পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমান সরকার তাদের পতন ডেকে নিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেন, দুর্নীতিতে যে শিকড়,সুরঙ্গ তারা তৈরি করেছে সেই সুরঙ্গ থেকে সরকার বেরিয়ে আসতে পারবে না।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে অবিভক্ত ঢাকার নির্বাচিত মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল এ কথা বলেন।
বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন,‘গতকাল প্রধানমন্ত্রী অনেকের স্মৃতিচারণ করেছেন। জাসদের একজন নেতা মারা গেছেন তার জন্য কথা বলেছেন। কিন্তু ক্ষণিকের জন্য সাদেক হোসেন খোকার নাম উল্লেখ করেন নাই। কেন করেন নাই? কারণ সাদেক হোসেন খোকা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সাদেক হোসেন খোকা প্রধানমন্ত্রীকে হারিয়েছিল? সেই কারণে কি তার কথাটা তার (প্রধানমন্ত্রী) মনে আসেনি?’
মওদুদ আহমেদ বলেন,‘সাদেক হোসেন খোকা একজন সাহসী সৎ বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বাংলাদেশকে ভালোবাসতেন দেশপ্রেমিক নেতা ছিলেন। তার অবদান এদেশের মানুষ কখনো ভুলবে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তাকে যে সম্মান দেখানো উচিত ছিল সে সম্মান আমরা দেখাতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা লজ্জা পেয়েছি যে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী এতজনের কথা বললেন কিন্তু সাদেক হোসেন খোকার কথা বললেন না। যাই হোক সাদেক হোসেন খোকা আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যতদিন বেঁচে থাকবে আমরা তাঁকে স্মরণ করব।’
বেগম খালেদা জিয়া চিরদিনই কারাগারে থাকবেন না মন্তব্য করে মওদুদ আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক কারণে তাকে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি চিরদিনই কারাগারে থাকবেন না তার মুক্তি হবে। এই সরকারের পতন হবে। এই সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার।
বর্তমান দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন,আপনারা অনেকেই মনে করেন আমরা রাস্তায় নামতে পারছি না আন্দোলন করতে পারছি না। সেই জন্য বুঝি সরকারের পতন হবে না। কিন্তু আমি নিরাশ নই, হতাশ নই। সরকার মনে করছেন দুর্নীতি ও ক্যাসিনা কাণ্ডে জড়িতদের বিচার করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এটা তো একটা আইওয়াশ মাত্র। এই সরকারের দুর্নীতির সুরঙ্গ এত বড় হয়েছে যে তাদের পতন হতে বাধ্য।
বিশিষ্ট এই আইনজীবী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যতবার ভারতে গেছেন, কোন বারই দেশের জন্য কিছু আনতে পারেন নাই। শুধু দিয়ে এসেছেন। তিনি প্রত্যেকবারই বলে যান আমি জাতীয় কোন স্বার্থ বিক্রি করে আসেনি। তিনি জাতীয় স্বার্থ বিক্রি করেন না কিন্তু দিয়ে আসেন। এই ফেনী নদীর পানি ভারতের কৃষকদের জন্য দিয়ে এসেছেন আমার দেশের কৃষকদের বঞ্চিত করে এর চেয়ে বড় জাতীয় স্বার্থ আর কি হতে পারে?
তিনি আরও বলেন, নুসরাত হত্যার বিচার করে তারা বলছে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অথচ আমরা জানি শত শত নারী নির্যাতন হচ্ছে, তার বিচার হচ্ছে না। গুম,খুন হচ্ছে তার বিচার হচ্ছে না। সাগর রুনিসহ অসংখ্য হত্যার বিচার এখনো হয়নি। শুধু একটা বিচার করে কখনো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় না।
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শিমুল বিশ্বাস, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, কৃষক দলের সদস্য এম জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।