পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
প্রাথমিক বিদ্যালয় হলো শিশুদের জন্য শিক্ষার প্রবেশদ্বার। দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সরকারের নতুন ভবন নির্মাণ কার্যক্রম প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কিন্তু কিছু এলাকায় পর্যাপ্ত তদারকির অভাবে এখনও ছাত্রছাত্রীদের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাঠদান করানো হচ্ছে। ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ৫নং ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের দেবরামপুর জাহানারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এর অন্যতম উদাহরণ। স্কুলে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা প্রায় ২০০। এটি ১৯৭৭ সালে জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৮৯ সালে নির্মিত আধাপাকা ভবনটি বৃষ্টি হলে শ্রেণি কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয় না। এর টিনের চালাটি নষ্ট হয়ে গেছে। এই ভবনে শিক্ষকদের অফিসকক্ষসহ দু›পাশের দেয়ালের ওপরের অংশে পলেস্তারা খসে ইট বেরিয়ে আছে। যে কোনো সময় ইট খুলে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি বারান্দার পিলারগুলোর কিছু অংশ ভাঙা। যে কোনো সময় ভবনটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. হারুন জানান, গত এক বছর ধরে তারা এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আসছেন এবং রেজুলেশনসহ অভিযোগপত্র উপজেলাতে জমা দিয়েছেন; কিন্তু নতুন ভবন করার লিস্টে তাদের স্কুলের নাম আসেনি। স্কুলের দ্বিতীয় ভবনে মাত্র দুটি কক্ষ। একটিতে টিনের বেড়া দিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠদান করানো হয়। তাতে শব্দদূষণের কারণে ছাত্রছাত্রীদের পাঠে মনোযোগ নষ্ট হয়। প্রধান শিক্ষক চামেলী ভৌমিক জানান, সীমানা প্রাচীর না থাকায় স্কুলটি নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছে। ৮টি শিক্ষক পদ থাকলেও একটি পদ শূন্য। ফলে ৭ জন শিক্ষক দিয়ে এক শিফটের স্কুল চালানো রীতিমতো কষ্টকর। ছাত্রছাত্রীদের জন্য নির্মিত বাথরুমের দেয়ালে ফাটল এবং নিচের অংশে গর্তের কারণে সেখানে সাপ চলে আসে, যাতে অভিভাবকদের মাঝেও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষাকালে একটু বৃষ্টি হলেই দুই ভবনের মাঝের মাঠে পানি জমে। এক ভবন থেকে অন্য ভবনে যাওয়ার রাস্তাও পাকা করা হয়নি। ফলে তখন হাঁটাচলায় শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।
স্কুলের জরাজীর্ণ ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন, সীমানা প্রাচীরসহ ভেতরে রাস্তা নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
নুশরাত রুমু
দাগনভূঞা, ফেনী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।