পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ফেসবুকে নিজের কোনো আইডি নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেত্রী আসিফা আশরাফি পাপিয়া। বিএনপিকে ‘সার্কাস পার্টি’ উল্লেখ করে তার নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া স্ট্যাটাস ও এর প্রেক্ষিতে পরিবেশিত সংবাদ নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। লিখিত বক্তব্যে আসিফা আশরাফি পাপিয়া বলেন, ফেসবুকে আমার কোনো আইডি নাই। সেখানে কোনো স্ট্যাটাস দেয়ার প্রশ্নই আসে না। ভুয়া আইডি খুলে আমার নামে মনগড়া স্ট্যাটাস দিয়ে কিছু সংবাদপত্র ও কোনো কোনো টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশ করা একটি ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
পাপিয়া বিএনপির নবঘোষিত কমিটিতে সহ-মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন। নবম শ্রেণি থেকে বিএনপি করছেন, এই দলে তার কোনো চাওয়া-পাওয়া নাই বলে উল্লেখ করেন তিনি। দলটির সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ছাত্রজীবন থেকে এ যাবৎকাল আমার জীবনে যতটুকু সম্মান মর্যাদা প্রাপ্তি ঘটেছে, তার সকল অবদানই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার। দলের পদ-পদবী পাওয়া না পাওয়ার ওপর দল করার এবং দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা নির্ভর করে না। বেগম খালেদা জিয়া যেখানে উপযুক্ত মনে করেছেন সেখানেই আমাকে রেখেছেন। এবং সেখানেই আমি সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে অতীতে যেভাবে দল করেছি আগামীতেও ঠিক সেভাবে যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছি।
খবরের প্রতিবাদ
ইনকিলাবে ১১ আগস্ট প্রকাশিত ‘বিএনপি কি সত্যিই সার্কাস পার্টি?’ শিরোনামের প্রতিবেদনের প্রতিবাদ করেছেন সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়া। প্রতিবাদে তিনি দাবি করেছেন ফেসবুকে ভুয়া আইডির ভুয়া স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে রিপোর্টটি করা হয়েছে। তিনি খরবটিকে মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহীন হিসেবে অবিহিত করে বলেছেন এ প্রতিবেদনে তার ভাবমর্যাদা নষ্টের চেষ্টা হয়েছে। প্রতিবাদে তিনি লিখেছেন ‘সংবাদটি প্রকাশ করা আমার বিরুদ্ধে একান্তই ষড়যন্ত্রের অংশ।’ এক পৃষ্ঠার প্রতিবাদে তিনি দৈনিক ইনকিলাব ও সাংবাদিকের ভাবমর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধের অভিযোগ তুলেছেন।
প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রথমে বলা ভালো যে, কারো ভাবমর্যাদা নষ্ট করার জন্য রিপোর্টটি করা হয়নি। যে স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় তা ফেসবুকে পোস্ট করা হয় গত ৮ আগস্ট। অতঃপর দেশের অনেকগুলো অনলাইন পত্রিকায় সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়ার ছবিসহ সম্পূর্ণ স্ট্যাটাস তুলে ধরা হয়। তিনি নিজেও বলেছেন ‘কিছু সংবাদপত্র ও কোনো কোনো টিভিতে সংবাদ প্রকাশ করা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ’। বক্তব্য ৮ আগস্টে ফেসবুকে পোস্ট করা হলেও ১০ আগস্ট পর্যন্ত তিনি ওই লেখা ‘ভুয়া আইডি’ থেকে করা হয়েছে এমন অভিযোগ করেননি। এমনকি দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে তুমুল বিতর্ক হলেও তিনি স্ট্যাটাসটি তার নয় এমন দাবি করেননি। বরং তার ফেসবুকে এ নিয়ে অনেক মন্তব্য এসেছে। অথচ ইনকিলাবে রিপোর্ট প্রকাশের পর তিনি তার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন। এডভোকেট পাপিয়া দাবি করেছেন, তার নামে ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে এমন স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, আইডিটি ভুয়া দাবি করলেও বাস্তবে ভুয়া নয়। যে ফেসবুকে ওই স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে তার তথ্য-উপাত্ত, ফলোআপ এবং ব্যবহার দেখে ভুয়া প্রমাণ করার সুযোগ নেই। শুধু তাই নয় বিএনপির একাধিক নেতাও জানান, তারা এডভোকেট পাপিয়ার ওই ফেসবুকের মতামত আদান-প্রদান করেছেন। বিএনপির নেত্রী হিসেবে নয়; তিনি প্রতিবাদ করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী পরিচয়ে। প্রতিবাদ পত্রে পরিচিতিতে লিখেছেন এডভোকেট সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, রুম নং-৩০৭, সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।