পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
১০ এপ্রিল ১৯৭১ তারিখে, তদানীন্তন পাকিস্তানের সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত বাঙালি জনপ্রতিনিধিরা সম্মিলিত হয়ে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র (প্রোক্লামেশন অব ইনডিপেনডেন্স) গ্রহণ করেছিলেন। সেই ঘোষণাপত্রটি বর্তমানে বাংলাদেশের মুদ্রিত সংবিধানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঘোষণাটির মাঝামাঝি অংশ থেকে একটি অনুচ্ছেদ হুবহু উদ্ধৃত করছি। ‘সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি যে ম্যান্ডেট দিয়েছেন সে ম্যান্ডেট মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র ঘোষণা করছি।’ এ অনুচ্ছেদে উদ্ধৃত অংশের মধ্যে তিনটি শব্দের প্রতি পাঠক সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি: সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার। এ তিনটি শব্দ বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের প্রত্যেকের জীবনকে স্পর্শ করে।
এখন আমরা আমাদের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রসঙ্গটি নিয়ে আলোচনা করতে পারি। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কয়েকটি বাধা বা সীমাবদ্ধতা বরাবরই লক্ষযোগ্য। আমাদের মতে, বাংলাদেশের গত ৪৮ বছরের সরকারগুলোর মধ্যে প্রতিটি সরকার সমানভাবে বা সমানুপাতিকভাবে এ তিনটি বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দেননি। অনেক ক্ষেত্রেই সরকার জনগণের স্বার্থের ওপর দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছিল। সে জন্যই এ বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়নি। জনগণের স্বার্থ মানে দেশের স্বার্থ কিংবা দেশের স্বার্থ মানে জনগণের স্বার্থ। এই স্বার্থ দুই প্রকার হতে পারে; যথা: তাৎক্ষণিক বা স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি। আমার মূল্যায়নে ক্ষমতার সাথে সম্পৃক্ত বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল, দেশের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থকে প্রাধান্য না দিয়ে স্বল্পমেয়াদি স্বার্থকে গুরুত্ব বেশি দেয় অথবা দলের স্বার্থকে বড় করে দেখে, সে জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেহেতু সততা ও দেশপ্রেমকে শ্রেণিকক্ষে আলোচনার বিষয় ছাড়া আর কিছুই মনে করা হচ্ছে না, সেহেতু সমাজে এর প্রতিফলন ঘটানোর উদ্যোগ কোনো সময় দেখিনি।
১৯৮২ সালের মার্চ মাসের ২৪ তারিখের নাটকীয়তায় তথা সামরিক শাসন জারির সময় একবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের কথা শুনেছিলাম। ‘ওয়ান-ইলেভেন’ নামক রাজনৈতিক নাটক মঞ্চায়নের সময়েও দুর্নীতির বিরুদ্ধে একই রকম যুদ্ধের কথা শুনেছি। আবার অতি সা¤প্রতিককালেও (কয়েক সপ্তাহ ধরে) দুর্নীতিবিরোধী এরূপ অভিযানের কথা আমাদের সামনে আসছে। বাংলাদেশের শাসকেরা, বেশির ভাগ সময়েই বেশির ভাগ বিষয়ে সিরিয়াস হননি। কারণ, দেশের স্বার্থ শাসকদের নিকট গৌণ, দলের স্বার্থ এবং নিজের ব্যক্তিস্বার্থ মুখ্য ছিল বা আছে। আমরা এর আশু পরিবর্তন চাই। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নীতিবাক্য হলো: ‘পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি’। কল্যাণ পার্টি জনবলের আঙ্গিকে ছোট, কিন্তু চিন্তায় এবং চেতনায় বড়। আমরা ২০ দলীয় জোটে ছিলাম এবং আছি। এরই আওতায় আমরা ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’ নামক একটি রাজনৈতিক প্রবাহ সৃষ্টি করেছি। নিকটতম পার্লামেন্ট নির্বাচনে আমরা প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিএনপির কোটি কোটি নিপীড়িত-নির্যাতিত কর্মী আমাদের আত্মার আত্মীয়। আমরা একা পরিবর্তন আনতে পারব না, তাই সর্বদাই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ওপর অতীতেও আমরা গুরুত্ব আরোপ করেছি, বর্তমানেও করছি।
সরকার তথা বর্তমান ক্ষমতাসীন দলকে ধন্যবাদ জানাই কিছু বিষয়ে। যেমন: (ক) জিডিপি বা দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি, (খ) ১৯৯৬ সালে ভারতের সাথে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা পানিচুক্তি স্বাক্ষর, (গ) পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর, (ঘ) সমুদ্রসীমা বৃদ্ধি, (ঙ) রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদান, (চ) প্রসূতি-মা ও শিশু মৃত্যু হ্রাস ও (ছ) বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি ইত্যাদি।
দেশে সা¤প্রতিককালের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ হচ্ছে, যুগের পর যুগ ধরে যেহেতু দুর্নীতি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান ছিল, গত এক দশকে বহুলাংশেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সে দুর্নীতির জ্যামিতিক হারে বিশালত্ব লাভ। শুধু আর্থিক দুর্নীতি নয়, বাংলাদেশের সামাজিক নৈতিকতা, শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈতিকতা এমনকি ধর্মীয় অঙ্গনের নৈতিকতাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার জন্য গত ১২ বছরের শাসনই মূলত দায়ী। ভৌত কাঠামোমূলক উন্নয়ন বা ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল ডেভেলপমেন্ট হলেও অর্থনীতির ভিত্তি দুর্বল হচ্ছে এবং শেয়ার মার্কেটের কর্মকান্ড, ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করলে এটি বোঝা যায়। ধর্ষণ-প্রবণতা, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, নারীর প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে সহিংসতা।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একধরনের ভারসাম্যহীনতা গত ১২ বছরে সৃষ্টি হয়েছে। মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ভারসাম্যহীনভাবে বেড়েছে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি এবং ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের পার্লামেন্ট নির্বাচনগুলো যেহেতু চরম অনৈতিকতার ওপর দন্ডায়মান এবং সাধারণ জনগণের অনুভূতির প্রতি চরম বিদ্রুপস্বরূপ, তাই বিদ্যমান রাজনৈতিক সরকার কোনো কিছুই নৈতিক সাহস নিয়ে করতে পারেনি। এর ব্যতিক্রম ঘটাতে, একটি উদ্যোগ নিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী; উদ্যোগ কতটুকু গভীরে যাবে ও টিকবে; সে বিষয়ে আজ মন্তব্য করতে পারছি না। এবার সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখের পর থেকে দেশের পরিস্থিতি সবার জানা। দুর্নীতি, লাম্পট্য ও ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধভাবে টাকা কামানো ও সম্পদ বাড়ানো এবং বিদেশে অর্থপাচারের কাহিনীগুলো সব উঠে আসছে এবং এসব খলনায়ক ক্ষমতাসীন দলেরই দাপুটে ব্যক্তি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ যে, তিনি কাজটিতে হাত দিয়েছেন।
কিন্তু এটাও সত্য, তিনি কাজটিতে অনেক দেরিতে হাত দিয়েছেন। নিউইয়র্কে সংবর্ধনা সভায় প্রদত্ত ভাষণে তিনি স্বীকার করেছেন, এসব দুর্নীতির কারণে দেশের উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাজটি, শিলাখন্ডের সর্বোচ্চ ভাগে হাত দেয়ার চেয়েও কম। কারণ ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ও আলোচিত কোনো দুর্নীতির বিচার করার প্রবণতা এই সরকার আজ অবধি দেখায়নি। এরূপ চটকদার কর্মকান্ড ও বক্তব্যগুলোর মাধ্যমে ১২ বছর ধরে নিপীড়িত ও নির্যাতিত সাধারণ মানুষের মনে, প্রধানমন্ত্রী ও শাসক দলের প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজনীতির অঙ্গনে ১০ বছর ধরে এ দল কঠোর সংগ্রাম করছে প্রধান বিরোধী শিবিরকে রাজনৈতিকভাবে ‘মার্জিনালাইজ’ করতে। আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বেগম জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। অন্য লাখ লাখ কারাবন্দি বা মামলার আসামিদের কথা না-ই বা বললাম। যতটুকু লিখলাম বা বললাম, তার বহু গুণ বেশি না বলা বা অলিখিত থেকেই গেল।
সম্মানিত পাঠক, ওপরের দু’টি অনুচ্ছেদ পুনরায় লক্ষ করুন। এ রকম একটি প্রেক্ষাপটে, একাত্তরের রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ইবরাহিম মনে করেন যে, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক নবজন্ম প্রয়োজন। বলা যায় নতুন স্বচ্ছতা নিয়ে, নতুন প্রত্যয় নিয়ে, নতুন উদারতা আর নতুন সহনশীলতা নিয়ে, সমঝোতার পরিবেশে আমাদের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডকে পুনর্গঠন করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে কিছু অভিমত উপস্থাপন করছি।
এক. সহনশীল ও নিরপেক্ষ রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া প্রয়োজন; অতএব মুক্তি দেয়া হোক; দুই. সহনশীল ও নিরপেক্ষ রাজনৈতিক পরিবেশে ও নিরপেক্ষ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে নতুন পার্লামেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন করা হোক; তিন. মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং দেশ পরিচালনাকারী যেকোনো সরকারের বিভিন্ন স্তরে জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘ন্যায়পাল’ নিয়োগ করা হোক; চার. প্রশাসনিক কর্মকান্ড ও বিচার বিভাগের উচ্চ অঙ্গকে ভৌগোলিকভাবে বিকেন্দ্রীকরণ করা হোক এবং দায়িত্ব বণ্টন বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার বিকেন্দ্রীকরণ করা হোক; পাঁচ. চট্টগ্রামকে দেশের কার্যকর বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার নিমিত্তে, প্রাইভেট সেক্টরের ব্যাংক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু এবং আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু সদর দফতর চট্টগ্রামে বিকেন্দ্রীকরণ করা হোক; ছয়. সরকারি চাকরি তথা প্রশাসনিক কর্মকান্ডকে প্রথমত রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, দ্বিতীয়ত দলীয় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য এবং তৃতীয়ত শুধু মেধাভিত্তিক করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক; সাত. সরকারি চাকরিতে ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডে গত এক দশকে যতটুকু দলীয় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তৃত হয়েছে, সেটা ক্রমান্বয়ে নিয়ন্ত্রণ ও সংশোধন করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক; আট. শিক্ষাঙ্গনের প্রশাসনে মেধাশূন্যতা এবং দলীয় রাজনৈতিক প্রভাব হ্রাস করার জন্য দ্রæত পদক্ষেপ নেয়া হোক; নয়. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেক্টরে প্রতি বছর এক শতাংশ হারে আগামী পাঁচ বছরে পাঁচ শতাংশ বরাদ্দ ও বিনিয়োগ বাড়ানো হোক; দশ. মাদরাসা শিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষার মধ্যে বৈষম্য দূর করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক; এগারো. সার্বিক জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়নে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা আরো প্রত্যক্ষ ও বলিষ্ঠ করা হোক; বারো. বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে গার্মেন্ট শিল্পের ওপর নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে অন্য তিনটি সেক্টরে যথা তথ্যপ্রযুক্তি, দক্ষ মানবসম্পদ রফতানি ও পর্যটন শিল্পে, বিনিয়োগ ও বিনির্মাণ প্রচেষ্টা অধিকতর জোরদার করা হোক; তেরো. তরুণ স¤প্রদায়কে ব্যবসা-উদ্যোগমুখী এবং উদ্ভাবনী শক্তিতে শক্তিশালী করার নিমিত্তে, সাধারণ শিক্ষার প্রাধান্য কমিয়ে কারিগরি শিক্ষার প্রাধান্য বৃদ্ধি করা হোক; চৌদ্দ. পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরের বিদ্যমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্য থেকে নির্বাচিত বা মনোনীত যথাক্রমে পাঁচটি ও দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে মনিটরিং প্রণোদনা এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হোক; সেই সাথে প্রশাসন কঠোরতর করা হোক যেন পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো-না-কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পায়; পনেরো. ত্রিশ লাখ শহীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নিমিত্তে, উপজেলা ভিত্তিক শহীদদের তালিকা তৈরি এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হোক; ষোলো. কৃষক ও মেহনতি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার লক্ষ্যে, দেশব্যাপী যত প্রকারের শ্রম ও শ্রমিক আছে, সেগুলোকে একটি প্রশাসনিক ছাতার নিচে আনা হোক এবং তাদের জন্য ন্যূনতম মজুরি, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার সুযোগের নীতিমালা প্রণয়ন করা হোক; সতেরো. সংবিধানের ৬৬ ধারার আলোকে, ‘লাভজনক’ পদে নিয়োগের প্রসঙ্গটি বাস্তবায়নের জন্য কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করা হোক; আঠারো. বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারসাম্যহীনতা দূর করার লক্ষ্যে প্রধান প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্কের পুনর্মূল্যায়ন করা হোক এবং বিগত দশ বছরে প্রতিবেশীদের সাথে স্বাক্ষরিত সব রকমের চুক্তি, সমঝোতা ও প্রটোকলের প্রেক্ষাপট ও ব্যাখ্যাসংবলিত শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক; উনিশ. দুর্নীতি হ্রাসকল্পে, জরুরি ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের যোগ্য জনবল, কাঠামো এবং দায়িত্বের পরিধি বৃদ্ধি করা হোক; বিশ. মহান মুক্তিযুদ্ধকালে গৃহীত ও চিহ্নিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে ধর্মীয় মূল্যবোধের সংমিশ্রণে, অগ্রসরমান বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে সমঝোতার পরিবেশ সৃষ্টি করা হোক; একুশ. রাজনীতিতে ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে যেন বাস্তবসম্মত নতুন রক্তপ্রবাহ চালু হয়, সেই লক্ষ্যে রাজনৈতিক ও আইনানুগ পরিবেশ সৃষ্টি করা হোক।
লেখক: চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।