জামালপুরের জেলা প্রশাসকের নারী কেলেঙ্কারীর পর এবার নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জয়নাল আরবেদীনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছে। অফিসের এক নারী পিয়নের সঙ্গে তার অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিও অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে পুরো উপজেলা চত্ত্বরে চলছে রসালো আলোচনা-সমালোচনা। 

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে জয়নাল আবেদীন ছুটির নামে পলাতক রয়েছে। অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ভুল করেছি। শয়তানের প্ররোচনায় আমি ভুল করেছি। এ ব্যপারে নারী অফিস পিয়ন বলেন, জয়নাল সাহেব আমার উর্ধতন অফিসার। সে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজ করেছে। চাকরীর ভয়ে চুপ ছিলাম।
সিসি টিভি ফুটেজ থেকে প্রাপ্ত ভিডিওতে দেখা যায়, গত ৮ অক্টোবর দুপুরে জয়নাল আবেদীন তার অফিস কক্ষেই নারী অফিস পিয়নের স্পর্শকাতর স্থানে হাতাহাতি, পেটে চুম্মন ও কোলে বসিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিচ্ছেন। ওই সময় নারী পিয়নকে আপত্তি করতে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাহমিনা বেগম জানান, আমি সিসি টিভি ফুটেজ দেখেছি। তার অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে জেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
এ ব্যপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষি কর্মকর্তা কাজী হাবিবুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে আলাপ করলে তিনি বলেন, জয়নালকে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে বন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ১২.১৮.৮৭০৬.০৩৯.০৪১.১২/৪৬৪ নম্বর স্মারকে জয়নালের অনৈক কর্মকান্ডের কথা উল্লেখ করে জেলা কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন।
এ ব্যপারে বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ঘটনা শুনে ও সিসি টিভি ফুটেজ দেখে হতবাক হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, এ ধরণের অপরাধ মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকারকে অবহিত করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষি কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নিদের্শ দেন। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে বন্দর উপজেলায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। উপজেলা একাধিক কর্মকর্তা বলেন, জামালপুরের ডিসি যদি তার কৃতকর্মের জন্য শাস্তি পেতে পারেন, তবে বন্দর উপজেলা কৃষি অফিসের জয়নাল কেন শাস্তি পাবে না। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।