পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দি ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়ানোর ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দন্ডিত সোনাগাজী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদন তিন মাসের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা ও ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ রানজীব। সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম।
২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর এ মামলায় দুই ধারায় মোয়াজ্জেম হোসেনকে ৮ বছরের কারাদন্ড দিয়েছিলেন সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসশামছ জগলুল হোসেন। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে দু’টি ধারায় আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
রায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৬ ধারায় মোয়াজ্জেমকে ৫ বছর কারাদন্ড ও ৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড এবং ২৯ ধারায় তিন বছর কারাদন্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদন্ড করা হয়। অর্থদন্ড অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাস কারাদন্ড দেয়া হয়। এছাড়া আইনের ৩১ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোয়াজ্জেমকে খালাস দেয়া হয়। সাজা ধারাবাহিকভাবে কার্যকর হবে বিধায় ওসি মোয়াজ্জেমকে ৮ বছরই কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল এবং জামিন প্রার্থনা করেন মোয়াজ্জেম হোসেন।
নুসরাত জাহান রাফিকে ‘অসম্মানজনক’ কথা বলা ও তার জবানবন্দি ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল সাইবার ট্রাইব্যুনালে সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।