পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার একটি সীমা আছে। যতই স্বাধীনতা থাকুক, আল্লাহ, রসূল, সামরিক বাহিনী এবং বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে যা ইচ্ছে তাই লেখা যায় না। কিন্তু আমাদের দেশে একটি ফ্যাশন দাঁড়িয়েছে যে, আল্লাহ, রসূলের বিরুদ্ধে কিছু লিখলেই সেই লেখক প্রগতিবাদী হয়ে যায়। আর আল্লাহ-রসূল (সা.) সম্পর্কে তথা ইসলামের মূলনীতিসমূহ অনুসরণ করার আহবান জানিয়ে কথা বললে বা কিছু লিখলে তথা কথিত প্রগতিবাদী বন্ধুরা ধর্মান্ধতার তকমা এঁটে দেন। এটি একটি মারাত্মক প্রবণতা। আমরা অনেকদিন থেকেই উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে, মুক্তমনের নামে যেভাবে ইসলাম বিরোধীতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে তার ফলে ধর্মভীরু মানুষের মনে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হচ্ছে। যে কোনো সময় তার ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
সেটিই ঘটেছে ভোলার বোরাহানউদ্দিন উপজেলায়। ভোলায় বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামক এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি ফেসবুকে আল্লাহ ও রসূল (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। এই ব্যক্তি অর্থাৎ বিপ্লব চন্দ্র শুভ বলছেন যে, তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হয়েছে এবং হ্যাকাররা তার নামে বিবি ফাতেমা (রা.), রাসূলে করিম (সা.) এবং আল্লাহ সুবহানাওয়াতাআলা সম্পর্কে কটূক্তি করেছে। সাধারণ মানুষের হ্যাকিং এবং হ্যাকারদের অপকর্ম তাৎক্ষণিকভাবে জানার কথা নয়। তারা ফেসবুকে যা দেখেন সেটার ভিত্তিতেই তাদের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এখন হ্যাকাররা করলো কিনা সেটা জনগণের পক্ষে জানা সম্ভব হয় না। তাই এটি সরকারের দায়িত্ব, বিষয়টি জনগণের কাছে যত দ্রুত সম্ভব খোলাসা করে বলা এবং এমন সহজভাবে, বলা যাতে জনগণ সেটি বুঝতে পারে এবং বিশ্বাস করে। আলোচ্য ক্ষেত্রে এগুলি করা হয় নাই। ফলে জনগণ দেখেছে যে বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামক একজন হিন্দু এই গর্হিত কাজ করেছে এবং তার বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ এবং প্রতিবাদ প্রকাশ করার জন্য একটি প্রতিবাদ সভা ডেকেছিলেন।
সেই প্রতিবাদ সভা শান্তিপূর্ণভাবে করতে দিলে কারো মাথায় আকাশ ভেঙে পড়তো না। পুলিশ সেখানে এসে অনুমতির প্রশ্ন তোলে এবং বিরোধী দলসমূহের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা তাতে দেখা যায় যে, অনুমতি মেলে না অথবা অনুমতি দিতে অনেক টালবাহানা করা হয়। এখানে যে বিষয় সেখানে কোনো রাজনীতি নাই। দেশের ৯০% মুসলমানের আবেগ ও অনুভূতির ব্যাপার। সেই আবেগ ও অনুভূতিকে কোনো মূল্য দেওয়া হয়েছে বলে পত্রপত্রিকার রিপোর্ট পড়ে মনে হয়না। বিষয়টি যদি মুষ্টিমেয় কতিপয় ব্যক্তির সভা-সমিতি বা উচ্ছৃংখলতা হতো তাহলেও বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখা যেতো। কিন্তু সংবাদপত্রের রিপোর্ট থেকেই দেখা যাচ্ছে যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড মোতায়েন করতে হয়েছে। একাধিক টেলিভিশন রিপোর্টে দেখানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, হাজার হাজার মানুষ এই প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ গ্রহণ করতে আসে। অতঃপর যে মিছিল হয় সেই মিছিলেও অংশ নেয় হাজার হাজার মানুষ। কারণ বিষয়টি শুধুমাত্র মুসল্লিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, হাজার হাজার গ্রামবাসী প্রতিবাদীদের সাথে শামিল হয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, এখানে কোনো রাজনীতি ছিলো না অথবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অথবা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধেও এটি কোনো প্রতিবাদ ছিলো না।
দুই
আসল ব্যাপারটি হলো এই যে, এলাকার সর্বস্তরের মুসলমান এই প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন। বাংলাদেশের মুসলমান একবেলা না খেয়ে থাকতে পারেন, কিন্তু তারা অভুক্ত অবস্থাতেও তাদের আল্লাহ এবং রাসূলের (সা.) কোনো অবমাননা সহ্য করতে পারেন না। আমার আশঙ্কা হয় যে, পুলিশ ধীরে ধীরে জনগণের এই অনুভূতি ভুলে যাচ্ছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যে এই প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন তার একটি বড় প্রমাণ হলো, এই বোরহানউদ্দিন থানাার এসআই জাফর ইকবালের দেওয়া তথ্য মোতাবেক একজন মেজর সহ ৪০ সদস্যের একটি বিজিবি দল ঘটনাস্থলে ছিল। এছাড়া রাতে আরো ৬০ সদস্যের একটি দল মোতায়েন করা হয়।
আন্দোলনের একজন মুখপাত্র ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। সর্বশেষ দাবিতে বলা হয়েছে যে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের দাবিসমূহ পূরণ না করলে তারা আলোচনা সভা করবেন এবং আরো আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে আল্লাহ ও মহানবী (সা.) কে কটূক্তিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। মহানবীকে (সা.) অবমাননাকারী ভোলার ইসকন সদস্য বিপ্লব চন্দ্র শুভকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। কোনোরূপ উস্কানি ছাড়াই পুলিশ পাখির মতো গুলি করেছে। এই গুলি বৃষ্টির ফলে দুই জন ছাত্র সহ ৪ জন নিহত হয়েছে এবং শতাধিক আহত হয়েছে। এই গুলি বর্ষণ এবং আহত ও নিহতদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করা হয়েছে। অপর একটি দাবি হলো আহতদের সরকারি খরচে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসা প্রদান।
গভীর পরিতাপের সাথে বলতে হয় যে, সরকার এবং পুলিশ প্রশাসন আজকাল আল্লাহ-রাসূল (সা.) তথা ইসলাম বিরোধী কোনো প্রচারণার প্রতিবাদ হলে সাথে সাথেই তাকে স্বার্থান্বেষী মহল ধর্মকে পুঁজি করে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র বলে চাপিয়ে দেয়। এখানে কি ঘটলো? এক বা একাধিক ব্যক্তি আল্লাহ এবং রাসূল (সা.) কে অবমাননা করলো। তাদের কিছুই হলো না। কিন্তু এই অবমাননার প্রতিবাদ যারা করতে গেল তাদের মধ্যে ৪ ব্যক্তি প্রাণ হারাল। অতীতেও এই রকম অনেক ঘটনা ঘটেছে। ইসলামকে অবমননা করে বই লেখা হয়েছে। সেটির প্রতিবাদ করতে গিয়ে হাজার হাজার ধর্মভীরু মুসলমান প্রতিবাদ মিছিল বা সমাবেশ করেছেন। প্রতিবাদকারী ধর্মভীরু মুসল্লীরা মার খেয়েছে এবং অনেকে পুলিশের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছ, কিন্তু যারা ইসলাম বিরোধী অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তি হয়নি। বরং প্রতিবাদকারীদের প্রতিবাদকে মুক্তচিন্তার প্রতি আঘাত বলে বিরূপ প্রচারণা চালানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলবো, তিনি শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। এজন্য কেউ তার সমালোচনা করেনি। বরং অনেকে তার প্রশংসাও করেছেন। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পরিসংখ্যান নিন। দেখুন কতবার কত ব্যক্তি ইসলামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে বইপত্র বা কবিতা লিখেছেন, আর কত হাজার ব্যক্তি তার প্রতিবাদ করেছেন। তাকে আরও বলবো, পরিসংখ্যান নিয়ে দেখুন, যারা বিগত ১০/১২ বছর ধরে ইসলামবিরোধী প্রচারণ চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের কতজনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং যারা প্রতিবাদ করে যাচ্ছে তাদের কতজনকে আহত ও নিহত করা হয়েছে। নিরপেক্ষভাবে অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে, আল্লাহরাসূলের (সা.) বিরুদ্ধে অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে কদাচিৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পক্ষান্তরে যারা সেই অবমাননার প্রতিবাদ করেছে তাদের ওপর প্রতিবার পুলিশি হামলা হয়েছে। মার খেয়েছেন প্রতিবাদকারীরা, আর যারা অবমাননাকারী তারা মোটামুটি অক্ষত রয়েছে।
তিন
বোরহানউদ্দিনের ঘটনা বিশেষ করে মুসল্লি এবং সাধারণ মানুষের এই প্রতিবাদ বিক্ষোভকে ধর্মকে পুঁজি করে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র বলে ঘটনাকে হালকা করা অথবা অপবাদ দেওয়া যাবে না। পরিস্থিতি যে কতখানি স্পর্শকাতর সেটি প্রশাসন হয়তো বুঝতে পারেনি। বুঝলে দেখত যে, বোরহানউদ্দিনের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকায় তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন ইসলামী দল। গতকাল রোববার বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশ জমিয়েয়ে উলামায়ে ইসলামের ঢাকা মহানগরী সভাপতি মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফিন্দির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আল্লাহ ও মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। মহানবী (সা.) এর অবমাননাকারী ভোলার ইসকন সদস্য বিপ্লব চন্দ্র শুভকে কঠিন শাস্তি দিতে হবে।
ভোলায় হিন্দু কর্তৃক আল্লাহ ও রাসুল (সা.) কে অবমাননা করার প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ নবী প্রেমিকদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের বাধা এবং নির্বিচারে গুলি করে ৪ জনকে শহীদ করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী। তিনি বলেন, শতকরা ৯৫% মুসলমানের বাংলাদেশে বিশ্ব মানবতার শান্তির দূত হযরত মুহম্মাদ (সা.) এর অবমাননা বরদাশত করা হবে না। অভিযুক্ত কটুক্তিকারীর বিচার করা না হলে সারাদেশে আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়বে। তিনি বলেন, আল্লাহ ও রাসূল (সা.) কে কটুক্তি করলে তার প্রতিবাদ করা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় ও নাগরিক অধিকার। এ অধিকার খর্ব করার অধিকার কারো নেই। এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ভোলার বুরহানুদ্দিনে আল্লাহ ও রাসূল সা.কে নিয়ে একটি পক্ষ বার বার উস্কানী দিয়ে যাচ্ছে। এরা কারা? এদের পেছনে কে কল-কব্জা নাড়ছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, প্রশাসন কার স্বার্থে নবী প্রেমিক জনতার ওপর পাখির মত গুলি করে শত শত নবী প্রেমিক মুসল্লিকে আহত এবং নিহত করেছে? ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. মওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী ও সাধারণ সম্পাদক ড. মওলানা মুহাম্মদ এনামুল হক আজাদ এক যুক্ত বিবৃতিতে ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের গুলিতে ৪ জন মুসল্লি শাহাদাত ও শত শত মানুষের আহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে রাসূল সা. কে কটুক্তি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারী মুসল্লিদের উপর পুলিশের গুলি ও নিহতের ঘটনা কোন স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে মাঝে মাঝেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিন্দু যুবকদের ধৃষ্টতাপূর্ণ পোস্টের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না থাকার কারণে একের পর এক এসব ঘটনা ঘটছে। ভোলায় তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের গুলি বর্ষণে মুসল্লি হতাহতের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন জমিয়ে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশে’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী। তিনি বলেছেন, পুলিশের এমন মারমুখী আচরণ সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে দেওয়ার উস্কানি এবং ক্ষমার অযোগ্য নিষ্ঠুরতা। ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. মওলানা মুহাম্মদ এনামুল হক আজাদ এক যুক্তবিবৃতিতে ভোলায় পুলিশের গুলিতে মুসল্লি শাহাদাত ও আহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আরো প্রতিবাদ জানিয়েছেন নেছারাবাদী হুজুর ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে পুলিশের নির্মম গুলি বর্ষণের বিরুদ্ধে সমালোচনা ও ধিক্কারের ঝড়। গতকাল দৈনিক ইনকিলাবের অনলাইন সংস্করণে অনেক মন্তব্য এসেছে। সাংবাদিক মেহদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘বিদেশে অনেক বড় বড় বিক্ষোভ পুলিশকে একটি বুলেট খরচ না করেও ধৈর্য্যসহকারে মোকাবেলা করতে দেখি। সরকারকে এ বিষয়ে ভাবতে হবে।’
ক্ষোভ জানিয়ে কাজী হাফিজ লিখেছেন, ‘আইডি হ্যাক করে এ ধরনের উত্তেজনা ছড়ানো অস্বাভাবিক নয়। উত্তেজিত জনতা একটি বিক্ষোভ মিছিল করলেই কী রাষ্ট্র নষ্ট হয়ে যেতো?’ মনির হোসেন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করছে কারা? কেনই বা ফেসবুকে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মনে আঘাত দিয়ে পোস্ট করতে হবে? কাদের স্বার্থ এখানে জড়িত?’ ‘যেসব পুলিশ সদস্য অতি উৎসাহী হয়ে নিরীহ মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে তাদের বিচার দাবি করছি’, লিখেছেন জুয়েল হক। মমিনুল ইসলাম দাবি জানিয়েছেন, ‘অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসনে থাকা ইসলাম বিদ্বেষী ও বিদেশী উগ্রবাদী শক্তির দোসরদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান চালানো হোক। ভোলায় যেসব অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্য মিনিমাম সহনশীলতা না দেখিয়ে তৌহিদি মুসলিম জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণের তান্ডব চালিয়েছে তারা মূলত গোটা মুসলিম জাতির বুকে গুলি চালিয়েছে। কটুক্তির ঘটনা ভুয়া(হ্যাকিং) হোক আর যাই হোক এখানে তো সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবুও কেন ঈমানি দাবি জানাতে আসা মুসলিম জনতার ওপর গুলি তান্ডব-হত্যাযজ্ঞ চালানো হলো? এই হত্যাকান্ডের অবশ্যই জবাব দিতে হবে।’
Email: journalist [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।