পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্রামীণ ফোন ও রবির পাওনা আদায়ের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আদালতের যে সিদ্ধান্ত হবে, তার উপরেই নির্ভর করতে হবে। তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করেছিলাম গ্রামীণফোন ও রবি এবং বিটিআরসি সব ধরনের বিরোধ থেকে সরে এসে আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে। কিন্তু সেটা সম্ভাব হয়নি। তাই এখন বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়ায় সমাধান করা হবে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, গ্রামীণফোন ও রবির সাথে টেলিকম মন্ত্রী ও বিটিআরসি চেয়ারম্যানের সাথে কয়েক দফা বসা হয়েছিল। শুরু করতে হলে বলা হয়েছিল তোমাদের হিসাবে তো কিছু টাকা পাই, সেখান থেকে কিছু পেমেন্ট করো। সেই টাকা না দেয়াতে আলোচনা এগিয়ে যায়নি। এর আগেই তাদের কোর্ট কেইস হয়ে গেছে। কোন মামলা হয়ে গেলে এসবের বিষয়ে আমরাও নিস্পত্তি করতে বা সুরাহা করতে পারবো না, কোর্টের মাধ্যমে সুরাহা করতে হবে। সার্বিক বিবেচনায় কিছু সময় তাদের দেয়া হয়। পাশাপাশি তারা চুক্তিও করলো আমাদের সঙ্গে। কথা হচ্ছিলÑ তারা কমপ্লায়েন্সে নেবে কিনা, তারা কমপ্লায়েন্সে নিতে পারেনি। তাদের আবার বোর্ড মিটিং করতে হবে সেজন্য হয়নি। তিনি বলেন, আশা করছি সমাধান হয়ে যাবে, কিছু না কিছু হবেই ডেফিনেটলি। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি এখন কোর্টে আছে সে জন্য এ বিষয়ে আর কথা বলতে চাই না। কোর্ট থেকে যেটা হবে সেটা তাদেরও মানেত হবে আমাদেরও মানতে হবে।
প্রশাসক বসানোর বিষয়ে সিদ্ধান্তের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দুই পক্ষের মাঝে মিমাংশা করতে হলে হয় কোর্ট, নয় আর্বিট্রেশন। এটি আর্বিট্রেশনের অংশ। এখানে ১০ বিশ টাকা নয়, অনেক টাকা। আমাদের কথা হচ্ছে ‘আমাদের ক্লেইম একটা অ্যামাউন্ট, তাদের হিসাবে আরেকটি অ্যামাউন্ট। এতে ডিফারেন্স কিন্তু হিউজ। ছোট ছোট অ্যামাউন্ট হলে নিজেরাই বসে সুরাহা করতে পারতাম। তারাও চায় কোর্টের মাধ্যমে হয়ে গেলে সুরাহা হয়। আমরাও মনে করি কোর্টের মাধ্যমে হয়ে গেলে ভাল যদি হয় সবার জন্য ভাল হবে।’
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা মনে করেছিলাম এ সমস্ত ক্ষেত্রে বারবার কোর্টে না গিয়ে কোর্টের বাইরে সমাধান হওয়া উচিত। তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর আমরাও সরকার যেভাবে এগিয়ে এসেছিলাম। এক্ষেত্রে সরকারী মনোভাব দেখাইনি। আন্তরিকভাবে এগিয়ে গিয়েছিলাম, সে ধরণের সহযোগীতা পাইনি। অনেক দিন অপেক্ষা করা হয়েছে, টাকা দেবে, টাকা দেবে । কিন্তু টাকা তারা দেয়নি। আমাদের যে পাওনা আছে টাকা না দিলে কি নিয়ে আলোচনা করবো। যদি টাকা কিছু দিত তাহলে বুঝতাম আন্তরিকতা আছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার প্রাপ্তি আমি চেষ্টা করেছি, আমার করনীয় আমি করেছি। কোর্টের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ যেতে পারবে না তবে সময় লাগবে।
এর আগে এ বিষয়ে গ্রামীণ ফোন ও রবির সাথে একাধিক বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী। গত ১৮ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, দেশের দুই শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি এবং বিটিআরসি সব ধরনের বিরোধ থেকে সরে আসবে। সরকারের পাওনা টাকা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।