২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
পুষ্টিগুনে ভরপুর আমড়া একটি মৌসুমী ফল। তবে বর্তমানে সারা বছরই আমড়া পাওয়া যায়। দামী ফল আপেলের চেয়ে আমড়ার পুষ্টিমান অনেক বেশী। এ সময়ে বাজারে গেলেই চোখে পড়বে এই সবুজ ফলটি নিয়ে দোকানী বসে আছে। অথবা কেউ বাকল ফেলে ছোট কাঠিতে দোকানে সাজিয়ে রেখেছে। আমড়া টক মিষ্টি জাতের একটি ফল। আমড়া একটু লবন আর মরিচ দিয়ে কাঁচা খেতে কম বেশী সবাই পছন্দ করে। ১০০ গ্রাম আমড়ার মধ্যে শর্করা ১৫ গ্রাম, আমিষ ১.১০ গ্রাম, চর্বি ০.১০ গ্রাম, ক্যালশিয়াম ৫৫ মিঃ গ্রাঃ, আয়রণ ৩.৯০ মিঃ গ্রাঃ, ক্যারোটিন ৮০০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি ১০.২৮ মিঃ গ্রাঃ, ভিটামিন সি ৯২ মিঃ গ্রাঃ, অন্যান্য খনিজ পদার্থ ০.৬০ মিঃ গ্রাঃ, খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালরি বিদ্যমান। আমড়ায় যথেষ্ট পরিমাণ পেকটিন জাতীয় ফাইবার ও এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আমরা এক নজনে রোগ সারাতে ও রোগ প্রতিরোধে আমড়ার ব্যবাহর জেনে নেই:
১। স্কার্ভি রোগে: আমড়ায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। স্কার্ভি রোগ হলে আমড়া খেলে রোগ দ্রæত ভাল হয়। আমড়া স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধও করে।
২। চোখের রোগ: আমড়ায় থাকা ক্যারোটিন আমাদের চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।
৩। রক্তসল্পতায়: আমড়ায় প্রচুর পরিমাণ আয়রণ থাকায় আমড়া খেলে শরীরের রক্তসল্পতা রোগ দ্রæত আরোগ্য হয় । আমড়া রক্তের হিমোগোøবিনের মাত্রাও ঠিক রাখে।
৪। ক্যালশিয়ামের খাটতি পূরণ: শরীরে ক্যালশিয়ামের অভাব দেখা দিলে হাড়ের রোগ, মাংস পেশীর খিঁচুনি সহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। তাই প্রতিদিনের ক্যালশিয়ামের চাহিদা পূরণে আমড়া খাওয়া যেতে পারে।
৫। সর্দি কাশি: আমড়া বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করে এবং সর্দি কাশি ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তাই প্রতিদিন অন্তত একটি করে আমড়া খেলে খুব সহজেই এসব রোগ থেকে বাঁচা যায়।
৬। মুখের রুচি: অনেক রোগে মুখের রুচি এক্কেবারেই চলে যায়। ডাক্তার উপদেশ দেয় খাওয়ার জন্য। পরিবারের সকলেই খাওয়ার জন্য তাগাদা দেয় কিন্তু মুখে রুচি নেই খাবে কি করে। এরূপ অসুস্থ ব্যক্তিদের রুচি ফিরিয়ে আনতে আমড়ার জুড়ি নেই। আমড়া রুচিতো ফিরিয়ে আনে পাশাপাশি ক্ষুধাও বৃদ্ধি করে।
৭। ত্বক ভাল রাখতে: কারো মুখে ব্রণ হলে আমড়া খেলে ভাল হয়ে যাবে। এছাড়াও ত্বক সুস্থ ও লাবণ্যময় করতে আমড়া দারুণ উপকারী। আমড়া খেলে খুব সহজে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে না।
৮। বদহজমে: আমড়াতে পেকটিন জাতীয় ফাইবার রয়েছে। যা বদহজম, পেট ফাঁপা ও কুষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই এই রোগগুলো সারাতে নিয়মিত আমড়া খাওয়া যায়।
৯। হৃদরোাগ সারাতে: আমড়া কোলষ্টেরলের মাত্রা কমায়। তাই উচ্চ রক্তচাপে আমড়া উপকারী। আমড়া খেলে হৃৎপিন্ড সুস্থ থাকে। ষ্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
১০। ক্যান্সার প্রতিরোধ: আমড়া থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট ক্যান্সার কোষ উৎপাদনে বাঁধা দান করে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
১১। দাঁত ও মাড়ির রোগে: আমড়ায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যা দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন রোগ সারায় ও প্রতিরোধ করে।
এই সময়ে সব খানেই আমড়া পাওয়া যায় দামেও সস্তা ত্ইা শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে ও রোগ সারাতে আমড়া খাওয়া প্রয়োজন।
ষ মুন্সি আব্দুল কাদির
ম্যানেজার অপারেশন্স
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ
বড়লেখা শাখা, মৌলভীবাজার
০১৮১৫৮২৪৫৭৮, ০১৯১২৯২০৩১৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।