‘আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন ‘
বিএনপির মেরুদণ্ড নেই’। আমি বলবো, আপনাদের মেরুদণ্ড নিউজ প্রিন্টের কাগজের মেরুদণ্ড। যেমন সাদা কাগজের চেয়ে নিউজ প্রিন্ট ধরলেই ছিড়ে যায়। তেমনি আওয়ামী লীগ নেতাদের মেরুদণ্ড নাই। কারণ, তারা দুর্নীতিবাজ ও চোর সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।’’-
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
সোমবার ( ৪ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
দেশের অবস্থা আজকে বিপন্ন বলে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘দেশকে ভয়ঙ্কর অন্ধকারময় গুহার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
‘বাবা-মা শিখিয়েছেন দেশকে কীভাবে ভালোবাসতে হয়’ প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী আরও বলেন, ‘‘কিন্তু এই প্রধানমন্ত্রীর আমলেই
ক্যাসিনোর খনি, জুয়া আর টাকার খনি তৈরি হয়েছে। তার বাবা বলেছিলেন ‘সবাই পায় সোনার খনি, আর আমি পেলাম চোরের খনি’। আজকে তাদের মুখে দেশপ্রেমের কথা শুনতে হয়। সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী হিন্দি ভাষায় কথা বলেন। তাদের মাঝে তো দেশপ্রেম নেই। আছে দিল্লিপ্রেম।’’
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করেন বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘
বিএনপির চেয়ারপারসন নির্দোষ। তার বিরুদ্ধে যে দুই কোটি টাকার অভিযোগ দেয়া হয়েছে, সেই টাকা ব্যাংকে আছে। প্রধানমন্ত্রী তাকে বাইরে রাখবেন না। এজন্য তাকে নির্বাচনের আগে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসকরা বলছেন তিনি গুরুতর অসুস্থ।’
আজকে দেশে আওয়ামী লীগ নেই মন্তব্য করে
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কারণ আজকে যারাই
ক্যাসিনো বা অন্যান্য দুর্নীতিতে ধরা পড়ে তারা বলে আগে
বিএনপি করতো।
বিএনপি থেকে লোক গিয়ে আওয়ামী লীগ ভরে গেছে। এখন আওয়ামী লীগ আর কেউ করতে চায় না, যা তাদের বক্তব্যেই প্রমাণিত হয়।’
সাদেক হোসেন খোকা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘আমাদের মাঝে খণ্ডকালীন শিক্ষক বা অ্যাডভোকেট আছে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ রাজনীতিবিদের অভাব। খোকা হলেন পূর্ণাঙ্গ রাজনীতিবিদ। যারা দেশের বিপদে সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে অন্ধকারের মধ্যেও ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন। আমি তার আশু সুস্থতা কামনা করছি। আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন।’
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, দলের স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
বিএনপির সহ-সভাপতি নবী উল্লাহ নবী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার,
সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল প্রমুখ।