Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া হত্যা মামলার আসামী ৫দিনেও গ্রেফতার হয়নি

কেরানীগঞ্জ(ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৯, ৭:০৫ পিএম

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার মুল আসামী পালিয়ে যাওয়ার ৫দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে থানা পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পলাতক আসামীর নাম মোঃ ইয়ামিন(২২)। তার বাবার নাম মোঃ ইসাহাক সরদার। বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানায়। সে গত শুক্রবার(৮নভেম্বর) সন্ধ্যায় থানা থেকে কৌশলে ডিউটি অফিসার, ওয়ারলেশ অপারেটর ও সেন্টি ডিউটিরত দুই কন্সটেবলের চোখকে ফাকি দিয়ে তাদের সামনে দিয়ে পালিয়ে যায়। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মিডিয়া সেলের ইনচার্জ একেএম শামীম হাসান হত্যা মামলার আসামী ইয়ামিন পালিয়ে যাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান এই ঘটনায় দ্বায়িত্বে অবহেলার কারন দেখিয়ে উর্ধতন পুলিশ কতৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশের ৩ এসআই ও ৩ কন্সটেবলসহ ৬জনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এব্যাপারে ঢাকা জেলা ডিএসবির পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলামকে প্রধান করে কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামানন্দ সরকারসহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু সিদ্দিক, এসআই মোঃ মিজান ডিউটি অফিসার,এসআই মোঃ জহিরুল ইসলাম,কন্সটেবল মোঃ লতিফ, মোঃ হাসেম ও ওয়ারলেশ অপারেটর মোঃ রফিক। গত ১৮অক্টোবর(শুক্রবার) সদরঘাট টার্মিনালে নোংর করা ঢাকা-বরিশালগামী এমভি কীর্তনখোল-২ লঞ্চের ক্যান্টিনের বাবুর্চি মোঃ রুবেল হোসেন(২২)কে তুচ্ছ ঘটনার জেড়ধরে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ঘাতক ইয়ামিন(২২)। হত্যার পরেই সে দত্রæ পালিয়ে যায়। এই ঘটনায নিহত মোঃ রুবেল হোসেনের বড় ভাই বাদী হয়ে ঘাতক ইয়ামিনকে প্রধান আসামী করে থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দ্বায়িত্ব পান এসআই আবু সিদ্দিক। বর্তমান মাসের সপ্তাহরে প্রথম দিকে তার নেতৃত্বে মামলার প্রধান আসামী ঘাতক ইয়ামিনকে গাজিপুরের টুঙ্গী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গত শুক্রবার(৮নভেম্বর) সন্ধ্যায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু সিদ্দিক ও এসআই মোঃ মিজান আসামী ইয়ামিনকে ইন্সপেক্টর অপারেশনের রুমে নিয়ে হ্যান্ডকাপ পরিহিত অবস্থায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামী ইয়ামিনকে ওই রুমে রেখে এসআই আবু সিদ্দিক ও এসআই মোঃ মিজান বেরিয়ে যান । এর পরেই আসামী ইয়ামিন তার দুই হাতে পরানো হ্যান্ডকাপ কৌশলে খুলে ফেলেন। পরে সুযোগ বুঝে সেন্টি ডিউটিরত দুই কন্সটেবল মোঃ লতিফ,মোঃ হাসেম ও ডিউটি অফিসার মোঃ জহিরুল ইসলাম,অপারেটর মোঃ রফিকের চোখ ফাকি দিয়ে তাদের সামনে দিয়ে থানা থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেফতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ