Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একাত্তরের মতো সংগঠিত হয়ে আন্দোলন করতে হবে

জেএসডির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় ড. কামাল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৯, ২:২২ এএম

 জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগেই সবাইকে একাত্তরের মতো সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, একাত্তরের মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। আমাদের আন্দোলন হবে ইতিবাচক, আন্দোলন হবে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য। এই ধরণের আন্দোলনকে কেউ শক্তি দিয়ে থামাতে পারবে না, ধ্বংস করতে পারবে না।
গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনাসভায় তিনি একথা বলেন।

ড. কামাল বলেন, আর মাত্র এক থেকে দেড় বছর পর স্বাধীনতার ৫০ বছর। সেটাকে সামনে রেখে আসেন আমরা জেলায় জেলায় যাই। আক্রমণাত্মক কথা না বলে তাদের বুঝাই যে শহীদরা কিসের জন্য স্বাধীনতাযুদ্ধে জীবন দিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সত্যিকার অর্থে একটা স্বাধীন দেশে বাস করা। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে যদি বলি আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, দেশের মালিকানা দেশের জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে আমরা মনে করবো আমাদের ৫০ বছরের স্বাধীনতা অর্থপূর্ণ হয়েছে। চলেন এটা আমরা সবাই মিলে করি, প্রত্যেক জেলায়, প্রত্যেক গ্রামে, পাড়ায় মহল্লায়। ইনশাল্লাহ আমি মনে করি আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।
তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে যখন ঐক্যমত হয়েছে সেই ঐক্যমতের সামনে কোনো কিছু দাঁড়াতে পারেনি। বন্দুক নিয়ে কামান নিয়ে কোনো কিছু দাঁড়াতে পারেনি। বাঙালি যখন ঐক্যমতে আসে সেই শক্তি হলো সবচেয়ে বড় শক্তি। সেই শক্তির কাছাকাছি আমরা অলরেডি এসে গেছি। আপনারা পরীক্ষা করে দেখেন। জেলায়, জেলায়, গ্রামে, গ্রামে দিয়ে দেখেন। মানুষ একাত্তরে যে স্বপ্ন দেখেছিল। প্রত্যেক পরিবারে শহীদ হয়েছিল। আমি যেখানে যাই জিজ্ঞাসা করি এখানে শহীদদের কবর আছে কি না। সবাই বলে প্রতিটা গ্রামে শহীদদের কবর আছে। এত শহীদরা কেন জীবন দিয়েছিল। ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কারণ এই দেশের জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক। সেই মালিকানার জন্য কত মূল্য দেয়া হয়েছে।
জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রবের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিকল্প ধারার সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

 

 



 

Show all comments
  • llp ১ নভেম্বর, ২০১৯, ৯:০০ এএম says : 0
    No need. 1971 has destroyed our social fabric, our patriotism, our spirituality, our rationality, our ability to love, feel each other.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: একাত্তর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ