বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি এবং রাজনৈতিক সংগঠন ও তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তকে অধিকাংশই স্বাগত জানিয়েছেন। তবে কেউ কেউ ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধের বিরুদ্ধেও মত দিয়েছেন। বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এই ঘোষণা আসায় ফেইসবুক এ নিয়ে কার্যত সরব রয়েছে।
শুক্রবার বুয়েটের ভিসি ড. সাইফুল ইসলাম ছাত্রদের প্রতি দেয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা করেন। একইসাথে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ১৯ জন ছাত্রকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত হওয়ার পর এদের চিরতরে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানানো হয়।
ফেইসবুকে আবদুল বাতেন সরকার লিখেছেন, ‘‘অনেক সুন্দর একটি সিদ্ধান্ত, শুনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সকলকে এই ধরনের সুন্দর একটি সিদ্ধান্তের জন্যে। তবে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করলে হবে না, পুরো বাংলাদেশের স্কুল কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করলে ছাত্ররা তাদের আলোকিত জীবন ফিরে পাবে এবং তাদের বাবা-মা আলোকিত হবে। দেশ এবং দেশের মানুষ আলোকিত হবে।’’
কাজী মুস্তাফিজ লিখেছেন, ‘‘আবরারের খুনিদেরকে আজীবন বহিষ্কার করে এদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হোক। যেন ছাত্র বিবেচনায় এরা কখনো মাননীয় বিচারকের অনুকম্পা না পায়। কোন ছাত্র সংগঠন কখনোই কোন রাজনৈতিক দলের অংগসংগঠন হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিৎ নয়।’’
‘‘ছাত্র রাজনীতি বন্ধ না করে দলিও রাজনীতিটা বন্ধ করলে বেশি ভালো হতো। ছাত্র রাজনীতি না থাকলে নুরুর মত লিডাররা উঠে আসবে না। ছাত্ররা তাদের দাবি নিয়ে কথা বলার প্লেস পাবেনা। আর বর্তমানে একদলীয় বাকশালের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি গুন্ডাদের আধিপত্য কখনোই কমবে না। এরা আগের মতই বেপরোয়া থাকবে। বরং দলীয় রাজনীতি বন্ধ করে ছাত্রদের জন্য একটা দল থাকবে তারাই তাদের ভোটে নেতা নিযুক্ত করবে এমন ছাত্র রাজনীতি চালু করা উচিত’’ লিখেছেন শাফায়াত খান তারেক।
এইচআর ভুঁইয়া লিখেছেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি দরকার আছে। কিন্তু কোন ছাত্র আপরাধী বা অস্ত্র বাজ প্রমাণিত হলে ছাত্রত্ব বাতিল করা উচিত।’’
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সমালোচনা করে শেখ রিয়াল আহমেদ লিখেছেন, ‘‘মাথা ব্যাথা তাই মাথা কেটে ফেলা ঠিক নয়অ ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা ঠিক হয়নি। বরং আসামিদের কঠোর শাস্তি দিয়ে দিলে ভবিষ্যতে ভালো নেতৃত্ব তৈরি হবে এবং অপরাধ করবে নাহ।
ছাত্ররাজনীতি না থাকলে নেতৃত্বে সেই এসএসসি ফেল লিডারশীপ আসবে ভবিষ্যতে। আর ডাক্তার, ইন্জিনিয়ারদের তাদের পা চাঁটতে হবে।’’
জান্নাতুল মিনাল দাবি জানিয়েছেন, ‘‘শুধু বুয়েটে নয় দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন এবং ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। পড়াশোনা শেষে রাজনীতি করার সময় আছে, পড়াশোনা চলাকালীন রাজনীতি দরকার নাই।’’
‘‘সঠিক সিদ্ধান্ত ওখানে যারা চান্স পায় এরা দেশ সেরা মেধাবি ওদের কাজ শিক্ষা, জ্ঞান, গবেষণায় সময় দিয়ে দেশের জন্য কিছু করা। নতুন নতুন উদ্ভাবন করা। তাদের মতো মেধাবিদের দিয়ে স্লোগান, মিটিং মিছিল এসবের দরকার নাই’’ মন্তব্য আহমেদ রাজের।
ফেইসবুক ব্যবহারকারী হাসনাইন আহমাদ লিখেছেন, ‘‘রাজনীতি নিষিদ্ধ হবার পরেও যারা সেখানে রাজনীতি করবে তাদের কি শাস্তি হবে সেটাও জাতিকে জানাতে হবে ৷ কৌশলে যাতে কোন একটি রাজনীতিক দলকে যেন সুযোগ সুবিধা না দেওয়া হয় ৷’’
রাসেল আহমেদ লিখেছেন, ‘‘যে বা যারা রাজনীতির নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি করবে, ওদের পিটিয়ে পিঠের ছাল তুলে গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে! যেন ভবিষ্যতে কেউ আর ছাত্রদের নির্যাতন করার আগে ১০১ বার ভাবে।’’
‘‘এরশাদ তোমার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল। দেশের সকল প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি’ লিখেছেন রাশিদুল আহসান।
বোরহান উদ্দিন লিখেছেন, ‘‘দেশের ভবিষ্যৎ যাদের হাতে থাকবে তাদেরকে একদম রাজনীতির বাইরে রাখাও কি ঠিক হবে? ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের দায়ভার সব রাজনৈতিক দলের উপর বর্তাবে কেন? ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করুন-সব এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।’’
এদিকে, মাহদি আল কবির লিখেছেন, ‘‘সাময়িক বহিষ্কার মানার নয়। আবরারের সাথে তামাশা করা হচ্ছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হুমকির মুখে ফেলছে এই সাময়িক বহিষ্কার। জোর দাবি জানাচ্ছি ছাত্র-ছাত্রীদের সাময়িক বহিষ্কার না মানার জন্য। আজীবন বহিষ্কার চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।