ্গি হামলা বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিখোঁজ সন্তানের পরিবারসমূহকে সাড়া দেয়া জরুরি। এসব হামলার পেছনে রাজনৈতিক বিভাজন ও ব্যক্তিবিরোধকেও খতিয়ে দেখতে হবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
গুলশানের হলি আর্টিজান রেষ্টুরেন্টে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পরপরই পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়ায় আবারো হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশটাকে অশান্ত ও অস্থিতিশীল করা এবং ইসলাম ও মুসলমানকে বিশ্ববাসীর সামনে বিভৎস রূপে উপস্থাপন করার লক্ষ্যে সা¤্রাজ্যবাদীদের ইন্ধনে এ জতীয় হামলাগুলো ঘটানো হচ্ছে। এ অবস্থায় জনমনে ভয় ও আতঙ্ক বেড়ে গেছে। তাই এ মুহূর্তে প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ কার্যকর পদক্ষেপ।
গতকাল এক বিবৃতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি শায়খ আব্দুল মোমিন, সহসভাপতি মাওলানা মোস্তফা আজাদ, আল্লামা তাফাজ্জল হক হবিগঞ্জি, মাওলানা জহিরুল হক ভূঞা, মাওলানা জিয়াউদ্দিন, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা তাফাজ্জল হক আজিজ, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী এসব কথা বলেন।
অপর এক বিবৃতিতে ঢাকা মহানগর জমিয়ত সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন জাতীয় সংকট মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য দরকার। যে সব পরিবারের সন্তান নিখোঁজ রয়েছে তাদের সন্ধান ও উদ্ধারের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত। রাজনৈতিক বিভাজন ও ব্যক্তিবিরোধ আছে কিনা তাও তলিয়ে দেখতে হবে। আর এরূপ বিভাজনের ক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্য গড়াকে প্রাধান্য দিতে হবে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
কিশোরগঞ্জে শোলাকিয়া ঈদগাহে টহলরত পুলিশ ও নিরীহ মানুষের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক এক বিবৃতিতে বলেছেন, মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ জামাতের প্রস্তুতিকালে টহলরত পুলিশ ও নিরীহ মানুষের ওপর যারা হামলা করেছে, তারা ইসলাম, মুসলমান ও দেশ-জাতির শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে সকল পেশা ও মতের লোক এবং আলেম-উলামাদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখতে হবে। নেতৃবৃন্দ সকল রাজনৈতিক দলকে মতভেদ ও দোষাদোষীর রাজনীতি পরিহার করে দেশ ও ইসলামের স্বার্থে ভূমিকা রাখার আহ্বান এবং সরকারকে এ বিষয়ে সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ও আন্দোলন গড়ে তুলতে উদাত্ত আহ্বান জানান।
খেলাফতে ইসলামী বাংলাদেশ
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদগাহের পাশে পুলিশ টহলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খেলাফতে ইসলামীর আমীর ও ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান ও মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পবিত্র ঈদের দিনে ঈদের নামাজ চলাকালে ঈদ জামাতের পাশে যারা এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যার উৎসবে মেতে ওঠে তারা ইসলামের জাত শত্রু। ইসলামের নামে হামলা করে এরা ইসলাম ধ্বংসের মিশনে নেমেছে। এই শত্রুদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, দেশী শক্তির ইন্দন ও সহযোগিতা ছাড়া সন্ত্রাসীদের পক্ষে এতো বড় হামলা পরিচালনা সম্ভব নয়। নিশ্চয় হামলাকারীদের পেছনে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ইন্ধন রয়েছে। এরা কারা? সরকারকে তা খুঁজে বের করতে হবে এবং দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরী সভাপতি শেখ গোলাম আসগর বলেছেন, দেশে একের পর একের পর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জাতি আজ চরমভাবে উদ্বিগ্ন। গুলশানের পর শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের পাশের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দেশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এসব সন্ত্রাসী কর্মকা- বন্ধে দল-মত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী আয়োজিত ঈদ শুভেচ্ছা বিণিময় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে বিজয় নগরস্থ মজলিস মিলনায়তনে ঢাকা মহানগরী সভাপতি শেখ গোলাম আসগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হালিম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।