ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
যে কোন সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
শনিবার (০২ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থিত ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চ’-এ অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন এই ঘোষণা দেন।
এই সময় তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ ভিসির অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবরোধ ও সর্বাত্ম ধর্মঘট কর্মসূচী চলবে। পাশাপাশি যে কোন সময় ভিসিকে আমরা অবরুদ্ধ করবো। হামলা-মামলা করে আন্দোলনকে দমানো যাবেনা।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রশাসনের দেয়া মামলার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘প্রশাসন আন্দোলনকে দমাতে অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনের নামে মামলা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘গত ৩০ অক্টোবর আমাদের ধর্মঘট কর্মসূচী চলাকালে দুজন আন্দোলনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। সেখানে সহকারী প্রক্টর তার বিভাগের কিছু অনুগত ছাত্রদের নিয়ে আমাদের দুই আন্দোলনকারীকে হেনস্থা করে। আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক নজির আমিন চৌধুরী জয়কে টেনে মাটিতে ফেলে দেয়। এমন একটি ভিডিও আপনারা সবাই দেখেছেন। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আন্দোলনকারীকে মাটিতে ফেলে সহকারী প্রক্টর শৈবাল সুস্থভাবে হেটে যায়। দুজন আন্দোলনকারী থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনের নামে মামলা করেছে। যার মাধ্যমে প্রমাণ হয় এই দুর্নীতিবাজ ভিসি আন্দোলনেক দমাতে এই গায়েবী মামলা দায়ের করছেন।’
এদিকে মামলার এজহারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উল্লেখ করেছেন, ‘আন্দোলনকারী নজির আমিন চৌধুরী জয় শিক্ষার্থীদের রোষনলে পড়লে সহকারী প্রক্টর মহিবুর রউফ শৈবাল তাকে উদ্ধার করতে যায়। এসময় আন্দোলনকারীরা সহকারী প্রক্টরকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৫০-৬০জন আন্দোলনকারী সহকারী প্রক্টরকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার পুরষাঙ্গে সুক্ষ ধারালো কোন অস্ত্র ধারা আঘাত করে। উক্ত আঘাতের ফলে প্রচুর রক্তপাত ও গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।