পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির পক্ষে দলের ভেতর ‘একটা দালাল শ্রেণি আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, প্যারোলে মুক্তি নিয়ে খালেদা জিয়া বের হবেন কেন? আজকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) প্যারোল নিয়ে দেশ থেকে কিভাবে বের হবেন মানুষ সেই চিন্তা করছে। প্যারোলে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে সমঝোতা, আমাদের মধ্যেও এরকম একটা দালাল শ্রেণি আছে। এটা মিথ্যা না।
মঙ্গলবার দুপুরে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের স্মরণে ২০ দলীয় জোট আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের কথা বলা হচ্ছে। এটাও কিন্তু আমাদের জন্যে আত্মহত্যার শামীল। অনেকদিন পর শুনলাম, কী র্যাগিং, এই শব্দের সাথে পরিচিত নই। এটা আবার কী? র্যাগিংয়ের যে চিত্র, যে কাহিনী- এটা তো পতিতালয়েও এই ধরনের জঘন্য নোংরা ঘটনা ঘটে না।
তিনি বলেন, এদেশের ছাত্ররা ইতিহাসের পাতায় প্রত্যেকটা পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এবং আগামী প্রজন্মে এই ছাত্ররা যে সময় পায় যে, যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার সময় তার, সেই যৌবনের অধিকারী ছাত্ররা- এই বয়সটা তার প্রতিবাদী বয়স, তখনই সত্যটাকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তুলে ধরেন, কর্মজীবনে মানুষ ততটা পারে না। সুতরাং ছাত্র রাজনীতি বন্ধ- এটা একটা চক্রান্ত।
অভিভাবকদের অনুভূতির কথা তুলে ধরে গয়েশ্বর বলেন, অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ। যাদের সন্তানদের লেখাপড়া করাতে পাঠায় কিন্তু তারা সেই পরিমাণ অর্জনটা পায়, আতঙ্কে থাকে সারাক্ষণ। আবেগটা যেখানে পৌঁছেছে অভিভাবকদের সেক্ষেত্রে আমরাও বলব, ছাত্র রাজনীতির নামে দস্যুবৃত্তি বন্ধ করেন এবং যদি ছাত্র রাজনীতি করতে হয় তাহলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ না করে ছাত্রলীগের রাজনীতিটা সারা দেশ থেকে মুছে ফেলেন। তারপর ছয় মাস ট্রায়াল কোর্ট চলুক দেশে। তিনি বলেন, সব অভিভাবককে বলব, ছাত্র রাজনীতির দরকার আছে। ছাত্রলীগের তা-ব আর তাদের অপকর্মকে চাপা দেয়ার জন্য ছাত্র রাজনীতিকে দোষারোপ করার সুযোগ থাকা উচিত না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেসব ভিসিরা আছেন আমাদের ছাত্ররা তাদের পদত্যাগ চায়, কিন্তু তারা দেহত্যাগ করলেও পদত্যাগ করবেন না। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের উদ্দেশ্যে বলেন, পদত্যাগ করলে যে আয় হয় বরকত হয় সেটা তো আর পাওয়া যাবে না। সুতরাং বরকতের দিকে যাদের নজর বেশি তাদের একটু লাজ-লজ্জা কম। তারা দেহত্যাগ করলেও পদত্যাগ করবে না।
স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমেদ, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জামায়াতে ইসলামীর মিয়া গোলাম পারওয়ার, আবদুল হালিম, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এম এ রকীব, এনপিপির অ্যডাভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, কল্যাণ পার্টির মাহমুদ খান, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, এনডিপির আবু তাহের, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নূরুল ইসলাম প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।