২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
বর্তমানে বহুল আলোচিত রোগের নাম ডায়াবেটিস । ডায়াবেটিস অতি পরিচিত ঘরে ঘরের রোগ। আমাদের দেশে অনেকেই এই রোগে ভুগছেন। ডায়াবেটিসের নানা জটিলতা আছে। ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি তার মধ্যে অন্যতম। শরীরের প্রায় সব অঙ্গই ডায়াবেটিসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নার্ভাস সিস্টেম বা স্নায়ুতন্ত্রও ডায়াবেটিস এর কারণে ক্ষতিগ্রস্তহয়। আমাদের দেশে বেশীরভাগ মানুষই সচেতন নন। অনেকেরই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকেনা। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে ধীরে ধীরে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি দেখা দেয়। ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি কিন্তু একদিনে বা একমাসে দেখা যাবেনা । দীর্ঘদিন অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকলে সেখান থেকে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি দেখা দেয়।
ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির সঠিক কারণ আজও জানা সম্ভব হয়নি। তবে রক্তে গ্লুকোজ বেশি থাকলে এর সম্ভাবনা বাড়ে । যেসব রোগীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকেনা তারাই মূলত নিউরোপ্যাথিতে বেশি আক্রান্ত হন। দেখা গেছে প্রায় ৭০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগীই নিউরোপ্যাথিতে আক্রান্ত হন।
ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথিতে বিভিন্ন উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায় । এর মধ্যে আছেঃ
১। হাত-পা ঝিনঝিন করা
২। হাত-পায়ের শক্তি কমে যাওয়া
৩। হাত ও পায়ের মাংসপেশি শুকিয়ে যাওয়া
৪. হাত ও পায়ের তালুতে জ্বালাপোড়া অনুভব করা
৫। আঘাত লাগলে টের না পাওয়া। এর ফলে পায়ে ঘা হতে পারে। অনেক সময় এখান থেকে বড় সমস্যা হতে পারে
৬। মাংসপেশির দুর্বলতা ইত্যাদি ।
ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির প্রধান চিকিৎসা হলো কঠোরভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রেখে যত ওষুধই খাওয়া হোক না কেন কোন উপকার হবেনা। নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে। নিউরোপ্যাথির উপসর্গ কমানোর বিভিন্ন ওষুধ আছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সেসব ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন নিউরো ভিটামিন ব্যবহার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।