মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইন্দোনেশিয়ায় আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শুক্রবার ভোররাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে দেশটি। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। তীব্র এই ভূমিকম্পের কারণে ইতোমধ্যে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পরপরই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। ইতোমধ্যে অঞ্চলটি থেকে লোকজনকে অন্যত্র উঁচু জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
মার্কিন ভূতাত্তি¡ক জরিপ সংস্থা জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১৭ মিনিটে উত্তর মালাকু প্রদেশে এই ভূমিকম্প আঘাত আনে। এর ফলে সুনামির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিলো জাইলোলো শহর থেকে ১৩৪ কিলোমিটার দূরে। এর গভীরতা ছিলো ১০ কিলোমিটার। তবে এখনও কোনও হতাহতের খবর জানা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল দেশটির টেরনেট শহর থেকে ১৩৯ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে। এর গভীরতা ছিল ৪৫ কিলোমিটার এবং মাত্রা ৭ দশমিক ১। অবশ্য ইন্দোনেশিয়ার বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ভূমিকম্পের তীব্রতা ৭ দশমিক ৪ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উৎসস্থল থেকে পশ্চিমে সুলাওয়েসি দ্বীপেও কম্পন অনুভূত হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল প্যাসিফিক রিং অব ফায়ারের (প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা) ওপর অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়। গত বছর মালুকুর পশ্চিমে সুলাওয়েসি দ্বীপে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে পালু শহর বিধ্বস্ত হয়। ভূমিকম্পের পর শহরটিতে সুনামি আঘাত হানে। এতে চার হাজারেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়। এর আগে ২০০৪ সালে সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে সাগরের তলদেশে সংঘটিত এক ভূমিকম্পে পর সৃষ্ট সুনামিতে ভারত মহাসাগরের উপকূলজুড়ে ১৪টি দেশের দুই লাখ ২৬ হাজার লোক নিহত হয়েছিলো, তাদের মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার জন ছিল ইন্দোনেশিয়ার।
ইন্দোনেশিয়ার মেট্রো টিভি জানায়, সুনামির ভয়ে লোকজন নিচু এলাকা ছেড়ে উত্তর মালুকুর উঁচু অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছেন। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হাতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানা যায়নি।
এ দিকে প্রশান্ত মহাসাগর সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র আশঙ্কা করছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল থেকে ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। তবে দূরবর্তী অঞ্চলগুলোতে সুনামির কোনো সম্ভাবনা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।