পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি এদেশের স্বাধীনতা, উন্নতি ও সমৃদ্ধি কখনো মেনে নিতে পারেনি। তারাই বারবার দেশকে পিছিয়ে দিতে জঙ্গিবাদের মতো বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এ অপশক্তিকে সমূলে নির্মূল করার জন্য মন্ত্রী ছাত্র শিক্ষকসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ দেশ প্রেমিক জনসাধারণের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। গতকাল (সোমবার) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে এবং সারা বিশ্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা প্রশংসিত হচ্ছে, তখনই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি জঙ্গি তৎপরতার মাধ্যমে দেশকে পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এ ধরণের অপশক্তি কোন ভাবেই ঠাঁই পাবে না বলে জনাব নাহিদ তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধোত্তর পাকিস্তানি একটি প্রধান পত্রিকায় প্রকাশিত তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনীতি ও সরকারি চাকরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, সে সময় সামরিক বেসামরিক উচ্চ পদে পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রতিনিধিত্ব ছিল একেবারেই নগণ্য। নাহিদ বলেন, জাতির পিতা বাঙালি জাতিকে সেই নিপীড়ন ও শোষণ থেকে মুক্ত করেছেন।
বুয়েটের ভিসি প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বুয়েট কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আমিনুল হক, বুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ এহসান এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।