মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্কে ভারতের স্বাধীনতার পরে প্রথম ৭০ বছর আগে আদালতে মামলা দায়ের হয়। অবশেষে শনিবার সেই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। দশকের পর দশক ধরে দেশের রাজনীতির গতিমুখ নির্ধারণ করেছে এই মামলা। দেখেছে নানা উত্থান-পতন। দেখে নেওয়া যাক ১৫২৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত অযোধ্যা মামলার নানা দিক।
* ১৫২৮ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ নির্মিত হয়। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির দাবি যে মন্দির ধ্বংস করেই এখানে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৮৫৩ সালে এখানে সরকারি খাতায় নথিভুক্ত প্রথম সংঘর্ষ হয়। ১৮৫৯ সালে ব্রিটিশ সরকার গোটা এলাকা হিন্দু ও মুসলিমদের উপাসনার জন্য আলাদা ভাবে বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়। এভাবেই চলে পরবর্তী ৯০ বছর।
* ১৯৪৯ সালে রামের একটি মূর্তি মসজিদের ভেতরে স্থাপন করা হলে বিষয়টি প্রথমবার আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
* ১৯৮৪ সালে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠন কমিটি গঠন করে। এর তিন বছর পরে জেলা আদালত মসজিদের দরজা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় এবং বিতর্কিত কাঠামোর ভেতরে হিন্দুদের আরাধনার অনুমতি দেয়। ১৯৮৯ সালে গঠিত হয় বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি।
* ১৯৯০ সালে তত্কালীন বিজেপি সভাপতি লালকৃষ্ণ আডবাণী রাম মন্দির নির্মাণে সমর্থন আদায়ে গোটা দেশে রথযাত্রায় বেরোন।
* ১৯৯২ সালে ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে দেয় হিন্দুত্ববাদীরা। গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ।
* ২০০২-এর এপ্রিলে এলাহাবাদ হাইকোর্টে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে কার অধিকার, সেই নিয়ে শুনানি শুরু হয়। ২০১০-এ রায়দান করে হাইকোর্ট। সেখানে এই জমি তিন ভাগে ভাগ করে নির্মোহী আখড়া, রাম লাল্লা ও সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডকে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।
* এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় হিন্দু ও মুসলিম দুই পক্ষই।
* ২০১১-য় এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
* সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জয় গগৈ-এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ গত ৬ অগস্ট প্রতিদিনের ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি শুরু করে।
* ৪০ দিনের টানা শুনানির পর ১৬ অক্টোবর তা সম্পূর্ণ হয়।
সূত্র : এই সময়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।