পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উপমাহাদেশের আজীবন সংগ্রামী মুসলিম সাহিত্য-সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী ছিলেন উদার মানবতাবাদী মনীষী। তার কর্মজীবন ও আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অনুসরণীয়। ইসলামাবাদীর ত্যাগ, জীবনদর্শন ও সংগ্রামমুখর জীবনধারা থেকে তরুণ প্রজন্ম শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেলে বর্তমান সময়ে সর্বক্ষেত্রে মূল্যবোধের ধস-অবক্ষয় ও দুর্দশা থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব।
খ্যাতিমান মুসলিম মনীষা মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর ৬৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তাগণ একথা বলেন। গত বৃহস্পতিবার কদম মোবারক মুসলিম এতিমখানা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ মোরশেদ হোসেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সভায় আলোচকগণ বলেন, মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী ছিলেন সুস্থ ধারার রাজনীতি-সমাজনীতির বাতিঘর। উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ইসলামাবাদী অসহযোগ, বঙ্গভঙ্গ রদ ও খিলাফত আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তিনি স্বদেশী আন্দোলনের সময় ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য হন। কৃষক প্রজা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
তারা বলেন, পশ্চাৎমুখী মুসলিম সমাজকে কুপ্রথামুক্ত ও সময়োপযোগী শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান অগ্রগামী করে তুলতে তিনি অদম্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। এ অঞ্চলে ইসলামী আরবি বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন তিনি। স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইউএসটিসি’র সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়–ুয়া, প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শহীদুল ইসলাম, মহিলা কলেজ চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ তহুরিন সবুর ডালিয়া, হাজী মোঃ সাহাবউদ্দীন, অধ্যক্ষ মো. সানাউল্লাহ, আল্লামা বদিউল আলম রেজভী, ইসলামাবাদীর দৌহিত্র এএমএস ইসলামাবাদী গাজী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।