Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তুর্কি এবং সিরীয় বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা নেই : রাশিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৯, ৪:০৩ পিএম

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর থেকেই সেখানে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক সেনাবাহিনী। এর মধ্যেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রবেশ করেছে সিরীয় সেনাবাহিনী। এতে করে তুর্কি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে তাদের বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তবে রাশিয়ার তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা তুর্কি এবং সিরীয় বাহিনীর মধ্যে কোনো ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে দেবে না। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে এখনও সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক।

সিরিয়ায় মস্কোর বিশেষ দূত আলেকজান্ডার ল্যাভরেন্টিভ বলেন, এটা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এটা অবশ্যই মেনে নেব না।
গত সপ্তাহেই সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। সমালোচকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে তুরস্ককে সামরিক অভিযানের সবুজ সংকেত দিয়েছে। সে কারণেই মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর পরই সেখানে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক জোট রাশিয়া। ২০১৫ সালে আসাদ বাহিনীকে সহায়তার জন্য সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া।
এদিকে, কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে সিরীয় সেনাবাহিনীর একটি চুক্তি হয়েছে। কুর্দিরা বলছে, সরকার দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুরস্কের চালানো আগ্রাসন প্রতিহত করার চেষ্টা করবে। গত সপ্তাহ পর্যন্তও কুর্দিরা মার্কিন জোটের সঙ্গেই ছিল।

তুরস্কের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তারা সিরিয়ার ভেতরে অন্তত ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত কুর্দিদের হটিয়ে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরি করতে চায়। তুরস্কে থাকা ৩০ লাখের বেশি সিরীয় শরণার্থীকে ওই অঞ্চলে পুনর্বাসিত করার পরিকল্পনার কথাও বলেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। সমালোচকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এর ফলে ওই অঞ্চলে বসবাসরত কুর্দিরা জাতিগত নিধনের শিকার হতে পারে।

 


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ