Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘তোর কারণে ফাঁসি হয়েছে’ বলেই সিরাজকে মারেন অন্য আসামিরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:০২ পিএম

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন।

এদিকে, রায় ঘোষণার পর ১৬ আসামিকে কারাগারে নেয়ার জন্য প্রিজনভ্যানে তোলার সময় অন্য আসামিরা মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে মারধর করেছেন।
অধ্যক্ষ সিরাজকে মারতে মারতে এ সময় আসামিদের কেউ কেউ বলতে থাকেন, ‘তোর কারণে আমাদের ফাঁসি হয়েছে।’

এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬ আসামিকে ফাঁসির আদেশের পর কারাগারে নেয়ার সময় মামলার প্রধান আসামিসহ অন্যদের প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। এ সময় তাদের কেউ কেউ কাঁদছিলেন। প্রিজনভ্যানে তোলার পর অন্যান্য আসামি সিরাজকে হঠাৎ করেই পেটাতে থাকেন। সে সময় তাকে বুকে-মুখে চড়-থাপ্পড় মারা শুরু করেন।

এ সময় আসামি মো. জোবায়ের, জাবেদ হোসেন, মো. শামীম, প্রভাষক আফছার উদ্দিন, হাফেজ আবদুল কাদের কান্নায় চিৎকার করতে থাকেন।

তারা বলতে থাকেন, আত্মহত্যাকে হত্যা বলা হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে আসামিদের শান্ত করেন। এরপর প্রিজনভ্যান চলা শুরু করে কারাগারের দিকে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আবদুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহসভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।

 



 

Show all comments
  • Nurul Amin ২৪ অক্টোবর, ২০১৯, ৭:৫০ পিএম says : 0
    অধ্যক্ষ সিরাজ, Give him punishment by FIRE. We are happy and many thanks to MADAM SHAK HASSINA (PM). We are requested take action immediately.
    Total Reply(0) Reply
  • Shafiqul Siddique ২৫ অক্টোবর, ২০১৯, ৭:৪৫ এএম says : 0
    I hope that the punishment should be implemented as soon as possible. This culprit Shiraz-ud-daola, has no right to live. This will be a wake up call for other criminals
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নুসরাত হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ