Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাতক্ষীরার তালায় গৃহবধূর নগ্ন ছবি তুলে আওয়ামীলীগ নেতার ধর্ষণ, ভাইরালের পর গ্রেফতার

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৯, ৬:০৩ পিএম

সাতক্ষীরার তালায় এক গৃহবধূর নগ্ন ছবি তুলে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে আওয়ামীলীগ নেতা কামাল সানা (৩৫)। এরপর আবারো ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ওই লম্পট নেতা গৃহবধূর নগ্ন ছবি সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তা ভাইরাল হয়। এঘটনায় মামলা হলে পুলিশ কামাল সানাকে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত কামাল সানা তালা উপজেলার দোহার গ্রামের ফজলে সানার ছেলে। তিনি জালালপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। শনিবার (১৬ নভেম্বর) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলখানায় প্রেরণ করেছে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, তালা উপজেলার জেঠুয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম সরদার শ্রমিক হিসেবে যশোরের একটি ইট ভাটায় থাকেন। এই সুযোগে জমির বিরোধ মিমাংসার জন্য আওয়ামীলীগ নেতা কামাল সানা দুই সন্তানের জননী (২৫) ওই গৃহবধুর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন। এরপর প্রায়ই ফোন করে তাকে কু-প্রস্তাব দিতে থাকেন। এতে কোনো কাজ না হওয়ায় বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে একদিন ওই গৃহবধুকে একটি নির্জন নদীর ধারে ডেকে নিয়ে যায় কামাল সানা। সেখানে তার সহযোগি হাফিজকে দিয়ে গৃহবধুর একাধিক আপত্তিকর নগ্ন ছবি তোলা হয়। এই ছবি তার স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে কামাল সানা তাকে গত এক মাসে ৩ দফায় ধর্ষন করে।

এরপর আবারো তাকে ধর্ষনের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় কামাল সানা তার সহযোগি দিয়ে এক সপ্তাহ আগে ‘অভিমান’ নামের একটি ফেসবুক আইডি’র মাধ্যমে ওই নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেয়। ছবিগুলো গৃবধুর স্বামীসহ প্রতিবেশিদের কাছেও পাঠানো হয়। ছবিগুলো দেখে ওই গৃবধুর স্বামী ক্ষোভে দুঃখে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে নির্যাতিত ওই গৃহবধু শুক্রবার তালা থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় কামাল সানা ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে আসামী করা হয়। মামলা নং-৯, তারিখ-১৫/১১/২০১৯।

তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান রাসেল বলেন, ওই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত কামাল সানাকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে চালান করা হয়েছে

এ ব্যাপারে জালালপুর ইউনিয়ন আওয়মী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম মুক্তি জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমান হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেফতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ