২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
লেজার এক ধরনের আলোক রশ্মি। এ আলোক রশ্মির মাধ্যমে চিকিৎসা পদ্ধতির নাম লেজার চিকিৎসা। আজ এ চিকিৎসা উন্নত বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে। ১০৬৪ ওয়েব লেঙ্গথের লেজার দিয়ে স্থায়ীভাবে শরীরের অবাঞ্ছিত লোম নির্মূল করা হয়। আবার শিশুর জন্মদাগ দূর করতেও লেজার ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে লেজার চিকিৎসা হচ্ছে। যেসব ক্ষেত্রে লেজার চিকিৎসা কার্যকর সেগুলো হচ্ছে :
* মহিলাদের অবাঞ্ছিত লোম দূর।
* ব্রণ ও চিকেন পক্সের কারণে মুখের সৃষ্ট গর্ত দূর করতে।
* অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া ব্রনের কার্যকর চিকিৎসা।
* মুখের বিভিন্ন কালো দাগ বা মেছতা দূর। অ্যামাইনায় ডোসিম, ত্বকের কাটা।
* বিভিন্ন চর্ম রোগ সোরিয়াসিস, একজিমা, ত্বকের কাটা কিংবা ক্ষত চিকিৎসা।
* মুখের বলিরেখা, তিল, অস্বাভাবিক কোনো টিউমার দূর করা।
* আগুন অথবা এসিডের মাধ্যমে মুখমন্ডল ও শরীর পুড়ে গেলে ক্ষতের কার্যকর চিকিৎসা।
* বিভিন্ন চর্ম রোগ ছাড়াও নাক, কান, গলা, কিডনি এবং প্রোস্টেটের বিভিন্ন অপারেশন, আর্থোপেডিক্স ও স্পাইনাল সার্জারি, বিভিন্ন
গাইনি সার্জারি, চোখ এবং অন্যান্য সার্জারিতে।
* লেজার ফটোডাইনামিক থেরাপি এবং মেলানোসাইট ট্রান্সপ্লানটেশনের মাধ্যমে অধিকাংশ শ্বেতী রোগ সম্পূর্ণ নিরাময়।
* লেজার চিকিৎসার একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, কাঁটা-ছেঁড়া ছাড়া, প্রায় সম্পূর্ণ ব্যথাহীন এবং অজ্ঞান না করে ও হাসপাতালে ভর্তি না থেকে চিকিৎসা সম্ভব। বর্তমানে বাংলাদেশে উন্নতমানের চিকিৎসা হচ্ছে। তবে ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করা উচিত।
ডা. এসএম বখতিয়ার কামাল
সহকারী অধ্যাপক (চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি)
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
কামাল স্কিন সেন্টার : ০১৭১১৪৪০৫৫৮
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।