পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের দীর্ঘদিনের দায়িত্বের ইতি টানতে যাচ্ছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। ৩৬ বছরের সরকারি চাকরি কর্মজীবন শেষে হচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার। সরকারি চাকরি থেকে অবসরে চলে যাচ্ছেন বাংলাদেশের শীর্ষ সরকারী এই কর্মকর্তা। গতকাল রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মাসিক সমন্বয় সভায় বিদায় জানানো হয়।
আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সংবর্ধনার আয়োজন করেছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা। তার আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিদায় নিবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।তাকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পদমর্যাদায় আগামী ১ নভেম্বর থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য ওয়াশিংটনে বিশ্ব ব্যাংকের সদর দপ্তরে বিকল্প নির্বাহী পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পরবর্তী মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে যোগদান করনে ১ নভেম্বর। তিনি হতে যাচ্ছেন সরকারের ২২তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
১৯৮৩ সালের ২৭ অক্টোবর শফিউল আলম প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ২১তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের রুমখা পালং গ্রামের বাসিন্দা শফিউল আলম ছিলেন প্রশাসনের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। নিজের কর্মদিবসের স্মৃতিচারণ করে বিদায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম আবেগে আপ্লুত। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেছেন- বিসিএস প্রথম ব্যাচের সদস্য হিসেবে ১৯৮৩ সালের ২৭ অক্টোবর আমরা ৫৫ জন কোটায় সরাসরি যোগদান করি। আজ ৩৬ বছর পূর্ণ হল। আগামীকাল ৩৬ বছর পর বহু চড়াই-উতরাই পার হয়ে সিভিল সার্ভিসকে বিদায় জানাচ্ছি। মনটা বড়ই বিষণ্ণ। অনেক স্মৃতি অনেক স্মৃতি। অনেককে হারিয়েছি। কত কিছুই করার ছিলো, করতে পারিনি। অম্লমধুর অভিজ্ঞতা নিয়ে বিদায় নিচ্ছি। ভালোয় ভালোয় শেষ করার জন্য আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া। তার সাথে আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সহযোগী সহকর্মীদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা। চলার পথে আমার কথা-কর্ম বা আচরণে কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে আমাকে নিজ গুণে ক্ষমা করবেন। মহান আল্লাহ আপনাদের সবার প্রতি সহায় হোন আজকের দিনে এই কামনা। ১৯৫৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া মোহাম্মদ শফিউল আলম ১৯৭৫ সালে পালং মডেল হাইস্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৭৭ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৭৯ সালে ওমরগনি এমইএস কলেজ থেকে বিএ এবং ১৯৮০ সালে বঙ্গবন্ধু ল’টেম্পল থেকে এলএলবি পাশ করেন।
১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮২ সালে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (প্রশাসন) উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৮৩ সালের ২৭ অক্টোবর বান্দরবানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে শফিউল আলম যুক্তরাজ্যে বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেভেলপমেন্ট এডমিনিস্ট্রেশনের ওপর এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন।
শফিউল আলম তার দীর্ঘ কর্মজীবনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, রাষ্ট্রপতির সচিব, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের এমডিএস, রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার, ময়মনসিংহ ও মাগুরার জেলা প্রশাসক, ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার ইউএনওসহ প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দীর্ঘ ৩৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে তিনি বাংলাদেশের ২১তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মোহাম্মদ শফিউল আলম শহীদ পরিবারের সন্তান। তার বড় ভাই এটিএম জাফর আলম ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইকবাল হলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে শাহাদত বরণ করেন। চলতি বছর এটিএম জাফর আলম সিএসপিকে সরকার মরণোত্তর দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার স্বাধীনতা পদক প্রদান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।