মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাপানের রাজধানী টোকিং ও আশপাশ এলাকায় শক্তিশালী টাইফুন হাগিবিসের আঘাত হানার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। জাপান টাইমসের খবরে একথা জানানো হয়েছে। এটাকে স্মরণ কালের সবচেয়ে প্রলয়ংকারী টাইফুন হিসেবে অ্যাখা দেওয়া হয়েছে।
জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (১২ অক্টোবর) জাপানের স্থানীয় সময় রাত ৮টায় উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় উপদ্বীপগুলোতে ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় হাগিবিস। ঝড়ের তাণ্ডবে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার ঘরবাড়ি। এঘটনায় ভূমিধসে ৩৫ জন মানুষের মুত্যু হয়েছে। রোববার বিকেল পর্যন্ত ১৭জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়াও ১৬৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
দেশটির কয়েকটি শহরেও পানি প্রবেশ এবং অনেক ঘরবাড়ি বিধস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী জরুরি বৈঠকে বসেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজে আবে। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে বলেন, যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। এছাড়াও যারা আহত হয়েছেন, তাদের সবাইকে সবধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
ফুকুশিমা, ইবারাগি ও মিয়াগিসহ ১২টি শহরে ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর। বাতিল হয়ে গেছে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক কয়েক হাজার ফ্লাইট। বন্ধ রয়েছে ট্রেন যোগাযোগও।
বলা হচ্ছে- বিগত ৬০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এটি। এর আগে, ১৯৫৮ সালে সবশেষ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ক্যানোগাওয়া’ আঘাত হেনেছিল জাপান উপকূলে। সেসময়, প্রায় ১২শ’ মানুষ নিহত ও নিখোঁজ হয়েছিলেন।
গত মাসেও টাইফুন হেক্সাইয়ের আঘাতে জাপানের কিছু এলাকার প্রায় ৩০ হাজার ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে, ঝড়টি তেমন শক্তিশালী ছিল না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।