মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগামী ২০ বছরের মধ্যে জার্মানিতে বসবাসরত এক-তৃতীয়াংশ মানুষই হবে বিদেশি বংশোদ্ভূত৷ আর দেশটির বড় শহরগুলোর বাসিন্দাদের সত্তর শতাংশই হবেন এরকম৷ জার্মান এক অভিবাসন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন এই তথ্য৷
২০৪০ সাল নাগাদ জার্মানির মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশই অভিবাসী বাংশোদ্ভূত কিংবা নিজেই একজন অভিবাসী হবেন৷ জার্মান অভিবাসী বিশেষজ্ঞ হার্বার্ট ব্রুকার এমনটা মনে করেন৷ জার্মানির কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র আইএবির অভিবাসন বিভাগের প্রধান তিনি৷
জার্মান দৈনিক ভেল্ট-কে তিনি বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে আমরা আরো বৈচিত্রময় হবো৷ বর্তমানে জার্মানিতে বসবাসরত এক চতুর্থাংশ মানুষ অভিবাসী বংশোদ্ভূত৷ আগামী ২০ বছরের মধ্যে তা অন্তত ৩৫ শতাংশে পৌঁছাবে, এমনকি চল্লিশ শতাংশের বেশিও হতে পারে৷’’
জার্মান ব্লুকার্ড বেশি পাচ্ছেন কোন দেশের নাগরিকরা?
তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত৷ জার্মান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালে দেশটির প্রায় সাত হাজার জন নাগরিককে ব্লু কার্ড দেওয়া হয়েছে৷
বড় শহরগুলোতে বিদেশি বাংশোদ্ভূতদের আনুপাতিক হার আরো বেশি হবে বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা বর্তমানে বড় শহরগুলোতে যে পরিস্থিতি দেখছি ভবিষ্যতে গোটা দেশেই তা এক স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিনত হবে৷ ফ্রাঙ্কফুর্টের মতো শহরগুলোতে এই হার ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ হবে৷’’
জার্মান এই অর্থনীতিবিদ মনে করেন, জনসংখ্যার মধ্যে নানা দেশের মানুষের এই সংমিশ্রণ জার্মানির অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ আইএবির প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জার্মান অর্থনীতির সঙ্কুচন ঠেকাতে চাইলে ২০৬০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর দেশটির চারলাখের মতো অভিবাসী দরকার৷
তবে, এক্ষেত্রে জার্মানির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে উচ্চদক্ষতাসম্পন্ন অভিবাসীদেরকে দেশটির প্রতি আকৃষ্ট করা৷ এজন্য জার্মানিকে অন্যান্য দেশের প্রতি আরো উদার মনোভাবাপন্ন হতে হবে বলে মনে করেন ব্রুকার৷
উল্লেখ্য, গত মাসে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, অভিবাসী বংশোদ্ভূত শিশুদের মধ্যে যারা অল্প বয়সে জার্মান নাগরিকত্ব নিচ্ছে, তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণেরক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা অন্যদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি পাচ্ছে৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।