পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : বিশ্বে প্রায় ৬ কোটি মানুষ দেশছাড়া। এদের মধ্যে ২ কোটি ১৩ লাখ শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, সোমালিয়ার নাগরিক। যুদ্ধের কারণে এসব দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিনই অভিবাসনের প্রত্যাশায় পশ্চিমা দেশগুলোর সীমান্তে ভিড় জমাচ্ছেন। প্রতি বছরই এসব দেশ থেকে আসা শরণার্থীরা অবৈধভাবে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকাডুবিতে মারা যাচ্ছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) এক তথ্যে সারাবিশ্বে শরণার্থীদের এমন চিত্রই উঠে এসেছে। ইউএনএইচসিআর’র তথ্যমতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি রয়েছে। এই পরিস্থিতিকে সামনে রেখেই সোমবার সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস। শরণার্থীদের অধিকার রক্ষায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করে থাকে। এ বিষয়ে সংস্থাটি কিছু কর্মসূচিও পালন করে।
ইউএনএইচসিআরের তথ্য সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বিভিন্ন দেশের শরণার্থীদের মধ্যে তুরস্কে ২৫ লাখ, পাকিস্তানে ১৬ লাখ, লেবাননে ১১ লাখ, ইরানে প্রায় ১০ লাখ, ইথিওপিয়ায় পৌনে ১০ লাখ ও জর্ডানে প্রায় ৭ লাখ। এছাড়া কেনিয়ায় প্রায় ৬ লাখ, উগান্ডায় ৪ লাখ ২৮ হাজার, চাদে ৪ লাখ ২১ হাজার, সুদানে ৩ লাখ ২২ হাজার, ইরাকে ২ লাখ ৮৮ হাজার ও সিরিয়ায় দেড় লাখ শরণার্থী রয়েছেন। এ বছর প্রায় ২ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ জন ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে আশ্রয় নিয়েছেন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১০ লাখের বেশি। সম্প্রতি ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র উইলিয়াম স্পিন্ডলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তার মতে, ২০১৬ সালের শরণার্থী মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছাতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে তুরস্ক থেকে গ্রিসে এবং লিবিয়া থেকে ইতালিতে যাওয়া যায়। আর সাগরের এই দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে গিয়ে এ বছর মারা গেছে ২ হাজার ১১৯ জন শরণার্থী। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি।
জানা যায়, ১৯৯১-১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় আড়াই লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হয়। এরমধ্যে বেশিরভাগ মিয়ানমারে ফিরে গেলেও বাংলাদেশে এখনও রয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি নিবন্ধিত রোহিঙ্গা। এদের বেশিরভাগই মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভাগ্যের সন্ধানে অনেক বাংলাদেশিই বিদেশে যান। অনেকেই বিদেশে গিয়ে শরণার্থী হিসেবে নাম লেখান। ইউএনএইচসিআরের ঢাকা কার্যালয় থেকে জানা যায়, গত বছর বিভিন্ন দেশে ৩২ হাজার ৯৭৭ জন বাংলাদেশি ইউএনএইচসিআরের সহায়তা চেয়েছেন। যাদের মধ্যে ১০ হাজার ৮৮১ জন শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।