২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
হোমিওপ্যাথি ওষুধ শক্তিকৃত ওষুধ। এককভাবে কম মাত্রায় হোমিওপ্যাথি ওষুধ প্রয়োগের বিধান। এক সাথে একাধিক ওষুধ প্রয়োগ হোমিওপ্যাথির নীতি বিরুদ্ধ কাজ। একাধিক কিংবা বড় মাত্রার ওষুধ অনেক সময় জীবনের সংশয় ডেকে আনতে পারে (অর্গা-২৭৬)। হোমিওপ্যাথি ওষুধের সঠিক প্রয়োগ রোগীর জন্য উপকার বয়ে আনে। অন্যদিকে অপপ্রয়োগ রোগীর জন্য সঙ্কট তৈরি করে। তাছাড়া ক্যান্সার রোগীদের জন্য বহুল প্রচলিত যন্ত্রণাহীন মৃত্যুর (বঁঃযধহধংরধ) ওষুধও রয়েছে অনেক। এসব ওষুধ না বুঝে প্রয়োগ করলে রোগীর মৃত্যু তরান্বিত হয়। ইউথেনেশিয়া (বঁঃযধহধংরধ) হিসেবে যেসব হোমিওপ্যাথি ওষুধ কাজ করে তার মধ্যে প্রধান ওষুধ হচ্ছে আর্সেনিক অ্যালবাম। এ ওষুধ যথাযথভাবে প্রয়োগ করলে রোগী উপকার পায়। কিন্তু যদি তা না বুঝে ভুলভাবে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তা ইউথেনেশিয়া হিসেবে কাজ করবে। এ রকম অন্যান্য ওষুধগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যামাইল নাইট্রিট (অসুষ হরঃৎরঃব), এন্টিম টার্ট (অহঃরস ঃধৎঃ), কারবো ভেজ (ঈধৎনড় ঠবম), ল্যাকেসিস (খধপযবংরং), ট্যারেন্টুলা হিসপ্যানিয়া (ঞধৎবহঃঁষধ ঐরংঢ়ধহরধ), ইত্যাদি (সূত্র : হোমিওপ্যাথিক মেটিরিয়া মেডিকা, উইলিয়াম বোরিক)।
এখানে মনে রাখা দরকার যে, ক্যান্সার চিহ্নিতকরণ (রফবহঃরভরপধঃরড়হ) এবং তার স্তর বিন্যাস (ংঃধমব) এবং বিস্তৃতি (সবঃধংঃধংরং) সম্পর্কে ভাল জ্ঞান না থাকলে সঠিকভাবে হোমিওপ্যাথি ওষুধ প্রয়োগ করা সম্ভব নয়। এজন্য ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ক্যান্সার রোগীর ব্যবস্থাপনায় রেফারাল (জবভবৎৎধষ) পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। নির্দিষ্ট ক্যান্সার চিকিৎসায় নির্দিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতালে রোগীকে প্রেরণ করা আধুনিক চিকিৎসার অংশ। হোমিওপ্যাথিতে এ ধরনের ব্যবস্থা এখনও গড়ে ওঠেনি। তাছাড়া এককভাবে ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা দেয়াটাও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই গ্রুপভিত্তিক বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা দেয়া নিরাপদ। এ জন্য ক্যান্সার বিষয়ক কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এ ধরনের চিকিৎসা পরিকল্পনা হাতে নেয়া যেতে পারে (বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক ক্যান্সার সোসাইটি এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে)।
ক্যান্সার চিকিৎসার গুরম্নত্বপূর্ণ অধ্যায় হচ্ছে, উপশমগত চিকিৎসা (ঢ়ধষষরধঃরাব পধৎব)। এ অবস্থায় রোগীর লাক্ষণিক চিকিৎসা (ংুসঢ়ঃড়স পড়হঃৎড়ষ) গুরুত্বপুর্ণ। সাইকোলজিক্যাল কিংবা মনো-সামাজিক চিকিৎসা এ সময়ে খুবই প্রয়োজন। হসপিস কেয়ার অথবা বিরিভমেন্ট কেয়ার, যা-ই বলি না কেন, শেষ সময়ে ক্যান্সার রোগীর মানসিক প্রশান্তি খুব প্রয়োজন। এ সময়ে রোগীর ঘুম কমে যায়। ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়, ওজন কমে যায়, মানসিক শক্তি হারিয়ে যায়, কারো কারো আত্মহত্যা প্রবণতা দেখা দেয়। এসব ক্ষক্ষত্রে হোমিওপ্যাথি ওষুধ রোগীকে আরাম দিতে সক্ষম। এ ধরনের রোগীর ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ চিকিৎসকের বিকল্প নেই। কিন্ত রোগীর এ বিশেষ অবস্থার সুযোগ নিয়ে ব্যবসা করা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। এ সময় অনেকে রোগীর শারীরিক শীর্ণতা এবং দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নানা ধরনের টনিক বেচার চেষ্টা করেন। কিছু কিছু ওষুধের মাদার টিংচার, যেমন- আলফাআলফা মাদার টিংচার অনেক ডাক্তারই রোগীকে এ সময় দিয়ে থাকেন। এ ধরনের মাদার টিংচার রোগীকে সাময়িকভাবে উত্তপ্ত করলেও পরক্ষণেই রোগীকে নির্জীব করে দেয়। এতে অ্যালকোহলের মাত্রা বেশি থাকে বলে রোগী নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথচ এ আলফাআলফা শক্তিকৃত অবস্থায় প্রয়োগ করলে রোগী ভালভাবে উপকৃত হতে পারে। ক্যান্সার রোগীর জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থা, যাকে ক্যাকেক্সিায়া বলে অভিহিত করা হয়, তার জন্য হোমিওপ্যাথিতে অনেক ভাল ভাল ওষুধ রয়েছে, যা রোগীকে চমৎকার ফল দিতে পারে। মনে রাখতে হবে, এ সময় রোগীকে কোনভাবেই কোন ওষুধের মাদার টিংচার প্রয়োগ না করে শক্তিকৃত ক্ষুদ্রমাত্রার ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। কারণ, ক্যান্সারের মত রোগীর জন্য ওষুধ উত্তেজনা সৃষ্টি করা থেকে চিকিৎসককে খুব সতর্ক থাকতে হবে।
ক্যান্সার চিকিৎসক
সরদার হোমিও হল, ২১ গ্রীণ কর্ণার, গ্রীন রোড, ঢাকা।
সেল -০১৭৪৭৫০৫৯৫৫।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।