পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তিনি বলেন, ‘গত ১০ বছরে ছাত্রলীগ-যুবলীগের তাণ্ডবলীলা চরম একটা পর্যায় পৌঁছে গেছে। এরা অন্যায়ভাবে শত শত কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। ৮৬ কোটি টাকা টেন্ডারবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অপসারণ করা হয়েছে। এদের কর্মকাণ্ড শেষ হওয়ার পরেই আমরা দেখতে পেলাম যুবলীগের তাণ্ডবলীলার চিত্র। অসম্ভব অবিশ্বাস্য।’
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার প্রতিবাদ এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন ভারত সফরে গেলেন আমরা অত্যন্ত আশাবাদী ছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম অন্তত তিনি তিস্তা নদীর পানির ব্যাপারে একটি সমঝোতার খবর নিয়ে আসবেন। আজকে দশ বছর এই সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছে, তারপরেও আমাদের তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যার পানি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অর্জন করতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী ভারতকে ফেনী নদীর পানি দিয়ে আসলেন, অথচ কোনও জাতীয় স্বার্থ পূরণ করেননি। শুধু তাই নয়, আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি এরপরও প্রধানমন্ত্রী কীভাবে বলেন যে, ‘আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে দেই নাই’।’
খালেদা জিয়া সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না অভিযোগ করে মওদুদ বলেন, ‘বেগম জিয়া কারান্তরীণ হওয়ার পর আমরা এক বছর দুই মাস দাবি করার পর তাঁকে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। অথচ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা সম্রাট কারাগারে যাওয়ার দুদিন পরই তাকে ভিআইপি মর্যাদায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বেগম জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, তারপরও তাকে সঠিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। এতেই বোঝা যায় দেশে দ্বৈতনীতি চলছে। বাংলাদেশের মানুষ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’
তিনি বলেন, ‘শহীদ আবরার হত্যার ন্যায়বিচার, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ হচ্ছে রাজপথ। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারকে হটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবেই কেবল মাত্র আমরা সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দেখতে পাবো।’
এসময় তিনি বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদের মৃত্যুর দিনটিকে ‘শহীদ আবরার দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও পেশাজীবী নেতা ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা:জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কুদ্দুস, সাংবাদিক নেতা এম আব্দুল্লাহ, কাদের গনি চৌধুরী, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম ও কৃষকদল নেতা মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।