পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে হত্যা মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আতিকুল ইসলাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মীনা মাহমুদা রাজধানীর ফকিরাপুলে চাচা-ভাতিজা হত্যা মামলায় খালেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার জন্য আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগেও কয়েকদফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে খালেদকে।
২৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিলেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে দুই মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে ফের ওই দুই মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি খালেদ ভয়ংকর সন্ত্রাসী। ঢাকার মতিঝিল ইয়ংমেনস ক্লাব, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, আরামবাগ ক্লাবসহ ফকিরাপুলের অনেক ক্লাবের ক্যাসিনোর আসর বসিয়ে রমরমা মাদক ব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছে। এসব ক্লাবে দিন-রাত জুয়া খেলা চলত। এর একক নিয়ন্ত্রণ ছিল খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার হাতে। খালেদ মাহমুদ খিলগাঁও-শাহজাহানপুর হয়ে চলাচলকারী গণপরিবহন থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়, প্রতি কোরবানির ঈদে শাহজাহানপুর কলোনি মাঠ, মেরাদিয়া এবং কমলাপুর পশুরহাট নিয়ন্ত্রণ, খিলগাঁও রেলক্রসিংয়ে প্রতি রাতে মাছের হাট বসিয়ে চাঁদা আদায় করে। একইভাবে মতিঝিল, শাহজাহানপুর, রামপুরা, সবুজবাগ, খিলগাঁও এলাকা পুরো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কোটি কোটি টাকা আদায় করত।
এসব এলাকায় থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, রেল ভবন, ক্রীড়া পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, যুব ভবন, কৃষি ভবন, ওয়াসার ফকিরাপুল জোনসহ অধিকাংশ সংস্থার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করত ভূঁইয়া অ্যান্ড ভূঁইয়া প্রতিষ্ঠানের নামে এই কুখ্যাত চাঁদাবাজ। অবৈধ ক্যাসিনোসহ জমজমাট মাদক ব্যবসা, টেন্ডারবাজি, বেপরোয়া চাঁদাবাজি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সে গড়ে তুলেছে সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী। এই বাহিনী পরিচালনার ক্ষেত্রে তার কাছে রয়েছে বিশাল অবৈধ অস্ত্রের ভাণ্ডার, যা সর্বসাধারণের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
এদিকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। সোমবার দুদকের নির্ভরশীল সূত্র এ তথ্য জানান।
গত ১৩ অক্টোবর খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। মানি লন্ডারিং ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে খালেদ ভূঁইয়াকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযানে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আটক করা হয় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। তার বাসা থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র, লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করা আরও দুটি অস্ত্র, কয়েক রাউন্ড গুলি ও দুই প্যাকেটে ৫৮২ পিস ইয়াবা জব্দ করে র্যাব।
এ ছাড়া তার বাসার শোকেস থেকে ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ও চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা সমমূল্যের মার্কিন ডলার জব্দ করা হয়।
এর পর গত ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের নিজ কার্যালয় জিকে বিল্ডার্স ভবন থেকে জিকে শামীমকে আটক করে র্যাব। এর আগে ভোরে তার সাত দেহরক্ষীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। জিকে শামীমের ব্যবসায়িক কার্যালয় থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেক ও ১০ কোটি নগদ অর্থসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদ ও ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া তার কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।