পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে সিডর ও আইলায় ক্ষতিগ্রস্থ বৃহত্তর দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের উপকূলীয় এলাকা। বুলবুলের আঘাতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, মাদরীপুর, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বরগুনা ও ভোলার বিস্তীর্ণ এলাকা বিধ্বস্ত হয়েছে। ভারী বর্ষণের কারণে পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, মাছের ঘের ও ফসলি জমি। বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে পানিবদ্ধতা। লাখ লাখ গাছ উপড়ে পড়েছে। ভেঙে গেছে রাস্তাঘাট। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎসংযোগ। দূর্গত এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির প্রবল সঙ্কট। ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেক মানুষ বাস করছে খোলা আকাশের নিচে। গৃহহীন মানুষের আর্তনাদে চারিদিকে করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়। দেখা দিয়েছে চরম মানবিক বিপর্যয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন।
এদিকে, ঝড়ে বৃহত্তর খুলনাসহ উপক‚লীয়াঞ্চলের ১১ জেলায় ঘর ও গাছচাপা পড়ে নারীসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ ও বরগুনায় ২ জন করে, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, মাদারীপুর, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর, ও বরিশালে ১ জন করে জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার ভোরে বুলবুল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যবর্তী সুন্দরবনে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এলাকায় আছড়ে পড়ার পরেই তা দূর্বল হয়ে তা ক্রমশ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বাগেরহাট-পিরোজপুর-ঝালকাঠি, বরিশাল মাদারীপুর-শরিয়তপুর হয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে বুলবুল চলে যায় আরো পূর্ব-উত্তরে। বরিশালে বুলবুলের তীব্রতা ছিল ৭৯ থেকে ৮০ কিলোমিটার।
খুলনা : ঝড়ে ভাঙন কবলিত এলাকায় নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হয়। বৃষ্টিপাতের কারণে নদীতে দ্রুত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশের আশঙ্কা দেখা দেয়। এতে উপক‚ল পাড়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধে ফাটল দেখা দিলে স্থানীয়রা রাত জেগে পাহারা দিয়ে বস্তা ফেলে কোনো মতে ভাঙন ঠেকিয়েছে। তবে বাঁধ ভেঙে গেলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়ে খুলনার কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছাসহ বিভিন্ন উপজেলায় হাজারো ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কাঁচা বসতঘর মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। রাস্তাঘাটে গাছপালা উপড়ে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মাছের ঘের ভেসে গেছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে খুলনার কয়রা ও দাকোপ উপজেলায় দুই হাজার ২৬৫টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ৫ শতাধিক পুকুর ও মাছের ঘের। বুলবুলের তান্ডবে পাইকগাছা কপিলমুনির হবিনগর মোড়ের সামনে টাওয়ারের পাশে বিদ্যুতের তারের উপর গাছ পড়ে তৈরি হয়েছে মৃত্যুফাঁদ, নিচে আটকে গেছে ঢাকা থেকে আসা পাইকগাছাগামী পরিবহন, যে কোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। বৃষ্টিপাতের কারণে নগরের পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের বস্তি ঘরগুলোতে দেখা গেছে এখনো হাঁটুপানি। অনেক এলাকার ভবনের নিচতলায় পানিতে ডুবে গেছে।
বরিশাল : বুলবলের প্রভাবে বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শহরও পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। কির্তনখোলা নদীর সাথে বরিশাল মহানগরীর প্রতিটি রাস্তা, খাল আর ড্রেন একাকার হয়ে যায়। গতকাল দুপুরেও বরিশাল মহানগরী প্লাবনমূক্ত হয়নি। প্রায় ৩০ঘণ্টা পরে জাতীয় গ্রীডে খুলনা-বাগেরহাট-বরিশাল ১৩২কেভি সঞ্চালন লাইনের একটি সার্কিট চালু করে দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হলেও ভেড়ামাড়া-বরিশাল ডবল সার্কিট ১৩২ কেভি লাইন এখনো বন্ধ। মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ এলাকায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। টানা বিদ্যুৎ সঙ্কটে বরিশাল মহানগরীসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের জেলা-উপজেলা সদরগুলোতে পানি সরবারহ স্বাভাবিক হয়নি। বিদ্যুতের অভাবে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে সবগুলো মোবাইল অপারেটরের অন্তত সাড়ে ৩হাজার বিটিএস বন্ধ হয়ে যায় রোবববার সন্ধ্যা থেকে। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ৭৫ লাখ গ্রাহকের সেল ফোন অকার্যকর ছিল। ইন্টারনেটসহ সব ধরনের টেলিযোগাযোগও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। টানা বিদ্যুৎ সঙ্কটে বিটিসিএল-এর বরিশাল মহানগরীর ৩টিসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের অন্তত ৫০টি টেলিফোন এক্সেঞ্জই বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে, বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র আঘাতে ঘরচাপা পড়ে আশালতা মজুমদার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা মারা যান। এছাড়া বরগুনা সদর উপজেলার ৯ নম্বর এম বালীয়াতলী এলাকার ডিএন কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে হালিমা খাতুন (৬৬) নামে এক বৃদ্ধা ও বামনা উপজেলার উত্তর কাকচিড়া গ্রামে ঝড়ের আতঙ্কে শিশীর বিশ্বাস (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
সাতক্ষীরা : শ্যামনগর, আশাশুনি উপজেলাসহ উপক‚লীয় এলাকার ১৬ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও ৩২ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। মোট ৪৮ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, এ অঞ্চলে প্রায় ৬০-৭০ ভাগ ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট ধসে পড়েছে। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান জানান, পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বাগেরহাট : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে বাগেরহাটে ৬২টি ইউনিয়নে প্রায় ৪৪ হাজার ৫৬৩টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ হাজার ৭৭৫টি আংশিক এবং আট হাজার ৭৮৮টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া কয়েক লক্ষ গাছ উপড়ে ও ভেঙে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে অর্ধ-শতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি। গত শনিবার মধ্য রাত থেকেই বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে বাগেরহাট জেলা শহরের অন্তত ৯০ ভাগ এলাকা। অপরদিকে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে খুলনার দিঘলিয়া ও দাকোপে গাছের নীচে চাপা পড়ে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- প্রমিলা মন্ডল (৫২) ও আলমগীর হোসেন (৩৫)।
চাঁদপুর : গাছ পড়ে এবং ঝড়ো হাওয়ায় হাইমচরের চরাঞ্চলে ৫শতাধিক ও চাঁদপুর সদর রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চরাঞ্চলের ঘরগুলোর টিন ও বেড়া বাতাসে উড়ে নদীতে গিয়ে পড়ে। চাঁদপুর শহরসহ জেলার ৮উপজেলার অনেকাংশে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে বুলবুলের আঘাতে দু’জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খাটিয়াগড় ও কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ি গ্রামে এক মহিলাসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খাটিয়াগড় গ্রামের মৃত বাবন কাজীর স্ত্রী মাঝু বিবি (৬৭) ও কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ি গ্রামের মৃত হাসান উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে সেকেল হাওলাদার (৭০)। দু’ জনই গাছ চাপা পড়ে নিহত হয়। উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩০টির মতো ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া শত শত গাছ উপড়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ঝালকাঠি : প্রচন্ড বাতাসে ৮১৭টি কাঁচা ঘরবাড়ি ও ৪১৫ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। টানা বৃষ্টি এবং সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪/৫ ফুট বেড়ে তলিয়ে গেছে ৬১৫টি মাছের ঘের ও পুকুর।
মাদারীপুর : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝিতে শনিবার শেষ বিকেলের দিকে ঘরের ভিতর আলমারির নিচে চাপা পড়ে সালেহা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়িসহ রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের তার ও খুঁটি ভেঙ্গে গেছে অনেক জায়গায়।
পটুয়াখালী : অধিকাংশ গ্রাম পর্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়া উপজেলায় ভেরী বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতের সময় মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধাবখালী ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামে বসত ঘরে চাপা পরে হামেদ ফকির(৬৫), কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী আশ্রয় কেন্দ্রে সুফিয়া বেগম(৬৫) ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে মারা যান। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ব্যাপক গাছপালাসহ কাচাঘরবাড়ী বিধ্বস্থ হয়। জেলা শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট হাটুসমান পানিতে তলিয়ে যায়।
পিরোজপুর : পিরোজপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রয়েছে। এতে করে পিরোজপুর জেলার সাথে বাহিরের জেলার মানুষের মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ রয়েছে। জেলায় একজন গাছ চাপায় নিহত হয়েছে এবং দেড় শতাধিক লোক আহত হয়েছে। এ ঝড়ে তিন হাজার ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং প্রায় ১শত ৭০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা জেলায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই।
মংলা : মংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাহাত মান্নান জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আক্রমনে মংলায় ১ হাজার ৩শ ৭০টি বাড়ি ঘরের ক্ষতিসাধন হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৮টি বাড়ি-ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১১শ ৭২টি বাড়ি-ঘর আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ১৬শ ৮০টি চিংড়িঘের ভেসে গেছে। এ কারনে এই খাতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে । ঝড়ে বিপর্যস্ত হওয়া বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন এখন পর্যন্ত মেরামর করা সম্ভব হয়নি। ফলে অধিকাংশ এলাকায় গত তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই।
ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) : পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে শত শত গাছ পালা বাড়ী-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। জাওয়াদ আব্দুল্লাহ (৫ বছর) নামের এক শিশু বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে। সে গৌরিপুর ইউনিয়নের পৈকখালী গ্রামের শিক্ষক মশিউর রহমান এর ছেলে। আহত হয়েছেন ৬ জন। উপজেলার বেশীরভাগ এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি। ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
নেছারাবাদ (পিরোজপুর) : ”বুলবুল“ এর তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার বেলা ১২ টায় শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপি ওই ঘুর্ণিঝড়ে শত শত গাছপালা পড়ে কাঁচা ও আধাপাকা পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সকল ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা। লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বিদ্যুত লাইন।
কলাপাড়া(পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে গিয়ে মোসা.সুফিয়া বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। উপজেলার ১০টি গ্রাম ও চরাঞ্চল প্লাাবিত হয়েছে। পানিবন্দি ১৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
কালকিনি (মাদারীপুর) : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে মাদারীপুরের কালকিনিতে ২শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এক প্রকার খোলা আকাশের নিতে দিনাতিপাত করছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। অনেক দরিদ্র পরিবারে দেখা দিয়েছে খাদ্যভাব। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পরেছে পুরো উপজেলার পৌর এলাকা সহ ১৫টি ইউনিয়ন।
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বুলবুলের আঘাতে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে ও ভেঙে গিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ফলে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছে না কেউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।