পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করতে জম্মু কাশ্মীর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজৌরী এবং পুঞ্চ জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা জওয়ানদের নিয়েই দীপাবলি উদযাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। গত দু’মাস ধরেই একের পর এক সন্ত্রাসী হামলায় বিপর্যস্ত ছিল জম্মু কাশ্মীরের এই এলাকা। পাক সেনার মর্টার শেলিং, গোলাবর্ষণে উত্তপ্ত ছিল গোটা পুঞ্চ এলাকা।
সূত্রের খবর, যে চারটি হেলিকপ্টার জম্মু কাশ্মীরে আসে তার মধ্যে একটি রাজৌরিতে এবং অপর তিনটি ভিম্বর গলিতে অবতরণ করে। এই চারটির মধ্যে একটি হেলিকপ্টারে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে প্রশাসন এবং পুলিশ সূত্র দীপাবলি উদযাপনে প্রধানমন্ত্রীর আগমন নিশ্চিত করেছে।
কাশ্মীরে মোতায়েন সেনাদের সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপনে উপত্যকার রাজৌরি জেলায় সফরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কর্মকর্তাদের বরাতে এনডিটিভি বলছে, লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) দেশরক্ষার কাজে নিয়োজিত সেনাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতেই মোদির এ সফর।
কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা মোতায়েন দিবস ও দিওয়ালি একইদিনে হওয়ায় এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছেন মোদি। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর এই দিনে পাকিস্তানের হামলা থেকে নিজেদের দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীরের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে উপত্যকায় সামরিকায়নের কাজ শুরু করে ভারত।
কাশ্মীরের রাজৌরি জেলা ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত নির্ধারণকারী রেখা লাইন অব কন্ট্রোলের (এলওসি) পাশে অবস্থিত। মোদি সরাসরি সেখানে সেনাবাহিনীর ব্রিগেড হেডকোয়ার্টাসে গিয়ে নামেন। সেখানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১৪ সাল থেকে এ নিয়ে তৃতীয়বার দিওয়ালি উদযাপনে কাশ্মীর সফরে গেলেন নরেন্দ্র মোদি। আর গত আগস্টে কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা রদের পর এটাই তার প্রথম কাশ্মীর সফর।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে মোদি দিওয়ালিতে কাশ্মীর সফরের গোড়াপত্তন করেন। প্রথমবার তিনি কাশ্মীরের লাদাখে অবস্থিত সিয়াচেন হিমবাহে মোতায়েন সেনাদের সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করেন। ওই সফরে একইসঙ্গে শ্রীনগরের বন্যদুর্গতদের দেখতে যান তিনি।
তারপর ২০১৭ সালে মোদি কাশ্মীরের গুরেজ সেক্টরে সেনাদের সঙ্গে দিওয়ালিতে অংশ নেন। এছাড়া ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদি পাঞ্জাব সীমান্তে সেনাদের সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করেন। সেবার পাক-ভারত যুদ্ধের (১৯৬৫) ৫০ বছর পূর্তি হয়েছিল।
পরের বছর হিমাচল প্রদেশে চীন সীমান্তে ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশের সঙ্গে দিওয়ালি পালন করতে দেখা যায় মোদিকে। এরপর ২০১৮ সালে তিনি উত্তরাখন্ড যান। সেখানেও দিওয়ালিতে ইন্দো-চীন সীমান্তে মোতায়েন ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে ছিলেন মোদি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।